মুফতি খালিদ কাসেমি
আরবি তাওয়াক্কুল শব্দের অর্থ ভরসা করা, নির্ভর করা। শরিয়তের পরিভাষায়, কোনো কাজে উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার পর আল্লাহ তাআলার ওপর পূর্ণ ভরসা রাখার নাম তাওয়াক্কুল। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘...মুমিনদের তো আল্লাহর ওপরই নির্ভর করা উচিত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২২)
উপায়-উপকরণ অবলম্বন করা ছাড়া হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকে আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা করার নাম কখনোই তাওয়াক্কুল নয়। বরং উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার পর তাঁর ওপর ভরসা করার নামই তাওয়াক্কুল। তবে বান্দা কেবল উপায়-উপকরণের ওপর ভরসা করে বসে থাকবে না। বরং আল্লাহ তাআলাই একমাত্র ক্ষতি এবং উপকারের মালিক—এই বিশ্বাস অন্তরে লালন করবেন।
মহানবী (সা.) আল্লাহর ওপর সবার চেয়ে বেশি ভরসা করতেন। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে তিনি আল্লাহর ওপর ভরসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উপায়-উপকরণ অবলম্বন করেছেন। যাতে মানুষ শেখে, উপায়-উপকরণ অবলম্বন করা তাওয়াক্কুল বিরোধী নয়।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘নবী (সা.) মক্কা বিজয়ের বছর যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তাঁর মাথায় লোহার শিরস্ত্রাণ ছিল।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘নবী (সা.) বনু নাজিরের খেজুর বিক্রি করতেন এবং পরিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য জোগাড় করে রাখতেন।’ (বুখারি)
উল্লিখিত দুই হাদিসে নবী (সা.)-এর উপায়-উপকরণ গ্রহণের বর্ণনা রয়েছে। এতে উম্মতের শেখার বিষয় হলো, উপায়-উপকরণ অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা যদি প্রকৃতভাবেই আল্লাহ তাআলার ওপর নির্ভরশীল হতে, তাহলে পাখিদের যেভাবে রিজিক দেওয়া হয়, সেভাবে তোমাদেরও রিজিক দেওয়া হতো। এরা সকালে খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে।’ (তিরমিজি) এই হাদিস থেকে উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার গুরুত্ব বোঝা যায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরবি তাওয়াক্কুল শব্দের অর্থ ভরসা করা, নির্ভর করা। শরিয়তের পরিভাষায়, কোনো কাজে উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার পর আল্লাহ তাআলার ওপর পূর্ণ ভরসা রাখার নাম তাওয়াক্কুল। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘...মুমিনদের তো আল্লাহর ওপরই নির্ভর করা উচিত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১২২)
উপায়-উপকরণ অবলম্বন করা ছাড়া হাত-পা গুটিয়ে বসে থেকে আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা করার নাম কখনোই তাওয়াক্কুল নয়। বরং উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার পর তাঁর ওপর ভরসা করার নামই তাওয়াক্কুল। তবে বান্দা কেবল উপায়-উপকরণের ওপর ভরসা করে বসে থাকবে না। বরং আল্লাহ তাআলাই একমাত্র ক্ষতি এবং উপকারের মালিক—এই বিশ্বাস অন্তরে লালন করবেন।
মহানবী (সা.) আল্লাহর ওপর সবার চেয়ে বেশি ভরসা করতেন। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে তিনি আল্লাহর ওপর ভরসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উপায়-উপকরণ অবলম্বন করেছেন। যাতে মানুষ শেখে, উপায়-উপকরণ অবলম্বন করা তাওয়াক্কুল বিরোধী নয়।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘নবী (সা.) মক্কা বিজয়ের বছর যখন মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন তাঁর মাথায় লোহার শিরস্ত্রাণ ছিল।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘নবী (সা.) বনু নাজিরের খেজুর বিক্রি করতেন এবং পরিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য জোগাড় করে রাখতেন।’ (বুখারি)
উল্লিখিত দুই হাদিসে নবী (সা.)-এর উপায়-উপকরণ গ্রহণের বর্ণনা রয়েছে। এতে উম্মতের শেখার বিষয় হলো, উপায়-উপকরণ অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
হাদিসে এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা যদি প্রকৃতভাবেই আল্লাহ তাআলার ওপর নির্ভরশীল হতে, তাহলে পাখিদের যেভাবে রিজিক দেওয়া হয়, সেভাবে তোমাদেরও রিজিক দেওয়া হতো। এরা সকালে খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফিরে আসে।’ (তিরমিজি) এই হাদিস থেকে উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার গুরুত্ব বোঝা যায়।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য একটি আদর্শ পরিবার গঠন। যে পরিবারের সদস্যরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর আদেশগুলো পালন করবে, নিষেধসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
২ দিন আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
৩ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
৩ দিন আগে