মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ও শিক্ষায় ইসলামের মূল চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রাথমিক জীবন
হাসান বসরি ২১ হিজরিতে (৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াসার ও মা খায়রা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের সেবক ছিলেন। তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সেবা করতেন এবং ছোটবেলায় তিনি উম্মে সালামার কাছ থেকেই মহানবী (সা.)-এর জীবন, শিক্ষা ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এ শিক্ষাই পরবর্তীতে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আধ্যাত্মিক বিকাশ
ছোটবেলা থেকেই হাসান জ্ঞানার্জনে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের কাছ থেকে কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফিকহের জ্ঞান লাভ করেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.), আবু হুরায়রা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেন। পরবর্তীতে বসরায় বসতি স্থাপন করেন, যা সেসময় ইসলামের জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও দাওয়াহর মাধ্যমে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার মশাল প্রজ্বলিত করেন।
বিশেষ খ্যাতি
হাসান বসরি (রহ.) ইসলামি চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন—
তাসাউফের ভিত্তি স্থাপন: তাঁকে তাসাউফ বা সুফিবাদের অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আত্মশুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অন্তরকে শুদ্ধ করতে পারেনি, তার জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই।’
তাওয়াক্কুল: তিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দিতেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল। তিনি বলতেন, ‘তাওয়াক্কুল মানে হলো, যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহর জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং কেবল তাঁর কাছেই চাওয়া।’
তাকওয়া ও নৈতিকতা: তিনি দুনিয়ার লোভ থেকে দূরে থেকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের অন্তর যদি বিশুদ্ধ হয়, তবে দুনিয়ার মোহ তোমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
হাসান বসরির শিক্ষা
তাঁর শিক্ষা চারটি মূল বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল—
আত্মশুদ্ধি: নিজের আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত রাখা।
আল্লাহর ভয় ও প্রেম: আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ভয় রাখা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়ার বিলাসিতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা।
সবর: জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা।
সাহিত্যকর্ম
তিনি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। তবে তাঁর বক্তৃতা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন তাসাউফের গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন—
ইমাম গাজ্জালির ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
ইবনুল জাওযির সিফাত আস-সাফওয়া।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
হাসান বসরি (রহ.) ১১০ হিজরিতে (৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে) বসরায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন মহান চিন্তাবিদ ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশককে হারায়। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের সুফি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইমাম গাজ্জালি, আল-জুনাইদ এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ সুফিরা তাঁর শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
হাসান বসরি (রহ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর নৈতিক শিক্ষা, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির দর্শন আমাদের জন্য এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি—আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সূত্র:
১. ইবনুল জাওযি, সিফাত আস-সাফওয়া।
২. ইমাম গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
৩. আল-তাবারি, তারিখ আল-রুসুল ওয়া আল-মুলুক।
৪. মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, সিরাতু রাসুলিল্লাহ।

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ও শিক্ষায় ইসলামের মূল চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রাথমিক জীবন
হাসান বসরি ২১ হিজরিতে (৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াসার ও মা খায়রা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের সেবক ছিলেন। তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সেবা করতেন এবং ছোটবেলায় তিনি উম্মে সালামার কাছ থেকেই মহানবী (সা.)-এর জীবন, শিক্ষা ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এ শিক্ষাই পরবর্তীতে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আধ্যাত্মিক বিকাশ
ছোটবেলা থেকেই হাসান জ্ঞানার্জনে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের কাছ থেকে কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফিকহের জ্ঞান লাভ করেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.), আবু হুরায়রা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেন। পরবর্তীতে বসরায় বসতি স্থাপন করেন, যা সেসময় ইসলামের জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও দাওয়াহর মাধ্যমে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার মশাল প্রজ্বলিত করেন।
বিশেষ খ্যাতি
হাসান বসরি (রহ.) ইসলামি চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন—
তাসাউফের ভিত্তি স্থাপন: তাঁকে তাসাউফ বা সুফিবাদের অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আত্মশুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অন্তরকে শুদ্ধ করতে পারেনি, তার জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই।’
তাওয়াক্কুল: তিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দিতেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল। তিনি বলতেন, ‘তাওয়াক্কুল মানে হলো, যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহর জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং কেবল তাঁর কাছেই চাওয়া।’
তাকওয়া ও নৈতিকতা: তিনি দুনিয়ার লোভ থেকে দূরে থেকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের অন্তর যদি বিশুদ্ধ হয়, তবে দুনিয়ার মোহ তোমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
হাসান বসরির শিক্ষা
তাঁর শিক্ষা চারটি মূল বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল—
আত্মশুদ্ধি: নিজের আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত রাখা।
আল্লাহর ভয় ও প্রেম: আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ভয় রাখা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়ার বিলাসিতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা।
সবর: জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা।
সাহিত্যকর্ম
তিনি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। তবে তাঁর বক্তৃতা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন তাসাউফের গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন—
ইমাম গাজ্জালির ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
ইবনুল জাওযির সিফাত আস-সাফওয়া।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
হাসান বসরি (রহ.) ১১০ হিজরিতে (৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে) বসরায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন মহান চিন্তাবিদ ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশককে হারায়। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের সুফি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইমাম গাজ্জালি, আল-জুনাইদ এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ সুফিরা তাঁর শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
হাসান বসরি (রহ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর নৈতিক শিক্ষা, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির দর্শন আমাদের জন্য এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি—আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সূত্র:
১. ইবনুল জাওযি, সিফাত আস-সাফওয়া।
২. ইমাম গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
৩. আল-তাবারি, তারিখ আল-রুসুল ওয়া আল-মুলুক।
৪. মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, সিরাতু রাসুলিল্লাহ।
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ও শিক্ষায় ইসলামের মূল চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রাথমিক জীবন
হাসান বসরি ২১ হিজরিতে (৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াসার ও মা খায়রা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের সেবক ছিলেন। তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সেবা করতেন এবং ছোটবেলায় তিনি উম্মে সালামার কাছ থেকেই মহানবী (সা.)-এর জীবন, শিক্ষা ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এ শিক্ষাই পরবর্তীতে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আধ্যাত্মিক বিকাশ
ছোটবেলা থেকেই হাসান জ্ঞানার্জনে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের কাছ থেকে কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফিকহের জ্ঞান লাভ করেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.), আবু হুরায়রা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেন। পরবর্তীতে বসরায় বসতি স্থাপন করেন, যা সেসময় ইসলামের জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও দাওয়াহর মাধ্যমে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার মশাল প্রজ্বলিত করেন।
বিশেষ খ্যাতি
হাসান বসরি (রহ.) ইসলামি চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন—
তাসাউফের ভিত্তি স্থাপন: তাঁকে তাসাউফ বা সুফিবাদের অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আত্মশুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অন্তরকে শুদ্ধ করতে পারেনি, তার জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই।’
তাওয়াক্কুল: তিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দিতেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল। তিনি বলতেন, ‘তাওয়াক্কুল মানে হলো, যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহর জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং কেবল তাঁর কাছেই চাওয়া।’
তাকওয়া ও নৈতিকতা: তিনি দুনিয়ার লোভ থেকে দূরে থেকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের অন্তর যদি বিশুদ্ধ হয়, তবে দুনিয়ার মোহ তোমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
হাসান বসরির শিক্ষা
তাঁর শিক্ষা চারটি মূল বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল—
আত্মশুদ্ধি: নিজের আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত রাখা।
আল্লাহর ভয় ও প্রেম: আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ভয় রাখা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়ার বিলাসিতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা।
সবর: জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা।
সাহিত্যকর্ম
তিনি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। তবে তাঁর বক্তৃতা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন তাসাউফের গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন—
ইমাম গাজ্জালির ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
ইবনুল জাওযির সিফাত আস-সাফওয়া।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
হাসান বসরি (রহ.) ১১০ হিজরিতে (৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে) বসরায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন মহান চিন্তাবিদ ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশককে হারায়। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের সুফি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইমাম গাজ্জালি, আল-জুনাইদ এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ সুফিরা তাঁর শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
হাসান বসরি (রহ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর নৈতিক শিক্ষা, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির দর্শন আমাদের জন্য এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি—আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সূত্র:
১. ইবনুল জাওযি, সিফাত আস-সাফওয়া।
২. ইমাম গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
৩. আল-তাবারি, তারিখ আল-রুসুল ওয়া আল-মুলুক।
৪. মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, সিরাতু রাসুলিল্লাহ।

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত। তাঁর জীবন ও শিক্ষায় ইসলামের মূল চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।
প্রাথমিক জীবন
হাসান বসরি ২১ হিজরিতে (৬৪২ খ্রিষ্টাব্দে) মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ইয়াসার ও মা খায়রা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ঘরের সেবক ছিলেন। তাঁর মা উম্মে সালামা (রা.)-এর সেবা করতেন এবং ছোটবেলায় তিনি উম্মে সালামার কাছ থেকেই মহানবী (সা.)-এর জীবন, শিক্ষা ও হাদিস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন। এ শিক্ষাই পরবর্তীতে তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
আধ্যাত্মিক বিকাশ
ছোটবেলা থেকেই হাসান জ্ঞানার্জনে গভীর আগ্রহী ছিলেন। তিনি তৎকালীন প্রসিদ্ধ সাহাবি ও তাবেয়িদের কাছ থেকে কোরআন, হাদিস, তাফসির ও ফিকহের জ্ঞান লাভ করেন। আনাস ইবনে মালিক (রা.), আবু হুরায়রা (রা.) এবং আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর সান্নিধ্য লাভ করেন। পরবর্তীতে বসরায় বসতি স্থাপন করেন, যা সেসময় ইসলামের জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল। সেখানেই তিনি শিক্ষা ও দাওয়াহর মাধ্যমে ইসলামি আধ্যাত্মিকতার মশাল প্রজ্বলিত করেন।
বিশেষ খ্যাতি
হাসান বসরি (রহ.) ইসলামি চিন্তা ও আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ ছিলেন—
তাসাউফের ভিত্তি স্থাপন: তাঁকে তাসাউফ বা সুফিবাদের অন্যতম পথিকৃৎ মনে করা হয়। তাঁর শিক্ষা ও জীবনযাত্রা আত্মশুদ্ধির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তিনি বলতেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অন্তরকে শুদ্ধ করতে পারেনি, তার জ্ঞানের কোনো মূল্য নেই।’
তাওয়াক্কুল: তিনি সর্বদা আল্লাহর ওপর পূর্ণ নির্ভরতার শিক্ষা দিতেন। তাঁর মতে, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে কেবল আল্লাহর ওপর ভরসা করাই প্রকৃত তাওয়াক্কুল। তিনি বলতেন, ‘তাওয়াক্কুল মানে হলো, যা কিছু আছে তা একমাত্র আল্লাহর জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং কেবল তাঁর কাছেই চাওয়া।’
তাকওয়া ও নৈতিকতা: তিনি দুনিয়ার লোভ থেকে দূরে থেকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে জীবনযাপনের ওপর গুরুত্ব দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের অন্তর যদি বিশুদ্ধ হয়, তবে দুনিয়ার মোহ তোমাদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’
হাসান বসরির শিক্ষা
তাঁর শিক্ষা চারটি মূল বিষয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল—
আত্মশুদ্ধি: নিজের আত্মাকে পাপ থেকে মুক্ত রাখা।
আল্লাহর ভয় ও প্রেম: আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা ও ভয় রাখা।
দুনিয়ার মোহ ত্যাগ: দুনিয়ার বিলাসিতা ও আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত থাকা।
সবর: জীবনের কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরে আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখা।
সাহিত্যকর্ম
তিনি নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা করেননি। তবে তাঁর বক্তৃতা, উপদেশ ও শিক্ষাগুলো তাঁর শিষ্যদের মাধ্যমে সংরক্ষিত হয়েছে। এগুলো বিভিন্ন তাসাউফের গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে, যেমন—
ইমাম গাজ্জালির ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
ইবনুল জাওযির সিফাত আস-সাফওয়া।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
হাসান বসরি (রহ.) ১১০ হিজরিতে (৭২৮ খ্রিষ্টাব্দে) বসরায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর মৃত্যুতে মুসলিম উম্মাহ একজন মহান চিন্তাবিদ ও আত্মশুদ্ধির দিকনির্দেশককে হারায়। তাঁর শিক্ষা ও দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের সুফি ও ইসলামি চিন্তাবিদদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ইমাম গাজ্জালি, আল-জুনাইদ এবং অন্যান্য প্রসিদ্ধ সুফিরা তাঁর শিক্ষা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
হাসান বসরি (রহ.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর নৈতিক শিক্ষা, আল্লাহভীতি এবং আত্মশুদ্ধির দর্শন আমাদের জন্য এক চিরন্তন আলোকবর্তিকা। তাঁর জীবন থেকে আমরা শিখি—আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম, তাকওয়া ও তাওয়াক্কুলই মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।
সূত্র:
১. ইবনুল জাওযি, সিফাত আস-সাফওয়া।
২. ইমাম গাজ্জালি, ইহইয়া উলুম আদ-দিন।
৩. আল-তাবারি, তারিখ আল-রুসুল ওয়া আল-মুলুক।
৪. মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, সিরাতু রাসুলিল্লাহ।

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
২৮ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
২৮ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
২৮ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হাসান বসরির আসল নাম আবু সাঈদ আল-হাসান ইবনে ইয়াসার (৬৪২–৭২৮ খ্রিষ্টাব্দ)। ইসলামের প্রাথমিক যুগের একজন প্রসিদ্ধ জ্ঞানতাপস, ধর্মীয় চিন্তাবিদ ও সুফি। তিনি নৈতিকতা, আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি গভীর প্রেম ও তাকওয়ার জন্য সুপরিচিত।
২৮ মার্চ ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে