মনজুরুল ইসলাম
প্রশ্ন: পর্যটনের ক্ষেত্রে মূল ধারার মিডিয়াকে কীভাবে দেখেন?
মনিরুজ্জামান: বিভিন্ন ডেসটিনেশন সম্পর্কে যে ব্যাখ্যাগুলো দেওয়া হয়, তার ওপর ভিত্তি করে আমরা এখন মিডিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করেছি। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া আসলে নিউজ পেপার ও টেলিভিশন। এর বাইরে যে সোশ্যাল মিডিয়া চলে এসেছে, ইউটিউব বলেন কিংবা ফেসবুক, এগুলোতে কিছু কিছু ভুল তথ্য দেওয়া হয়। আমরা অনেক সময় ইউটিউবের সংবাদগুলোতে সঠিক তথ্য পাই না। নিউজ পেপার বা চ্যানেলগুলোতে পাই। তাদের দায়বদ্ধতা আছে, কিন্তু ওদের দায়বদ্ধতা নেই। এই ব্লগার ও ইউটিউবাররা সাজেককে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। প্রথমেই টুরিস্টরা জিজ্ঞেস করেন, আপনার রিসোর্টটা কি মিজোরাম ভিউ? নাকি রাঙামাটি ভিউ? এখন একটা ডেসটিনেশনে দুটো ভিউ অবশ্যই থাকবে। কক্সবাজারে গেলে যেমন আমরা সি ভিউ রুম নিই অথবা হিল ভিউ রুম নিই। কিন্তু সাজেকে রিসোর্টগুলো ছোট ছোট। যখন কেউ জানে যে মিজোরাম ভিউ নয় রাঙামাটি ভিউ, তখন পর্যটকদের আগ্রহ কমে যায়। রাঙামাটি ভিউয়ের দিক থেকে মিজোরাম দেখা যায় না। আর ওখানে রুম থেকে দেখার তেমন কিছু নেই। এটা বাইরে গিয়ে দেখতে হয়। এই যে তথ্যগুলো এভাবে প্রচার করা হচ্ছে, তাতে টুরিস্টদের ওপর আগেই একটা প্রভাব পড়ে যায়। ওখানে যাওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়ে যায় আগে থেকেই। যেটা কাম্য নয়।
প্রশ্ন: যেখানে প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে টুরিস্ট প্লেসগুলো হচ্ছে, সেখানে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট…
মনিরুজ্জামান: খুব বড় রকমের একটা উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন: আমাদের পাহাড়গুলোতে যখনই কোনো একটা সমস্যা দেখা যায়, তখনই সেখানে ফরেন টুরিস্টদের রেস্ট্রিকশন থাকে। সে ক্ষেত্রে বিদেশি পর্যটকদের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকি মনে করছেন কি না, সামনের দিকে?
মনিরুজ্জামান: আসলে বিদেশি পর্যটকদের আগেই বলা হয়, আপনাদের জন্য রেড অ্যালার্ট এলাকা। তো এই রেড অ্যালার্টকে উপেক্ষা করে যারা ইন্টারেস্টেড, তারা আসতে চায়। রেড অ্যালার্ট না থাকলেও তাকে কিন্তু অনুমতি নিতে হয়। এটা পুরো হিল ট্র্যাকের নিয়ম। তো তখন এটা নিতে গেলে আমাদের বেগ পেতে হয়, যখন অভিযান চলে। টোটালি পারমিশনটা কিন্তু দেবে না। আমার জানা মতে, গত বছর অনেক গ্রুপকে আমরা ডিনাই করেছি।
বান্দরবান বা সাজেক যাওয়ার কথা ছিল, পারমিশন মেলেনি। যেহেতু অভিযান চলছিল। এ ধরনের কোনো অভিযান হলে ফরেনারদের আমরা ডিসকারেজ করি যে ওখানে যাওয়াটা আসলে উচিত হবে না বা ঠিক হবে না। প্রশাসন থেকে তো একটা নিষেধ থাকেই। সেদিক থেকে আমি মনে করি যে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের পাহাড়ে শান্তি ফিরে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাহাড় পর্যটনটা সেভাবে ফ্লারিশ করবে না।
প্রশ্ন: আমাদের টুরিজম বোর্ডের কাজ তো বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা। বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে আসার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার, যেমন বিদেশি পর্যটকদের জন্য অনুমতির দরকার। এই পারমিশনগুলো পাওয়ার ক্ষেত্রে টুরিজম বোর্ড আপনাদের কোনো রকম সহায়তা করে কি না?
মনিরুজ্জামান: এই সব পারমিশন দেওয়ার ব্যাপারে টুরিজম বোর্ড সরাসরি কোনো সাপোর্ট আমাদের দেয় না। আসলে টুরিজম বোর্ডের কাজটা হলো প্রচার-প্রচারণা এবং আমাদের ডেসটিনেশন সম্পর্কে জানানো। কিন্তু লজিস্টিক অথবা প্রশাসনিক সাপোর্ট টুরিজম বোর্ড দেয় না বা দিতে পারে না। এটা তাদের এখতিয়ারে পড়ে না। তাদের কাজটি হচ্ছে ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া বা ব্রিজিং করা। সেদিক থেকেও আমরা সে রকমভাবে টুরিজম বোর্ডের সহযোগিতা পাচ্ছি, তা নয়। তবে আমরা মনে করি, টুরিজম বোর্ডের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত এই ডেসটিনেশনগুলোকে তুলে ধরার জন্য।
প্রশ্ন: পর্যটনের ক্ষেত্রে মূল ধারার মিডিয়াকে কীভাবে দেখেন?
মনিরুজ্জামান: বিভিন্ন ডেসটিনেশন সম্পর্কে যে ব্যাখ্যাগুলো দেওয়া হয়, তার ওপর ভিত্তি করে আমরা এখন মিডিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করেছি। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া আসলে নিউজ পেপার ও টেলিভিশন। এর বাইরে যে সোশ্যাল মিডিয়া চলে এসেছে, ইউটিউব বলেন কিংবা ফেসবুক, এগুলোতে কিছু কিছু ভুল তথ্য দেওয়া হয়। আমরা অনেক সময় ইউটিউবের সংবাদগুলোতে সঠিক তথ্য পাই না। নিউজ পেপার বা চ্যানেলগুলোতে পাই। তাদের দায়বদ্ধতা আছে, কিন্তু ওদের দায়বদ্ধতা নেই। এই ব্লগার ও ইউটিউবাররা সাজেককে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। প্রথমেই টুরিস্টরা জিজ্ঞেস করেন, আপনার রিসোর্টটা কি মিজোরাম ভিউ? নাকি রাঙামাটি ভিউ? এখন একটা ডেসটিনেশনে দুটো ভিউ অবশ্যই থাকবে। কক্সবাজারে গেলে যেমন আমরা সি ভিউ রুম নিই অথবা হিল ভিউ রুম নিই। কিন্তু সাজেকে রিসোর্টগুলো ছোট ছোট। যখন কেউ জানে যে মিজোরাম ভিউ নয় রাঙামাটি ভিউ, তখন পর্যটকদের আগ্রহ কমে যায়। রাঙামাটি ভিউয়ের দিক থেকে মিজোরাম দেখা যায় না। আর ওখানে রুম থেকে দেখার তেমন কিছু নেই। এটা বাইরে গিয়ে দেখতে হয়। এই যে তথ্যগুলো এভাবে প্রচার করা হচ্ছে, তাতে টুরিস্টদের ওপর আগেই একটা প্রভাব পড়ে যায়। ওখানে যাওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়ে যায় আগে থেকেই। যেটা কাম্য নয়।
প্রশ্ন: যেখানে প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করে টুরিস্ট প্লেসগুলো হচ্ছে, সেখানে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট…
মনিরুজ্জামান: খুব বড় রকমের একটা উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন: আমাদের পাহাড়গুলোতে যখনই কোনো একটা সমস্যা দেখা যায়, তখনই সেখানে ফরেন টুরিস্টদের রেস্ট্রিকশন থাকে। সে ক্ষেত্রে বিদেশি পর্যটকদের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকি মনে করছেন কি না, সামনের দিকে?
মনিরুজ্জামান: আসলে বিদেশি পর্যটকদের আগেই বলা হয়, আপনাদের জন্য রেড অ্যালার্ট এলাকা। তো এই রেড অ্যালার্টকে উপেক্ষা করে যারা ইন্টারেস্টেড, তারা আসতে চায়। রেড অ্যালার্ট না থাকলেও তাকে কিন্তু অনুমতি নিতে হয়। এটা পুরো হিল ট্র্যাকের নিয়ম। তো তখন এটা নিতে গেলে আমাদের বেগ পেতে হয়, যখন অভিযান চলে। টোটালি পারমিশনটা কিন্তু দেবে না। আমার জানা মতে, গত বছর অনেক গ্রুপকে আমরা ডিনাই করেছি।
বান্দরবান বা সাজেক যাওয়ার কথা ছিল, পারমিশন মেলেনি। যেহেতু অভিযান চলছিল। এ ধরনের কোনো অভিযান হলে ফরেনারদের আমরা ডিসকারেজ করি যে ওখানে যাওয়াটা আসলে উচিত হবে না বা ঠিক হবে না। প্রশাসন থেকে তো একটা নিষেধ থাকেই। সেদিক থেকে আমি মনে করি যে যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের পাহাড়ে শান্তি ফিরে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাহাড় পর্যটনটা সেভাবে ফ্লারিশ করবে না।
প্রশ্ন: আমাদের টুরিজম বোর্ডের কাজ তো বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা। বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে আসার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার, যেমন বিদেশি পর্যটকদের জন্য অনুমতির দরকার। এই পারমিশনগুলো পাওয়ার ক্ষেত্রে টুরিজম বোর্ড আপনাদের কোনো রকম সহায়তা করে কি না?
মনিরুজ্জামান: এই সব পারমিশন দেওয়ার ব্যাপারে টুরিজম বোর্ড সরাসরি কোনো সাপোর্ট আমাদের দেয় না। আসলে টুরিজম বোর্ডের কাজটা হলো প্রচার-প্রচারণা এবং আমাদের ডেসটিনেশন সম্পর্কে জানানো। কিন্তু লজিস্টিক অথবা প্রশাসনিক সাপোর্ট টুরিজম বোর্ড দেয় না বা দিতে পারে না। এটা তাদের এখতিয়ারে পড়ে না। তাদের কাজটি হচ্ছে ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া বা ব্রিজিং করা। সেদিক থেকেও আমরা সে রকমভাবে টুরিজম বোর্ডের সহযোগিতা পাচ্ছি, তা নয়। তবে আমরা মনে করি, টুরিজম বোর্ডের আরও উদ্যোগী হওয়া উচিত এই ডেসটিনেশনগুলোকে তুলে ধরার জন্য।
সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের সুন্দর এই দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন...
১১ ঘণ্টা আগেখাসির মাংসের নানান পদ তো রেঁধেছেন, এবার অতিথি এলে না হয় ভিন্ন স্বাদেই খাসির মাংস রান্না করলেন। আপনাদের জন্য সহজ উপায়ে খাসির মাংস রান্নার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেশরতের ভীষণ গরম। রাতের খাবারে মুখরোচক কোনো খাবার খেতে ইচ্ছা করছে? কিন্তু গরমে খেয়ে আরাম পাওয়া যাবে, এমন সহজ রান্না কী হতে পারে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না, তাই তো? আপনাদের জন্য ভাজা কই মাছের রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেঋতুভেদে ত্বকযত্নের উপকরণ বদলাতে হয়। নইলে সেই প্রবাদের মতো, সময়ের গান অসময়ে হয়ে যায়। তাতে ত্বকের উপকার হয় না। শরৎকালের আবহাওয়া খানিক উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করে। এই প্রচণ্ড গরম তো এই বৃষ্টি। এদিকে সারাক্ষণ বইছে ঝিরিঝিরি হওয়া। ভ্যাপসা গরমে ঘাম হচ্ছে প্রচুর।
১ দিন আগে