কাউসার লাবীব
হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
তখন বিধান ছিল—কোরবানির জন্য নির্ধারিত বস্তু খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া হতো। আল্লাহ যার কোরবানি কবুল করতেন—আকাশ থেকে আগুন এসে তার বস্তু জ্বালিয়ে ফেলতো। আর কবুল না হলে, পড়ে থাকত। এভাবেই কোরবানিদাতা বুঝে নিতেন—তার কোরবানি মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে কী না।
বাবা আদমের নির্দেশে দুই ভাই কোরবানি দিল। কাবিল চাষাবাদ করত আর হাবিল করত পশুপালন। কাবিল নিজের চাষ করা গম থেকে ভালোগুলো খাবারের জন্য রেখে খারাপগুলো কোরবানির জন্য রেখে এল। আর হাবিল তার পশুপালের সবচেয়ে ভালো দুম্বাটি রেখে এলেন কোরবানির জন্য।
কোরবানির মূল বিষয় হলো মনের নিয়ত। আল্লাহ সবার নিয়ত জানেন। রাখেন হৃদয়ের খবর। নিয়তের ত্রুটির কারণে কাবিলের কোরবানি যথাস্থানেই পড়ে থাকল। আর আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে হাবিলের কোরবানি ভস্মীভূত করে দিল। নিয়তের বিশুদ্ধতায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করলেন আদি পিতা আদম (আ.)-এর ছেলে হাবিল। সেখান থেকেই শুরু কোরবানির আয়োজন। চলছে কাল মহাকাল ধরে।
হাবিল-কাবিলের কোরবানির ঘটনা পবিত্র কোরআনে এসেছে এভাবে—
আদমের দুই পুত্রের খবর তাদের সঠিকভাবে জানিয়ে দাও। উভয়ে যখন একটি করে কোরবানি হাজির করেছিল, তখন তাদের একজনের নিকট থেকে কবুল করা হল। অন্যজনের নিকট থেকে কবুল করা হল না। সে বলল, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব। অন্যজন বলল, আল্লাহ কেবল মুত্তাকিদের কোরবানি কবুল করেন। আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি আমার দিকে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার দিকে হাত বাড়াব না। আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি। আমি চাই তুমি আমার ও তোমার পাপের বোঝা বহন কর, আর অগ্নিবাসী হয়ে যাও। অন্যায়কারীদের এটাই প্রতিদান।
অতঃপর তার নফস তাকে ভ্রাতৃহত্যার কাজে প্ররোচিত করল। তাই সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন। কাক মাটি খনন করতে লাগল, সে তার ভাইয়ের লাশ কীভাবে গোপন করবে তা দেখানোর জন্য।
সে বলল, ধিক আমাকে, আমি এই কাকটির মতোও হতে পারলাম না—যাতে আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি! তাই সে অনুতপ্ত হল। (সুরা মায়িদা: ২৭-৩১)
হাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
তখন বিধান ছিল—কোরবানির জন্য নির্ধারিত বস্তু খোলা জায়গায় রেখে দেওয়া হতো। আল্লাহ যার কোরবানি কবুল করতেন—আকাশ থেকে আগুন এসে তার বস্তু জ্বালিয়ে ফেলতো। আর কবুল না হলে, পড়ে থাকত। এভাবেই কোরবানিদাতা বুঝে নিতেন—তার কোরবানি মহান আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে কী না।
বাবা আদমের নির্দেশে দুই ভাই কোরবানি দিল। কাবিল চাষাবাদ করত আর হাবিল করত পশুপালন। কাবিল নিজের চাষ করা গম থেকে ভালোগুলো খাবারের জন্য রেখে খারাপগুলো কোরবানির জন্য রেখে এল। আর হাবিল তার পশুপালের সবচেয়ে ভালো দুম্বাটি রেখে এলেন কোরবানির জন্য।
কোরবানির মূল বিষয় হলো মনের নিয়ত। আল্লাহ সবার নিয়ত জানেন। রাখেন হৃদয়ের খবর। নিয়তের ত্রুটির কারণে কাবিলের কোরবানি যথাস্থানেই পড়ে থাকল। আর আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে হাবিলের কোরবানি ভস্মীভূত করে দিল। নিয়তের বিশুদ্ধতায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করলেন আদি পিতা আদম (আ.)-এর ছেলে হাবিল। সেখান থেকেই শুরু কোরবানির আয়োজন। চলছে কাল মহাকাল ধরে।
হাবিল-কাবিলের কোরবানির ঘটনা পবিত্র কোরআনে এসেছে এভাবে—
আদমের দুই পুত্রের খবর তাদের সঠিকভাবে জানিয়ে দাও। উভয়ে যখন একটি করে কোরবানি হাজির করেছিল, তখন তাদের একজনের নিকট থেকে কবুল করা হল। অন্যজনের নিকট থেকে কবুল করা হল না। সে বলল, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব। অন্যজন বলল, আল্লাহ কেবল মুত্তাকিদের কোরবানি কবুল করেন। আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি আমার দিকে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার দিকে হাত বাড়াব না। আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি। আমি চাই তুমি আমার ও তোমার পাপের বোঝা বহন কর, আর অগ্নিবাসী হয়ে যাও। অন্যায়কারীদের এটাই প্রতিদান।
অতঃপর তার নফস তাকে ভ্রাতৃহত্যার কাজে প্ররোচিত করল। তাই সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন। কাক মাটি খনন করতে লাগল, সে তার ভাইয়ের লাশ কীভাবে গোপন করবে তা দেখানোর জন্য।
সে বলল, ধিক আমাকে, আমি এই কাকটির মতোও হতে পারলাম না—যাতে আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি! তাই সে অনুতপ্ত হল। (সুরা মায়িদা: ২৭-৩১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) নবুওয়াতের আগে থেকেই সততার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেন। ব্যবসা ও লেনদেনে তিনি কখনো প্রতারণা করেননি। তাঁর কাছে যত সম্পদ ও আমানত রাখা হতো, তিনি সব নিখুঁতভাবে ফিরিয়ে দিতেন। এমনকি মক্কার মানুষ তাঁর বিরোধী হলেও আমানত রাখার জন্য প্রথমে তাঁর কাছেই ছুটে যেতেন। কারণ, তাঁকে ছাড়া যে আর কাউকে...
৮ ঘণ্টা আগেগিবত বা পরনিন্দা ইসলামে অত্যন্ত গুরুতর ও ভয়াবহ কবিরা গুনাহ। এর আভিধানিক অর্থ হলো কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষ বা অপছন্দের বিষয় অন্যের সামনে বলা। কোরআনে গিবতকে মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যা চরম ঘৃণিত কাজ।
৮ ঘণ্টা আগেসর্বশেষ নাজিল হওয়া আসমানি গ্রন্থ পবিত্র কোরআন। বিশ্বমানবের হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে এর আগমন। ইসলামের অনুপম নিদর্শন এবং চিরসত্যের ঐশী বাণী। যার তিলাওয়াত মনে প্রশান্তি আনে। অন্তরে রবের প্রকৃত ভালোবাসা এবং অফুরান তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। ইমান সতেজ ও সবল করে।
১৭ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে