মুফতি হাসান আরিফ
ঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
কেউ যদি একেবারে শুরু থেকে ঈদের জামাত না পায়, প্রথম রাকাতে ইমামের কিরাত পড়াকালীন সময়ে এসে শরিক হয়—তাহলে প্রথমে তিনি তাকবিরে তাহরিমা এবং অতিরিক্ত তিন তাকবির বলে ইমামের অনুসরণ করবেন। আর কেউ ইমামকে রুকুতে পেলে যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলেও ইমামকে রুকুতে ধরতে পারবে বলে মনে হয়—তাহলে তাই করবে।
আর যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবির বলে ইমামকে রুকুতে পাওয়া যাবে না বলে মনে হয়, তাহলে শুধু তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুতে চলে যাবে। রুকুতে গিয়ে হাত না উঠিয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। এরপর সময় থাকলে রুকুর তাসবিহ আদায় করবে।
যদি কেউ দ্বিতীয় রাকাতে ইমামের সঙ্গে শরিক হয় তাহলে ইমাম সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সুরা-কেরাত পড়বে এবং রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে। অর্থাৎ ছুটে যাওয়া প্রথম রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে।
আর কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর বা তাশাহুদের পর ঈদের জামাতে শরিক হয়, তাহলে ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সুরা–কেরাতের আগেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। আর দ্বিতীয় রাকাতের কেরাতের পর অতিরিক্ত তাকবির বলে নামাজ শেষ করবে।
ঈদের নামাজ কারও পুরোপুরি ছুটে গেলে আশপাশের অন্য কোনো জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করবে। পরিশেষে যদি নামাজ ছুটেই যায়, তাহলে এর কোনো কাজা নেই। এমন হলে তওবা-ইস্তিগফার করবে। পাশাপাশি চার রাকাত ইশরাকের নফল নামাজ আদায় করে নেবে। তাতে ঈদের নামাজের মতো অতিরিক্ত তাকবির দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র: মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৫৭১৪, বাহরুর রায়েক: ১ / ১৬১, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৫৮১৩, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১ / ১৮৫, ফাতাওয়া শামি: ১ / ৫৬১, বাদায়েউস সানায়ে: ১ / ২৭৯
ঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
কেউ যদি একেবারে শুরু থেকে ঈদের জামাত না পায়, প্রথম রাকাতে ইমামের কিরাত পড়াকালীন সময়ে এসে শরিক হয়—তাহলে প্রথমে তিনি তাকবিরে তাহরিমা এবং অতিরিক্ত তিন তাকবির বলে ইমামের অনুসরণ করবেন। আর কেউ ইমামকে রুকুতে পেলে যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলেও ইমামকে রুকুতে ধরতে পারবে বলে মনে হয়—তাহলে তাই করবে।
আর যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবির বলে ইমামকে রুকুতে পাওয়া যাবে না বলে মনে হয়, তাহলে শুধু তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুতে চলে যাবে। রুকুতে গিয়ে হাত না উঠিয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। এরপর সময় থাকলে রুকুর তাসবিহ আদায় করবে।
যদি কেউ দ্বিতীয় রাকাতে ইমামের সঙ্গে শরিক হয় তাহলে ইমাম সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সুরা-কেরাত পড়বে এবং রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে। অর্থাৎ ছুটে যাওয়া প্রথম রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে।
আর কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর বা তাশাহুদের পর ঈদের জামাতে শরিক হয়, তাহলে ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সুরা–কেরাতের আগেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। আর দ্বিতীয় রাকাতের কেরাতের পর অতিরিক্ত তাকবির বলে নামাজ শেষ করবে।
ঈদের নামাজ কারও পুরোপুরি ছুটে গেলে আশপাশের অন্য কোনো জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করবে। পরিশেষে যদি নামাজ ছুটেই যায়, তাহলে এর কোনো কাজা নেই। এমন হলে তওবা-ইস্তিগফার করবে। পাশাপাশি চার রাকাত ইশরাকের নফল নামাজ আদায় করে নেবে। তাতে ঈদের নামাজের মতো অতিরিক্ত তাকবির দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তথ্যসূত্র: মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৫৭১৪, বাহরুর রায়েক: ১ / ১৬১, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৫৮১৩, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১ / ১৮৫, ফাতাওয়া শামি: ১ / ৫৬১, বাদায়েউস সানায়ে: ১ / ২৭৯
স্নেহ, ভালোবাসা ও কোমলতা—এই গুণগুলো সমাজকে মানবিক ও শান্তিময় করে তোলে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন এই মানবিক গুণাবলির জীবন্ত আদর্শ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ-মমতা ছিল অতুলনীয়।
৫ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজনম অর্থহীন। কোরআন সফলতার মৌলিক পাথেয়। কোরআন সঠিক পথের দিশারি। হাজার বছর ধরে কোরআন এর দেখানো বিমল পথে অটল থেকে সফলতার মানজিলে পৌঁছে গিয়েছে অসংখ্য মানুষ। কোরআনের এই স্নিগ্ধ অফুরন্ত ঝরণাধারা সবার জন্যই অবারিত।
১৯ ঘণ্টা আগেআমাদের এই আধুনিক সমাজ থেকে সভ্যতা, নৈতিকতা ও আদর্শ দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে। এই প্রজন্মের কাছে—ছোট ও বড়র মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নেই বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহের বিষয়ে অনেক গুরুত্ব করেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাদের ছোটদের স্নেহ করে...
১ দিন আগেজানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১ দিন আগে