প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
যুগে যুগে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত ডায়েট অনুসরণ করেন নারীরা। তেমনি একটি হলো টেপওয়ার্ম ডায়েট বা ফিতা কৃমির ডায়েট! উনিশ শতকের শুরুতে এই ডায়েট নিয়ে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হতো।
এই ডায়েটে ফিতা কৃমির ডিম ভর্তি একটি বড়ি খাওয়া হতো। এই ডায়েটের তত্ত্ব ছিল, পেটে গিয়ে ডিমগুলো ফুটে কৃমি জন্মাবে। অন্ত্রের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হবে কৃমিগুলো, একপর্যায়ে বংশ বিস্তারও করবে। আর যারা এই ডায়েটে রয়েছেন তাঁরা যত খুশি খেতে পারবেন, কিন্তু মোটা হবেন না। এই ডায়েট করলে ওজন কমতো, কিন্তু ডায়রিয়া ও প্রচুর বমি হতো।
তখনকার নারীরা কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছে গেলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতেন। কিন্তু তার আগেই পেট ও মলদ্বারের ক্ষতি হয়ে যেত, ফলে পরবর্তীতে নানা জটিলতা দেখা দিত।
এই ডায়েট অনেক দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ফিতা কৃমি দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই ডায়েট মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, মৃগীরোগ এবং ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্ট)–সহ অনেক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
এই কৃমি মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও। কৃমির কারণে মস্তিষ্কে পানিও জমতে পারে ও সিস্ট (জলকোষ) হতে পারে। সিস্ট হলে অপারেশনও করতে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে শুধু কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না। প্রদাহ বা খিঁচুনি কমানোর ওষুধও দিতে হয়।
এ ছাড়া কৃমি হলে কিছু মানুষের কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। অন্ত্রের কৃমিগুলোর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করার পরও প্রচুর শর্করা উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে ওজন বাড়ে।
খাদ্য ইতিহাসবিদ অ্যানি গ্রে বলেন, ‘উনিশ শতকের সময় ডায়েটিং একটি বড় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপক বিজ্ঞাপন ডায়েট পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছিল। প্রচুর ডায়েট পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। সেলিব্রিটি ও গণমাধ্যমের প্রসার সেসময় ডায়েট শিল্পের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।
অনেক বছর পর বিশ শতকের জনপ্রিয় মার্কিন অপেরা গায়িকা মারিয়া ক্যালাস ওজন কমানোর জন্য এ ধরনের পরজীবী খেয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে অনেকে বলেছেন, এটি শুধুই গুজব!
যুগে যুগে ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন অদ্ভুত ডায়েট অনুসরণ করেন নারীরা। তেমনি একটি হলো টেপওয়ার্ম ডায়েট বা ফিতা কৃমির ডায়েট! উনিশ শতকের শুরুতে এই ডায়েট নিয়ে বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হতো।
এই ডায়েটে ফিতা কৃমির ডিম ভর্তি একটি বড়ি খাওয়া হতো। এই ডায়েটের তত্ত্ব ছিল, পেটে গিয়ে ডিমগুলো ফুটে কৃমি জন্মাবে। অন্ত্রের ভেতর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিয়ে ধীরে ধীরে বড় হবে কৃমিগুলো, একপর্যায়ে বংশ বিস্তারও করবে। আর যারা এই ডায়েটে রয়েছেন তাঁরা যত খুশি খেতে পারবেন, কিন্তু মোটা হবেন না। এই ডায়েট করলে ওজন কমতো, কিন্তু ডায়রিয়া ও প্রচুর বমি হতো।
তখনকার নারীরা কাঙ্ক্ষিত ওজনে পৌঁছে গেলে কৃমিনাশক ওষুধ খেতেন। কিন্তু তার আগেই পেট ও মলদ্বারের ক্ষতি হয়ে যেত, ফলে পরবর্তীতে নানা জটিলতা দেখা দিত।
এই ডায়েট অনেক দিক দিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ। একটি ফিতা কৃমি দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট (৯ মিটার) পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই ডায়েট মাথাব্যথা, চোখের সমস্যা, মেনিনজাইটিস, মৃগীরোগ এবং ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্ট)–সহ অনেক অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
এই কৃমি মস্তিষ্কে পৌঁছে গেলে স্মৃতি ও দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও। কৃমির কারণে মস্তিষ্কে পানিও জমতে পারে ও সিস্ট (জলকোষ) হতে পারে। সিস্ট হলে অপারেশনও করতে হতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে শুধু কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে কাজ হয় না। প্রদাহ বা খিঁচুনি কমানোর ওষুধও দিতে হয়।
এ ছাড়া কৃমি হলে কিছু মানুষের কার্বোহাইড্রেট (শর্করা) আসক্তি অনেক বেড়ে যায়। অন্ত্রের কৃমিগুলোর জন্য পুষ্টি সরবরাহ করার পরও প্রচুর শর্করা উদ্বৃত্ত থাকে। ফলে ওজন বাড়ে।
খাদ্য ইতিহাসবিদ অ্যানি গ্রে বলেন, ‘উনিশ শতকের সময় ডায়েটিং একটি বড় বাণিজ্যে পরিণত হয়েছিল। ব্যাপক বিজ্ঞাপন ডায়েট পণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছিল। প্রচুর ডায়েট পণ্য বিক্রি হচ্ছিল। সেলিব্রিটি ও গণমাধ্যমের প্রসার সেসময় ডায়েট শিল্পের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে।
অনেক বছর পর বিশ শতকের জনপ্রিয় মার্কিন অপেরা গায়িকা মারিয়া ক্যালাস ওজন কমানোর জন্য এ ধরনের পরজীবী খেয়েছিলেন। যদিও পরবর্তীতে অনেকে বলেছেন, এটি শুধুই গুজব!
ঘড়ি কেবল সময় দেখার যন্ত্র নয়। বহু আগেই ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘড়ির ভিন্ন রূপে ফিরে আসা নিয়ে ‘ওয়াচেস অ্যান্ড ওয়ান্ডার্স’ নামের বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে জেনেভায়। যেখানে নামীদামি সব ব্র্যান্ড নিজেদের ঘড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছে।
২০ ঘণ্টা আগেতরমুজ গ্রীষ্মকালের অন্যতম জনপ্রিয় ফল। তাজা, রসাল এবং মিষ্টি না হলে এই ফলে সত্যিকার স্বাদ পাওয়া যায় না। তরমুজ কেবল সুস্বাদুই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। গরমকালে তরমুজ হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে, কারণ এর বেশির ভাগই পানি। এতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রয়েছে।
১ দিন আগেরাশা থাডানির দিকে তাকালে তরুণী রাভিনার কথা মনে পড়বে অনেকের। রাশা থাডানির জেল্লাদার ত্বক দারুণ ঈর্ষণীয়। হ্যাঁ, স্বীকার করতে হবে এমন ত্বক পেতে বেশ পরিশ্রম করতে হয় তাঁকে। সুন্দর ও তরতাজা থাকার জন্য এই গ্রীষ্মে না হয় রাশার রূপ রুটিনই অনুসরণ করলেন।
২ দিন আগেহেঁশেলের জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখছেন বুঝি? উফ, ঠান্ডা ঠান্ডা কী সুন্দর বৃষ্টিভেজা বাতাস বইছে। চট করে দুপুর বা রাতের খাবারের মেনুটা বদলে ফেলবেন নাকি? খিচুড়ির সঙ্গে একটা ভিন্ন পদের মুরগির মাংস হলে জমে যায় কিন্তু! আপনাদের জন্য চিকেন স্টিমার কারির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন ফুড কলামিস্ট ছন্দা ব্যানার্জি...
২ দিন আগে