সানজিদা সামরিন
ঢাকা: গ্রীষ্মের দুপুরবেলা ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর পেরিয়ে বাড়িতে অতিথি এলো। গৃহকর্ত্রী তড়িঘড়ি করে বারান্দা থেকে জলচৌকি আর তালপাতায় তৈরি হাতপাখা নিয়ে এগিয়ে দেন। ছায়ায় বসিয়ে পরম যত্নে বাতাস করতে থাকেন ক্লান্ত–শ্রান্ত অতিথিকে। লোডশেডিং ব্যতীত এই দৃশ্য আজকাল গ্রামেও দেখা যায় না।
বনেদি পরিবারগুলোয় দেখা যেত বড়সড়ো আকারের হাতপাখা। সে পাখায় বাড়ির বউয়েরা টুকটুকে লাল কাপড়ে কুঁচি তুলে ঝালর লাগাতেন নিজ হাতেই। বিকেলবেলা উঠোনে পাটি বিছিয়ে গল্প–হাসি–ঠাট্টায় মেতে এই কাজগুলো করতেন তারা। শুধু তালের পাখাই নয়, বাঁশের পাখাও অনেকে বাড়িতে তৈরি করে নিতেন।
বাঁশ চিরে পাতলা করে কেটে বুনে নিতে হতো এই পাখা বানানোর জন্য। এ ধরনের পাখার হাতলে লাগানো থাকত বাঁশ অথবা ধাতব গোলাকার একটি সিলিন্ডার। তাতে সহজে ঘোরানো যেত পাখা। শৌখিন বধূরা এই পাখার কিনারঘেঁষেও পাড় বসাতেন। অনেক সময় শাড়ির জরি–পাড় কেটে এই পাখায় বসানো হতো।
তালপাতা বা বাঁশের তৈরি ছাড়াও কাপড় দিয়ে তৈরি হতো নকশিপাখা। গোল বা চারকোনা বাঁশের ফ্রেমে মনমতো রঙের সুতি কাপড় আটকে তাতে রং–বেরঙের সুতো দিয়ে নকশা করা হতো। কাঁথায় স্টিচ, চেইন, উল্টো ক্রস আরও কত ধরনের সেলাই দিয়ে ঝি–বউরা এঁকে ফেলতেন দোয়েল, শাপলা, গাছ, লতা, সূর্য আরও কত কি। কোনো কোনো পাখায় মিহি সুতায় লিখতেন সরল দু–এক লাইন পদ্য। আবার লেখা হতো খনার বচন।
তবে কাপড়ের তৈরি পাখার ব্যবহার শহরে তেমন দেখা না গেলেও তালপাতার পাখা এখনো বিভিন্ন স্থানে কিনতে পাওয়া যায়। অনেকে ব্যবহারও করেন। তবে নান্দনিকরূপে বা দেশীয় ঘরানায় ঘর সাজাতে অনেকে তালপাতার পাখা রাখেন। সে ক্ষেত্রে ওই যে আগের মতোই পাখায় লাল ফিতে, লেস বা সিনথেটিক কাপড় লাগিয়ে পাখার গায়ে লাল, সবুজ রং দিয়ে নকশা করে দেয়ালে সাজিয়ে রাখা হয়।
তালপাতার পাখাসহ বিভিন্ন ধরনের পাখা পাওয়া যাবে আড়ং, অঞ্জন’স, কে ক্র্যাফটসহ বেশকিছু দেশীয় ফ্যাশন হাউসে। এ ছাড়াও দোয়েল চত্বর, ধানমন্ডি লেক ও আশপাশে তালের পাখা পাওয়া যায়। দারাজে পাওয়া যাবে নকশি ও বাঁশের তৈরি পাখা। দাম পড়বে ১২০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮০ টাকা পর্যন্ত। এসব জায়গা ছাড়াও শপিং মলের আশপাশে খোঁজ করতে পারেন তালের পাখা।
ঢাকা: গ্রীষ্মের দুপুরবেলা ঝাঁঝাঁ রোদ্দুর পেরিয়ে বাড়িতে অতিথি এলো। গৃহকর্ত্রী তড়িঘড়ি করে বারান্দা থেকে জলচৌকি আর তালপাতায় তৈরি হাতপাখা নিয়ে এগিয়ে দেন। ছায়ায় বসিয়ে পরম যত্নে বাতাস করতে থাকেন ক্লান্ত–শ্রান্ত অতিথিকে। লোডশেডিং ব্যতীত এই দৃশ্য আজকাল গ্রামেও দেখা যায় না।
বনেদি পরিবারগুলোয় দেখা যেত বড়সড়ো আকারের হাতপাখা। সে পাখায় বাড়ির বউয়েরা টুকটুকে লাল কাপড়ে কুঁচি তুলে ঝালর লাগাতেন নিজ হাতেই। বিকেলবেলা উঠোনে পাটি বিছিয়ে গল্প–হাসি–ঠাট্টায় মেতে এই কাজগুলো করতেন তারা। শুধু তালের পাখাই নয়, বাঁশের পাখাও অনেকে বাড়িতে তৈরি করে নিতেন।
বাঁশ চিরে পাতলা করে কেটে বুনে নিতে হতো এই পাখা বানানোর জন্য। এ ধরনের পাখার হাতলে লাগানো থাকত বাঁশ অথবা ধাতব গোলাকার একটি সিলিন্ডার। তাতে সহজে ঘোরানো যেত পাখা। শৌখিন বধূরা এই পাখার কিনারঘেঁষেও পাড় বসাতেন। অনেক সময় শাড়ির জরি–পাড় কেটে এই পাখায় বসানো হতো।
তালপাতা বা বাঁশের তৈরি ছাড়াও কাপড় দিয়ে তৈরি হতো নকশিপাখা। গোল বা চারকোনা বাঁশের ফ্রেমে মনমতো রঙের সুতি কাপড় আটকে তাতে রং–বেরঙের সুতো দিয়ে নকশা করা হতো। কাঁথায় স্টিচ, চেইন, উল্টো ক্রস আরও কত ধরনের সেলাই দিয়ে ঝি–বউরা এঁকে ফেলতেন দোয়েল, শাপলা, গাছ, লতা, সূর্য আরও কত কি। কোনো কোনো পাখায় মিহি সুতায় লিখতেন সরল দু–এক লাইন পদ্য। আবার লেখা হতো খনার বচন।
তবে কাপড়ের তৈরি পাখার ব্যবহার শহরে তেমন দেখা না গেলেও তালপাতার পাখা এখনো বিভিন্ন স্থানে কিনতে পাওয়া যায়। অনেকে ব্যবহারও করেন। তবে নান্দনিকরূপে বা দেশীয় ঘরানায় ঘর সাজাতে অনেকে তালপাতার পাখা রাখেন। সে ক্ষেত্রে ওই যে আগের মতোই পাখায় লাল ফিতে, লেস বা সিনথেটিক কাপড় লাগিয়ে পাখার গায়ে লাল, সবুজ রং দিয়ে নকশা করে দেয়ালে সাজিয়ে রাখা হয়।
তালপাতার পাখাসহ বিভিন্ন ধরনের পাখা পাওয়া যাবে আড়ং, অঞ্জন’স, কে ক্র্যাফটসহ বেশকিছু দেশীয় ফ্যাশন হাউসে। এ ছাড়াও দোয়েল চত্বর, ধানমন্ডি লেক ও আশপাশে তালের পাখা পাওয়া যায়। দারাজে পাওয়া যাবে নকশি ও বাঁশের তৈরি পাখা। দাম পড়বে ১২০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৮০ টাকা পর্যন্ত। এসব জায়গা ছাড়াও শপিং মলের আশপাশে খোঁজ করতে পারেন তালের পাখা।
বিমানে ভ্রমণ সাধারণত নিরাপদ। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কয়েকটি বিমানবন্দর রয়েছে, যেগুলোতে অবতরণ বা উড্ডয়ন যে কাউকে দমবন্ধ করা অভিজ্ঞতা দিতে পারে। স্বল্পদৈর্ঘ্যের রানওয়ে, পাহাড় ইত্যাদি কারণে সেই বিমানবন্দরগুলো বিপজ্জনক; বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ পাওয়া বৈমানিকেরাই সেসব বিমানবন্দরে বিমান উড্ডয়ন বা অবতরণ করাতে পারে
১১ ঘণ্টা আগেসাম্প্রতিক বছরগুলোতে মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিকাব, বোরকা ইত্যাদি পোশাক জনপরিসরে নিষিদ্ধ করার প্রবণতা দেখা গেছে। এই পদক্ষেপগুলো ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয় পরিচয় জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও এ বিষয়ে সমালোচনা রয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেবাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর হালকা নাশতা তৈরি করে নিন। আপনাদের জন্য রঙিন ফ্রুট চাট ও মসলাদার কাবলি সালাদের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের ট্রেইনার অ্যান্ড অ্যাসেসর (কুকিং) ও সেরা রাঁধুনির ১৪২৯ এর ৫ম স্থান জয়ী আলভী রহমান শোভন।
১৬ ঘণ্টা আগেআপনি যতই ট্রেন্ড অনুসরণ করুন না কেন, জন্মসূত্রে বাঙালি মানে শাড়ি আপনার আত্মার আত্মা। কিশোরী থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ—শাড়ি পরার ব্যাপারটা যেন উৎসবতুল্য। আসলে শাড়ি নামের এ পোশাকই তো বৈচিত্র্যময়। শাড়ির রয়েছে রকমফের। আবার কত কায়দায়ই না পরা যায় এটি। তবে আরামের বেলায় হাফ সিল্ক শাড়ির কদরই আলাদা।
১৬ ঘণ্টা আগে