ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ঘুরতে গেলে ত্বকের ক্যানসার হতে পারে! বিষয়টি আতঙ্কজনক হলেও বিজ্ঞানীরা তেমনটাই জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের কোনো কোনো জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে ঘুরতে গেলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন ত্বকের ক্যানসারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এমন জায়গায় গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। না হলে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিষয়টি সহজ করে বলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতা পরিমাপ করার মানদণ্ড হলো আলট্রাভায়োলেট সূচক বা ইউভিআই। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এমন জায়গায় গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সেসব জায়গায় সঠিকভাবে শরীর ঢেকে না রাখলে ত্বকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
‘রিসার্চ গেট’-এর তথ্য অনুযায়ী, পেরু, বলিভিয়া ও চিলির আল্টিপ্লানো অঞ্চলে ইউভিআই প্রায়ই ২০-এর বেশি থাকে। যেখানে ইউভিআই ১১-এর ওপরে থাকলে তাকে সর্বোচ্চ মাত্রা বলে ধরে নিয়ে ঘরের ভেতরে থাকার কথা বলা হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক রিসার্চের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের কুসকো এলাকায় সর্বোচ্চ ইউভিআই রেকর্ড করা হয়েছে ২৫। আল্টিপ্লানোর বেশির ভাগ অংশ পড়ে বলিভিয়ায়।

তবে এর উত্তরাংশ পেরুতে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত পড়েছে চিলিতে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি এখানে অতিমাত্রায় ইউভিআইয়ের জন্য দায়ী। তবে পৃথিবীতে এই অঞ্চলই একমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ গন্তব্য নয়।
ইউভি রশ্মি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে। কারণ, সে অঞ্চলে সূর্য বেশি মাথার ওপর থাকে, ওজোন স্তর থাকে স্বাভাবিকের চেয়ে পাতলা। এই শর্তগুলো মিলে গেলে সেই দেশে ঘুরতে যাওয়া মানুষদের অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই ১১ বা তার বেশি রেকর্ড হয়।

থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে ইউভিআইয়ের মাত্রা ১১-তে পৌঁছে যায়। এটি ‘চরম’ হিসেবে বিবেচিত। আসলে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলেই সূর্যের রোদ নিয়ে সতর্কতা জরুরি। জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশন উল্লেখ করেছে, পূর্ব ও পশ্চিম জাপানে গ্রীষ্মকালে অত্যন্ত গরম এবং আর্দ্রতা থাকে। সেখানে ইউভিআই সহজে ১০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ভারত উপমহাদেশে এই মাত্রা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ থাকে। এমনকি চেন্নাইয়ে ১৫ আর মুম্বাইতে ১৬ মাত্রার ইউভিআই রেকর্ড অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
মধ্য গ্রীষ্মে হংকংয়ে ইউভিআই মাত্রা ১০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এনআইডব্লিউর তথ্যমতে, নিউজিল্যান্ডে ইউভিআই মাত্রা ১২ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং উত্তর আইল্যান্ডের উত্তর অংশে এটি ১৩-তেও পৌঁছাতে পারে। গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ অংশে পরিষ্কার আকাশে গড় সর্বোচ্চ ইউভিআই মাত্রা চরম সীমায় (১১+) থাকে। উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর ইউভিআই মাত্রা কম থাকে। তবু মেক্সিকোর মতো কিছু জায়গায় গরমের সময় এটি ১১ পর্যন্ত উঠতে পারে। পানামা, কিউবা, বার্বাডোজের মতো দেশগুলোতেও এই মাত্রা ১১-এর ওপরে থাকে সব সময়। জ্যামাইকায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সূর্যালোক থাকে সর্বোচ্চ। এ সময় সেখানকার আবহাওয়া থাকে গরম ও শুষ্ক এবং গড় ইউভিআই মাত্রা ১০।

যুক্তরাষ্ট্রে অতিবেগুনি রশ্মি সূচক মূলত বিভিন্ন রাজ্যের ওপর নির্ভর করে। হাওয়াইয়ে গ্রীষ্মকালে গড় ইউভিআই মাত্রা হয় ১১ থেকে ১২। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, উচ্চভূমিতে; যেমন মৌনা লোয়া অবজারভেটরিতে ইউভিআই ২০ ছাড়িয়ে যেতে পারে! তাই ফ্লোরিডায় প্রায়ই ইউভিআই মাত্রা ১০ থেকে ১১-এর মধ্যে রেকর্ড করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়ে ইউভিআই মাত্রা ৯। আফ্রিকায় মৌসুম অনুসারে সাধারণত ইউভিআই মাত্রা উচ্চ থাকে। সূর্যরেখার ওপর অবস্থিত দেশ কেনিয়া। সেখানে ইউভিআই মাত্রা চরম হয় এবং ১১ বা তার বেশিতে পৌঁছায়। নাইজেরিয়া পুরোপুরি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। এর তাপমাত্রাও অত্যন্ত গরম। সেখানে ইউভিআই মাত্রা উঠে যায় ১১ পর্যন্ত।
পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা জায়গাগুলোর মধ্যে একটি অ্যান্টার্কটিক প্লাটো। সেখানেও অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরণের সর্বোচ্চ মান ৮ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সূত্র: ডব্লিউএইচও, রিসার্চ গেট, এনআইডব্লিউএ

ঘুরতে গেলে ত্বকের ক্যানসার হতে পারে! বিষয়টি আতঙ্কজনক হলেও বিজ্ঞানীরা তেমনটাই জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের কোনো কোনো জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে ঘুরতে গেলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন ত্বকের ক্যানসারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এমন জায়গায় গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। না হলে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিষয়টি সহজ করে বলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতা পরিমাপ করার মানদণ্ড হলো আলট্রাভায়োলেট সূচক বা ইউভিআই। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এমন জায়গায় গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সেসব জায়গায় সঠিকভাবে শরীর ঢেকে না রাখলে ত্বকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
‘রিসার্চ গেট’-এর তথ্য অনুযায়ী, পেরু, বলিভিয়া ও চিলির আল্টিপ্লানো অঞ্চলে ইউভিআই প্রায়ই ২০-এর বেশি থাকে। যেখানে ইউভিআই ১১-এর ওপরে থাকলে তাকে সর্বোচ্চ মাত্রা বলে ধরে নিয়ে ঘরের ভেতরে থাকার কথা বলা হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক রিসার্চের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের কুসকো এলাকায় সর্বোচ্চ ইউভিআই রেকর্ড করা হয়েছে ২৫। আল্টিপ্লানোর বেশির ভাগ অংশ পড়ে বলিভিয়ায়।

তবে এর উত্তরাংশ পেরুতে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত পড়েছে চিলিতে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি এখানে অতিমাত্রায় ইউভিআইয়ের জন্য দায়ী। তবে পৃথিবীতে এই অঞ্চলই একমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ গন্তব্য নয়।
ইউভি রশ্মি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে। কারণ, সে অঞ্চলে সূর্য বেশি মাথার ওপর থাকে, ওজোন স্তর থাকে স্বাভাবিকের চেয়ে পাতলা। এই শর্তগুলো মিলে গেলে সেই দেশে ঘুরতে যাওয়া মানুষদের অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই ১১ বা তার বেশি রেকর্ড হয়।

থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে ইউভিআইয়ের মাত্রা ১১-তে পৌঁছে যায়। এটি ‘চরম’ হিসেবে বিবেচিত। আসলে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলেই সূর্যের রোদ নিয়ে সতর্কতা জরুরি। জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশন উল্লেখ করেছে, পূর্ব ও পশ্চিম জাপানে গ্রীষ্মকালে অত্যন্ত গরম এবং আর্দ্রতা থাকে। সেখানে ইউভিআই সহজে ১০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ভারত উপমহাদেশে এই মাত্রা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ থাকে। এমনকি চেন্নাইয়ে ১৫ আর মুম্বাইতে ১৬ মাত্রার ইউভিআই রেকর্ড অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
মধ্য গ্রীষ্মে হংকংয়ে ইউভিআই মাত্রা ১০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এনআইডব্লিউর তথ্যমতে, নিউজিল্যান্ডে ইউভিআই মাত্রা ১২ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং উত্তর আইল্যান্ডের উত্তর অংশে এটি ১৩-তেও পৌঁছাতে পারে। গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ অংশে পরিষ্কার আকাশে গড় সর্বোচ্চ ইউভিআই মাত্রা চরম সীমায় (১১+) থাকে। উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর ইউভিআই মাত্রা কম থাকে। তবু মেক্সিকোর মতো কিছু জায়গায় গরমের সময় এটি ১১ পর্যন্ত উঠতে পারে। পানামা, কিউবা, বার্বাডোজের মতো দেশগুলোতেও এই মাত্রা ১১-এর ওপরে থাকে সব সময়। জ্যামাইকায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সূর্যালোক থাকে সর্বোচ্চ। এ সময় সেখানকার আবহাওয়া থাকে গরম ও শুষ্ক এবং গড় ইউভিআই মাত্রা ১০।

যুক্তরাষ্ট্রে অতিবেগুনি রশ্মি সূচক মূলত বিভিন্ন রাজ্যের ওপর নির্ভর করে। হাওয়াইয়ে গ্রীষ্মকালে গড় ইউভিআই মাত্রা হয় ১১ থেকে ১২। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, উচ্চভূমিতে; যেমন মৌনা লোয়া অবজারভেটরিতে ইউভিআই ২০ ছাড়িয়ে যেতে পারে! তাই ফ্লোরিডায় প্রায়ই ইউভিআই মাত্রা ১০ থেকে ১১-এর মধ্যে রেকর্ড করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়ে ইউভিআই মাত্রা ৯। আফ্রিকায় মৌসুম অনুসারে সাধারণত ইউভিআই মাত্রা উচ্চ থাকে। সূর্যরেখার ওপর অবস্থিত দেশ কেনিয়া। সেখানে ইউভিআই মাত্রা চরম হয় এবং ১১ বা তার বেশিতে পৌঁছায়। নাইজেরিয়া পুরোপুরি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। এর তাপমাত্রাও অত্যন্ত গরম। সেখানে ইউভিআই মাত্রা উঠে যায় ১১ পর্যন্ত।
পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা জায়গাগুলোর মধ্যে একটি অ্যান্টার্কটিক প্লাটো। সেখানেও অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরণের সর্বোচ্চ মান ৮ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সূত্র: ডব্লিউএইচও, রিসার্চ গেট, এনআইডব্লিউএ
ফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ঘুরতে গেলে ত্বকের ক্যানসার হতে পারে! বিষয়টি আতঙ্কজনক হলেও বিজ্ঞানীরা তেমনটাই জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের কোনো কোনো জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে ঘুরতে গেলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন ত্বকের ক্যানসারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এমন জায়গায় গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। না হলে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিষয়টি সহজ করে বলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতা পরিমাপ করার মানদণ্ড হলো আলট্রাভায়োলেট সূচক বা ইউভিআই। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এমন জায়গায় গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সেসব জায়গায় সঠিকভাবে শরীর ঢেকে না রাখলে ত্বকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
‘রিসার্চ গেট’-এর তথ্য অনুযায়ী, পেরু, বলিভিয়া ও চিলির আল্টিপ্লানো অঞ্চলে ইউভিআই প্রায়ই ২০-এর বেশি থাকে। যেখানে ইউভিআই ১১-এর ওপরে থাকলে তাকে সর্বোচ্চ মাত্রা বলে ধরে নিয়ে ঘরের ভেতরে থাকার কথা বলা হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক রিসার্চের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের কুসকো এলাকায় সর্বোচ্চ ইউভিআই রেকর্ড করা হয়েছে ২৫। আল্টিপ্লানোর বেশির ভাগ অংশ পড়ে বলিভিয়ায়।

তবে এর উত্তরাংশ পেরুতে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত পড়েছে চিলিতে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি এখানে অতিমাত্রায় ইউভিআইয়ের জন্য দায়ী। তবে পৃথিবীতে এই অঞ্চলই একমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ গন্তব্য নয়।
ইউভি রশ্মি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে। কারণ, সে অঞ্চলে সূর্য বেশি মাথার ওপর থাকে, ওজোন স্তর থাকে স্বাভাবিকের চেয়ে পাতলা। এই শর্তগুলো মিলে গেলে সেই দেশে ঘুরতে যাওয়া মানুষদের অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই ১১ বা তার বেশি রেকর্ড হয়।

থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে ইউভিআইয়ের মাত্রা ১১-তে পৌঁছে যায়। এটি ‘চরম’ হিসেবে বিবেচিত। আসলে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলেই সূর্যের রোদ নিয়ে সতর্কতা জরুরি। জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশন উল্লেখ করেছে, পূর্ব ও পশ্চিম জাপানে গ্রীষ্মকালে অত্যন্ত গরম এবং আর্দ্রতা থাকে। সেখানে ইউভিআই সহজে ১০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ভারত উপমহাদেশে এই মাত্রা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ থাকে। এমনকি চেন্নাইয়ে ১৫ আর মুম্বাইতে ১৬ মাত্রার ইউভিআই রেকর্ড অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
মধ্য গ্রীষ্মে হংকংয়ে ইউভিআই মাত্রা ১০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এনআইডব্লিউর তথ্যমতে, নিউজিল্যান্ডে ইউভিআই মাত্রা ১২ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং উত্তর আইল্যান্ডের উত্তর অংশে এটি ১৩-তেও পৌঁছাতে পারে। গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ অংশে পরিষ্কার আকাশে গড় সর্বোচ্চ ইউভিআই মাত্রা চরম সীমায় (১১+) থাকে। উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর ইউভিআই মাত্রা কম থাকে। তবু মেক্সিকোর মতো কিছু জায়গায় গরমের সময় এটি ১১ পর্যন্ত উঠতে পারে। পানামা, কিউবা, বার্বাডোজের মতো দেশগুলোতেও এই মাত্রা ১১-এর ওপরে থাকে সব সময়। জ্যামাইকায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সূর্যালোক থাকে সর্বোচ্চ। এ সময় সেখানকার আবহাওয়া থাকে গরম ও শুষ্ক এবং গড় ইউভিআই মাত্রা ১০।

যুক্তরাষ্ট্রে অতিবেগুনি রশ্মি সূচক মূলত বিভিন্ন রাজ্যের ওপর নির্ভর করে। হাওয়াইয়ে গ্রীষ্মকালে গড় ইউভিআই মাত্রা হয় ১১ থেকে ১২। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, উচ্চভূমিতে; যেমন মৌনা লোয়া অবজারভেটরিতে ইউভিআই ২০ ছাড়িয়ে যেতে পারে! তাই ফ্লোরিডায় প্রায়ই ইউভিআই মাত্রা ১০ থেকে ১১-এর মধ্যে রেকর্ড করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়ে ইউভিআই মাত্রা ৯। আফ্রিকায় মৌসুম অনুসারে সাধারণত ইউভিআই মাত্রা উচ্চ থাকে। সূর্যরেখার ওপর অবস্থিত দেশ কেনিয়া। সেখানে ইউভিআই মাত্রা চরম হয় এবং ১১ বা তার বেশিতে পৌঁছায়। নাইজেরিয়া পুরোপুরি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। এর তাপমাত্রাও অত্যন্ত গরম। সেখানে ইউভিআই মাত্রা উঠে যায় ১১ পর্যন্ত।
পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা জায়গাগুলোর মধ্যে একটি অ্যান্টার্কটিক প্লাটো। সেখানেও অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরণের সর্বোচ্চ মান ৮ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সূত্র: ডব্লিউএইচও, রিসার্চ গেট, এনআইডব্লিউএ

ঘুরতে গেলে ত্বকের ক্যানসার হতে পারে! বিষয়টি আতঙ্কজনক হলেও বিজ্ঞানীরা তেমনটাই জানাচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বিশ্বের কোনো কোনো জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে ঘুরতে গেলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন ত্বকের ক্যানসারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এমন জায়গায় গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। না হলে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিষয়টি সহজ করে বলি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। অতি বেগুনি রশ্মির তীব্রতা পরিমাপ করার মানদণ্ড হলো আলট্রাভায়োলেট সূচক বা ইউভিআই। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এমন জায়গায় গেলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। সেসব জায়গায় সঠিকভাবে শরীর ঢেকে না রাখলে ত্বকে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
‘রিসার্চ গেট’-এর তথ্য অনুযায়ী, পেরু, বলিভিয়া ও চিলির আল্টিপ্লানো অঞ্চলে ইউভিআই প্রায়ই ২০-এর বেশি থাকে। যেখানে ইউভিআই ১১-এর ওপরে থাকলে তাকে সর্বোচ্চ মাত্রা বলে ধরে নিয়ে ঘরের ভেতরে থাকার কথা বলা হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেয়ারিক রিসার্চের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পেরুর দক্ষিণাঞ্চলের কুসকো এলাকায় সর্বোচ্চ ইউভিআই রেকর্ড করা হয়েছে ২৫। আল্টিপ্লানোর বেশির ভাগ অংশ পড়ে বলিভিয়ায়।

তবে এর উত্তরাংশ পেরুতে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত পড়েছে চিলিতে। এই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি এখানে অতিমাত্রায় ইউভিআইয়ের জন্য দায়ী। তবে পৃথিবীতে এই অঞ্চলই একমাত্র স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ গন্তব্য নয়।
ইউভি রশ্মি সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে। কারণ, সে অঞ্চলে সূর্য বেশি মাথার ওপর থাকে, ওজোন স্তর থাকে স্বাভাবিকের চেয়ে পাতলা। এই শর্তগুলো মিলে গেলে সেই দেশে ঘুরতে যাওয়া মানুষদের অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। শ্রীলঙ্কার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই ১১ বা তার বেশি রেকর্ড হয়।

থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে ইউভিআইয়ের মাত্রা ১১-তে পৌঁছে যায়। এটি ‘চরম’ হিসেবে বিবেচিত। আসলে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলেই সূর্যের রোদ নিয়ে সতর্কতা জরুরি। জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশন উল্লেখ করেছে, পূর্ব ও পশ্চিম জাপানে গ্রীষ্মকালে অত্যন্ত গরম এবং আর্দ্রতা থাকে। সেখানে ইউভিআই সহজে ১০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ভারত উপমহাদেশে এই মাত্রা বিপজ্জনকভাবে উচ্চ থাকে। এমনকি চেন্নাইয়ে ১৫ আর মুম্বাইতে ১৬ মাত্রার ইউভিআই রেকর্ড অস্বাভাবিক বিষয় নয়।
মধ্য গ্রীষ্মে হংকংয়ে ইউভিআই মাত্রা ১০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এনআইডব্লিউর তথ্যমতে, নিউজিল্যান্ডে ইউভিআই মাত্রা ১২ পর্যন্ত পৌঁছেছে এবং উত্তর আইল্যান্ডের উত্তর অংশে এটি ১৩-তেও পৌঁছাতে পারে। গ্রীষ্মকালে অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ অংশে পরিষ্কার আকাশে গড় সর্বোচ্চ ইউভিআই মাত্রা চরম সীমায় (১১+) থাকে। উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত মধ্য আমেরিকার দেশগুলোর ইউভিআই মাত্রা কম থাকে। তবু মেক্সিকোর মতো কিছু জায়গায় গরমের সময় এটি ১১ পর্যন্ত উঠতে পারে। পানামা, কিউবা, বার্বাডোজের মতো দেশগুলোতেও এই মাত্রা ১১-এর ওপরে থাকে সব সময়। জ্যামাইকায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সূর্যালোক থাকে সর্বোচ্চ। এ সময় সেখানকার আবহাওয়া থাকে গরম ও শুষ্ক এবং গড় ইউভিআই মাত্রা ১০।

যুক্তরাষ্ট্রে অতিবেগুনি রশ্মি সূচক মূলত বিভিন্ন রাজ্যের ওপর নির্ভর করে। হাওয়াইয়ে গ্রীষ্মকালে গড় ইউভিআই মাত্রা হয় ১১ থেকে ১২। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, উচ্চভূমিতে; যেমন মৌনা লোয়া অবজারভেটরিতে ইউভিআই ২০ ছাড়িয়ে যেতে পারে! তাই ফ্লোরিডায় প্রায়ই ইউভিআই মাত্রা ১০ থেকে ১১-এর মধ্যে রেকর্ড করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে গড়ে ইউভিআই মাত্রা ৯। আফ্রিকায় মৌসুম অনুসারে সাধারণত ইউভিআই মাত্রা উচ্চ থাকে। সূর্যরেখার ওপর অবস্থিত দেশ কেনিয়া। সেখানে ইউভিআই মাত্রা চরম হয় এবং ১১ বা তার বেশিতে পৌঁছায়। নাইজেরিয়া পুরোপুরি উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত। এর তাপমাত্রাও অত্যন্ত গরম। সেখানে ইউভিআই মাত্রা উঠে যায় ১১ পর্যন্ত।
পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা জায়গাগুলোর মধ্যে একটি অ্যান্টার্কটিক প্লাটো। সেখানেও অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরণের সর্বোচ্চ মান ৮ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
সূত্র: ডব্লিউএইচও, রিসার্চ গেট, এনআইডব্লিউএ

মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৬ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৭ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্বসুন্দরীর আন্তর্জাতিক আসরগুলোতে যেতে হলে অনেক স্থানীয় প্রতিযোগিতায় পরীক্ষা দিয়ে তবেই মেলে ছাড়পত্র। আর তা-ও যে সবার জোটে না, সেটা বলাই বাহুল্য। ভারতের তেমনি একটি প্রতিযোগিতা হলো মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া। এটি গ্লামানন্দ গ্রুপ সংস্থার অধীনে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। এর শুরু হয় ২০২৪ সালে। এ সংস্থাটি এখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি নির্বাচন করে। গত বছরের বিজয়ী ছিলেন গুজরাটের ১৯ বছর বয়সী রিয়া সিংহ। এ বছরের বিজয়ী হলেন রাজস্থানের ২২ বছর বয়সী মণিকা বিশ্বকর্মা।
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি। ত্বক ভালো রাখতে তিনি আধুনিক প্রসাধনী যেমন ব্যবহার করেন, তেমনি প্রাচীন ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোও ব্যবহার করতে ভোলেন না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের সঙ্গে একটি কথোপকথনে এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর দৈনন্দিন সৌন্দর্য, রীতিনীতি ও উজ্জ্বল ত্বকের গোপন রহস্য প্রকাশ করেছেন।
কী রয়েছে মণিকার রূপ রুটিনে? জেনে নেওয়া যাক:

রেটিনল ও ময়েশ্চারাইজার
মণিকা জানান, তিনি তাঁর ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য রেটিনল ও হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজারের ওপর নির্ভর করেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর রেটিনল সেরাম ব্যবহার করেন। এর পরপরই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ত্বক রাতারাতি ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে ফেলতে পারে এবং পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে মণিকা জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের উপরিভাগের যত্ন নিয়েই থেমে থাকেন না। গভীর থেকে ত্বকের দেখভালের জন্য প্রতিদিন তাঁর খাদ্যতালিকায় থাকে শসা, বিটরুট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান দিয়ে তৈরি তাজা রস।
মায়ের দেওয়া টোটকায় বিশ্বাস রাখেন
ত্বকের যত্নে বাজারে ব্র্যান্ডেড পণ্যের জোগান থাকা সত্ত্বেও, মণিকা এখনো প্রাকৃতিক ডিআইওয়াই প্যাকগুলোয় বিশ্বাস করেন। তিনি প্রায়ই বেসন ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করেন বলে জানান। তাঁর ভাষ্য, এটি তাঁর মায়ের দেওয়া গোপন টিপস। এই প্রাচীন ভারতীয় সৌন্দর্য টিপস তাঁর ত্বক সতেজ, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। মণিকা মনে করেন, প্রাকৃতিক ত্বকের যত্ন কেবলই বাহ্যিক সৌন্দর্যের বিষয় নয়, এটি নিজের শিকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার বিষয়ও।
ত্বক পরিষ্কার করতে নারকেল তেল ব্যবহার করেন
মেকআপ অপসারণের জন্য নামীদামি মেকআপ রিমুভারের পরিবর্তে মণিকা খাঁটি নারকেল তেল ব্যবহারের পক্ষপাতী। তিনি তাঁর মেকআপ ভালোভাবে গলে যাওয়ার জন্য খাঁটি নারকেল তেলের প্রলেপ দেন। তেল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর তিনি হালকা ক্লিনজার ব্যবহার করেন এবং তাঁর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার দিয়ে রূপ রুটিন শেষ করেন। এই রুটিন নিয়মমাফিক মেনে চলার কারণে তাঁর ত্বক নরম, পানিপূর্ণ ও ক্ষয়ক্ষতিমুক্ত থাকে বলে জানান তিনি।
সবচেয়ে সহজ কিন্তু শক্তিশালী রহস্য হাইড্রেশন
ত্বক সুন্দর রাখার সহজ মন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি হলো ত্বকে পানির ভারসাম্য ঠিক রাখা। মণিকা সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন বলে জানান। তাঁর মতে, হাইড্রেশন শরীর ডিটক্সিফাই করে ও ত্বকে এমন একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা যোগ করে, যা কোনো মেকআপ দিতে পারে না।
মণিকা বিশ্বকর্মার মতে, ত্বকের যত্ন মানেই কোনো জটিল সৌন্দর্যচর্চা নয়। দেশীয় উপকরণে তৈরি প্যাক ব্যবহার, অভ্যন্তরীণ যত্ন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের সংমিশ্রণেই পাওয়া যায় জেল্লাদার ত্বক। বাজারে অনেক ধরনের নতুন পণ্য আসে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। কিন্তু সেগুলোর ওপরই পুরোপুরি ভরসা করা ঠিক নয়। নিজের শিকড় থেকে পাওয়া ঘরোয়া টোটকাও অনেক সময় সেরা ফলাফল দেয়। আর এখানে বিশ্বাস রাখলেই অনেকটা কাজ এগিয়ে যায় বলে মনে করেন মণিকা বিশ্বকর্মা।
সূত্র: জি নিউজ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এতে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১৬ জুন ২০২৫
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৭ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১১ ঘণ্টা আগেডা. নূরজাহান বেগম

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতার জন্য কিছু বিষয় লক্ষ রাখতে হবে।
ত্বকের যত্ন
এই মৌসুমে শিশুর গোসলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের অনেকে এক দিন পরপর গোসল করানোর কথা বলেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে শিশুর জন্মের ৭২ ঘণ্টা পর থেকে প্রতিদিন কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে। তবে সময়ের আগে হয়ে যাওয়া এবং কম ওজনের শিশুদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গোসল করানো যাবে না।
তবে দীর্ঘ সময় ধরে নবজাতক ও শিশুকে গোসল করানো যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্রে গোসলের সময় কমিয়ে দিতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভালো। বেশি গরম পানি ব্যবহার করলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। শিশুর গোসলে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে। গোসলের পরপরই ভালো করে শরীর মুছিয়ে অলিভ অয়েল কিংবা লোশন ব্যবহার করা যাবে।
শুষ্ক ত্বকে চর্মরোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী দিনে দু-তিনবার ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। অলিভ অয়েল ও নারকেল তেল শিশুর ত্বকে সাধারণত সমস্যা করে না। তবে সরিষার তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকে নবজাতক বা শিশুদের নাকে ও কানে সরিষার তেল দিয়ে থাকেন, যেটা একদম উচিত নয়। এটি শিশুর ত্বকের জন্য ভালো নয়। সরিষার তেল ত্বকে বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, প্রদাহ এমনকি মাথার ত্বকে খুশকির প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়। নবজাতক ও শিশুদের জন্য উপযোগী প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে ব্যবহারের পর যদি অ্যালার্জি হয়, তাহলে সেই প্রসাধনী বাদ দিতে হবে।

চুলের যত্ন
দূষণের কারণে বড়দের মতো শিশুদের চুল ধুলাবালুর জন্য ময়লা হয়ে যায়। ফলে প্রায়ই খুশকির সমস্যায় ভুগতে হয়। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল পরিষ্কার রাখতে হবে। গোসলের পর চুল ভালো করে শুকাতে হবে এবং নিয়মিত আঁচড়ে দিতে হবে। মাঝেমধ্যে শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ম্যাসাজ করে দিতে পারেন। এতে শ্যাম্পু করার পর চুলগুলো ঝরঝরে থাকবে।
আরাম পরিধেয়
এ সময় শিশুকে সুতির পাতলা আরামদায়ক কাপড় পরাতে হবে। নবজাতক ও শিশুরা যেন ঘেমে না যায়, সে ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কারণ, শরীরে ঘাম জমলেই নানা ধরনের চর্মরোগ হবে। মাথার ত্বকও যেন ঘামে ভেজা না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া চাই। প্রয়োজনে পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে শিশুর মাথা বারবার আলতো হাতে মুছে দিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এতে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১৬ জুন ২০২৫
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৬ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ধুন্দল ৫০০ গ্রাম, আলু ২০০ গ্রাম, পোয়া মাছ ৬ পিস, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫টা, ধনেপাতাকুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, আস্ত জলপাই ২টা।
প্রণালি
আলু ও ধুন্দল খোঁসা ফেলে কেটে ধুয়ে রাখুন আলাদা করে। মাছ কেটে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। আলু দিয়ে ৫ মিনিট কষিয়ে সামান্য পানি দিন। তারপর ধুন্দল দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। এবার কাঁচা পোয়া মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জলপাই দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। সব সেদ্ধ হলে ধনেপাতাকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন লবণ দেখে। তৈরি হয়ে গেল জলপাই দিয়ে মাছের ঝোল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এতে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১৬ জুন ২০২৫
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৬ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৭ ঘণ্টা আগে
পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন।
১১ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

পার্কের টিকিট থেকে শুরু করে হোটেলে থাকা, খাবার ও উপহারের দোকানে কেনাকাটা—ডিজনি রিসোর্টে প্রতিটি ভ্রমণে খরচ বেড়েই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে ডিজনির ছুটি কাটানো এখন এতটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ডিজনির ভক্তরা তাঁদের মজা বা অভিজ্ঞতাকে কোনোভাবে আপস না করে দু-এক টাকা সাশ্রয়ের জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজছেন। এতে পিছিয়েও নেই ডিজনি ভক্তরা। তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন একটি উপায়, যার মাধ্যমে একে অপরকে অর্থ সাশ্রয়ে সাহায্য করতে পারেন। ডিজনি ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকেরা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় একত্র হচ্ছেন। যেখানে তাঁরা তাঁদের অবশিষ্ট বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র ভাগ করে নিচ্ছেন। তাঁরা সেসব জিনিস আদান-প্রদান করছেন, যা ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হতো।

ফেসবুক গ্রুপ
নির্দিষ্ট ডিজনির হোটেলগুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপগুলোর ভেতরে ছুটি কাটাতে যাওয়া লোকেরা অন্যদের শুরুর দিকের ভ্রমণের জন্য খাবার, ডিসকাউন্টেড রিফিল পাওয়া পপকর্ন বাকেটও অফার করছেন। অবশ্য অনেকে এটিকে কোম্পানির ব্র্যান্ডিং অনুযায়ী ‘ডিজনি ম্যাজিক’ ছড়িয়ে দেওয়ার একটি পদ্ধতি হিসেবে দেখছেন। এর মাধ্যমে মিতব্যয়িতা ও দয়ার ওপর ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায় তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ তাঁদের প্রি-পেইড অপশন ব্যবহার করে অন্যদের জন্য খাবারও কিনে দিচ্ছেন। একজন দর্শনার্থী পপ সেঞ্চুরি হোটেলে থাকার সময় তাঁর হোটেলের দরজায় মিকি মাউসের কান ও অন্যান্য স্যুভেনিয়ার ঝুলিয়ে রেখেছিলেন, যাতে অন্যরা সেগুলো নিতে পারেন। পরে তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে কাউকে টাকা বাঁচাতে সাহায্য করাটা দারুণ ব্যাপার। তিনি আরও জানান যে, থাকার শেষে যে জিনিসগুলো তিনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারেননি, সেগুলোর একটি ব্যাগ তিনি রুমের বাইরে রেখে দেন এবং ফেসবুকে এ বিষয়ে অন্যদের জানানোর জন্য পোস্ট করেন। নিজের ডাইনিং প্ল্যানের কিছু খাবারও তিনি অন্য একটি পরিবারকে দুপুরের খাবার কিনে দিতে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রয়োজনী জিনিস ভাগাভাগি
পারিবারিক ভ্রমণের জন্য পুশচেয়ার (স্ট্রলার) একটি অপরিহার্য জিনিস। ডিজনির ভক্তরা এগুলোও ভাগাভাগি করার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। রোজি গার্সিয়া নামের এক মা একটি বড় পারিবারিক ভ্রমণের সময় এই সুবিধা নিয়েছিলেন। তাঁর ছয় বছরের ছেলের গোড়ালিতে আঘাত লাগলে তাঁরা অনলাইনে যোগাযোগ করে ছুটির জন্য একটি পুশচেয়ার ধার করতে সক্ষম হন। ফেবারিট গ্র্যাম্পি ট্রাভেলসের পরিচালক কার্স্টেন আন্দ্রেড ব্যাখ্যা করেন যে, কিছু গ্রুপ অতিথিদের মধ্যে জিনিসপত্র হস্তান্তরের ব্যবস্থা করার জন্য ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। তিনি এটিকে ‘একধরনের গোপন ক্লাব, যার অংশ হতে আপনি অবশ্যই চাইবেন’ বলে মন্তব্য করেন এবং বলেন, এটি তখন ভাগ করে নেওয়া এবং ম্যাজিক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।

টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও উদ্যোগ
এই উদ্যোগগুলো এমন এক সময়ে আসছে, যখন ডিজনি সম্প্রতি আমেরিকার তাদের দুটি বড় থিম পার্কের টিকিটমূল্য বাড়িয়েছে। অরল্যান্ডোর ওয়াল্ট ডিজনি ওয়ার্ল্ড রিসোর্ট ও অ্যানাহেইমের ডিজনিল্যান্ড রিসোর্টের এক দিনের টিকিটের দাম বেড়েছে। পিক আওয়ারে একটি টিকিট এখন ১৯৯ ডলারের বেশি। ক্রিসমাস ও নতুন বছরের সময়ের জন্য অরল্যান্ডোর পার্কের টিকিট ২০৯ ডলার করা হয়েছে, যা বেড়েছে ৫ শতাংশ। একই সময়ে ডিজনিল্যান্ডের টিকিটের দাম ২২৪ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এই মূল্যবৃদ্ধি এমন এক সময়ে এল, যখন ডিজনি ১৯৯৮ সালে অ্যানিমেল কিংডম খোলার পর প্রথম নতুন পার্ক যুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে ডিজনির এক কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন যে, কোম্পানি এখনো ‘জাদুকরি অভিজ্ঞতা তৈরি করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তাদের টিকিট, হোটেল ও ডাইনিং বিকল্পগুলো সব বাজেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফ্যান-টু-ফ্যান আদান-প্রদানগুলো প্রমাণ করে যে, খরচ যতই বাড়ুক না কেন, ডিজনির আসল জাদু হলো কমিউনিটি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মিতা।
সূত্র: ডেইলি মেইল

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এতে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১৬ জুন ২০২৫
মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০২৫-এর মুকুট বিজয়ী মণিকা বিশ্বকর্মা ৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কেবল মুকুট দিয়েই নয়, তিনি অনেকের মন কেড়েছেন উজ্জ্বল ত্বকের কারণেও। ত্বকের যত্নে রেটিনল থেকে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী বেসন মাস্ক পর্যন্ত অনেক কিছুই ব্যবহার করেন তিনি।...
৬ ঘণ্টা আগে
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তবে এই বৃষ্টি, এই রোদের কারণে আবহাওয়া এখন কিছুটা ঠান্ডা। বড়দের জন্য এই ধরনের আবহাওয়া তেমন একটা ক্ষতির কারণ না হলেও শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ফলে এই মৌসুমে অনেক শিশু একাধিকবার জ্বর ও সর্দির কবলে পড়ছে। ত্বকেও নানা ধরনের সংক্রমণ ঘটছে। ফলে শিশুর নাজুক ত্বক...
৭ ঘণ্টা আগে
বাজারে জলপাই উঠেছে। আচার তো বানাবেনই, ডালেও নিশ্চয়ই জলপাই দিচ্ছেন। বাড়িতে পোয়া মাছ থাকলে এবার রাঁধুন জলপাই দিয়ে। কীভাবে রাঁধবেন? আপনাদের জন্য জলপাই দিয়ে পোয়া মাছের ঝোলের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৯ ঘণ্টা আগে