কাউসার লাবীব
নবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এক অমূল্য অনুভূতি, যা কোনো শর্তে বা সীমায় বাঁধা পড়ে না। সন্তানের মুখে হাসি, তার নিষ্পাপ চাহনি, জীবনের প্রতি তার অপরূপ আগ্রহ—এসবই মা-বাবার জীবনকে পূর্ণতা দেয়। সন্তানের বিন্দুমাত্র কষ্টও তারা সহ্য করতে পারে না।
মহান আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলেন—নবী ইবরাহিম (আ.)-কে এই প্রাণাধিক সন্তানের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন। মহাপরীক্ষায় পড়ে যান তিনি। তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়—নিজ সন্তান ইসমাইলকে আল্লাহর জন্য কোরবানির করার। আল্লাহর প্রতি তার অকৃত্রিম বিশ্বাস আর ভালোবাসায় তিনি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
মহান আল্লাহ তাআলা বন্ধু ইবরাহিমের সেই ত্যাগের বর্ণনা পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন এভাবে—
(ইবরাহিম বললেন) হে আমার প্রতিপালক, তুমি আমাকে এক সৎকর্মশীল ছেলে সন্তান দান কর। অতঃপর আমি তাকে এক অতি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। এরপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছাল—তখন ইবরাহিম বলল, ‘বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবাই করছি। এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ‘হে পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন।
দু’জনেই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল। আর ইবরাহিম তাকে উপুড় করে শুইয়ে দিল—তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ‘হে ইবরাহিম, স্বপ্নে দেওয়া আদেশ তুমি সত্যে পরিণত করেই ছাড়লে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। অবশ্যই এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি এক মহান কোরবানির বিনিময়ে পুত্রটিকে ছাড়িয়ে নিলাম। আর আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম। ইবরাহিমের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। (সুরা সাফফাত: ১০০-১০৯)
নবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এক অমূল্য অনুভূতি, যা কোনো শর্তে বা সীমায় বাঁধা পড়ে না। সন্তানের মুখে হাসি, তার নিষ্পাপ চাহনি, জীবনের প্রতি তার অপরূপ আগ্রহ—এসবই মা-বাবার জীবনকে পূর্ণতা দেয়। সন্তানের বিন্দুমাত্র কষ্টও তারা সহ্য করতে পারে না।
মহান আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলেন—নবী ইবরাহিম (আ.)-কে এই প্রাণাধিক সন্তানের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন। মহাপরীক্ষায় পড়ে যান তিনি। তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়—নিজ সন্তান ইসমাইলকে আল্লাহর জন্য কোরবানির করার। আল্লাহর প্রতি তার অকৃত্রিম বিশ্বাস আর ভালোবাসায় তিনি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
মহান আল্লাহ তাআলা বন্ধু ইবরাহিমের সেই ত্যাগের বর্ণনা পবিত্র কোরআনে দিয়েছেন এভাবে—
(ইবরাহিম বললেন) হে আমার প্রতিপালক, তুমি আমাকে এক সৎকর্মশীল ছেলে সন্তান দান কর। অতঃপর আমি তাকে এক অতি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। এরপর সে যখন তার পিতার সঙ্গে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছাল—তখন ইবরাহিম বলল, ‘বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে জবাই করছি। এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ‘হে পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন।
দু’জনেই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল। আর ইবরাহিম তাকে উপুড় করে শুইয়ে দিল—তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ‘হে ইবরাহিম, স্বপ্নে দেওয়া আদেশ তুমি সত্যে পরিণত করেই ছাড়লে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। অবশ্যই এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি এক মহান কোরবানির বিনিময়ে পুত্রটিকে ছাড়িয়ে নিলাম। আর আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম। ইবরাহিমের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। (সুরা সাফফাত: ১০০-১০৯)
হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
১৩ ঘণ্টা আগেঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
১৫ ঘণ্টা আগেখুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় ঈদ। ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে। তবে বছরে মাত্র দুইবার এই নামাজ পড়ার ফলে অনেকেরই এর নিয়মকানুন মনে থাকে না। ঈদের নামাজ সংক্রান্ত যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলো—
১ দিন আগেআকাশে জিলহজের বাঁকা চাঁদ হাসি দেওয়ার দশম দিন উদ্যাপিত হয় ঈদুল আজহা। এটি মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। ঈদুল আজহা মনের সব কালিমা দূর করে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে, মান-অভিমান বিসর্জন দিয়ে একতা, সমদর্শিতা, ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের দিন। যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজের
২ দিন আগে