আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী
পবিত্র কোরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজনম অর্থহীন। কোরআন সফলতার মৌলিক পাথেয়। কোরআন সঠিক পথের দিশারি। হাজার বছর ধরে কোরআন এর দেখানো বিমল পথে অটল থেকে সফলতার মানজিলে পৌঁছে গিয়েছে অসংখ্য মানুষ। কোরআনের এই স্নিগ্ধ অফুরন্ত ঝরণাধারা সবার জন্যই অবারিত। কোরআন সফলতার দিকে পথপ্রদর্শন করতে থাকবে মহাপ্রলয়কাল পর্যন্ত।
কোরআনের ভাষায় কোরআনের পরিচয়
কোরআন নিজেই নিজের পরিচয় পেশ করেছে। নিজের পরিচয় উল্লেখ করতে গিয়ে কোরআন বলে, ‘নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক সংরক্ষিত কিতাবে, যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।’ (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৭-৭৯)
অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘বরং এটা সম্মানিত কোরআন। লওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ।’ (সুরা বুরুজ: ২১-২২)
কোরআন মানবজাতির পথপ্রদর্শক
কোরআন নির্দিষ্ট কোনো গোত্র, সম্প্রদায় বা দলকে সঠিক পথ দেখায়—এমন নয়। বরং কোরআন কিয়ামতের আগ পর্যন্ত আগত প্রতিটি মানুষকেই সফলতার বিমল পথে অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশনা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যে কোরআন মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
কোরআন সরল সঠিক পথ দেখায়। কোরআনের পথ প্রদর্শনে কোনো ভুল নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদের সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য মহা পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৯)
কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো রজ্জু বা রশি। এই রশি যারাই মজবুতভাবে ধরে রাখবে তারাই সফলতার পথে অগ্রগামী হতে পারবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো। কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০৩)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির (রহ.) তার তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ করেন, হজরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিতাবুল্লাহ তথা কোরআন হচ্ছে আকাশ থেকে জমিনে পাঠানো আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি রজ্জু বা রশি।’
কোরআন সুপারিশকারী
কোরআন কিয়ামতের ময়দানে তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে, যেদিন ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনও তাকে দেখে পলায়ন করবে। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কোরআন পাঠে আত্মনিয়োগ কর। কারণ, কোরআন কিয়ামতের কঠিন মুহূর্তে তার পাঠকের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
কোরআন জান্নাতের পথে নিয়ে যায়
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরআন সুপারিশকারী। আর তার সুপারিশ কবুল করা হবে। যে কোরআন তার সামনে রাখবে অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়বে, কোরআন তাকে পথ দেখিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করে পেছনে রাখবে, কোরআন তাকে হাঁকিয়ে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে। (সহিহ্ ইবনে হিব্বান)
সারকথা কোরআন মানবজাতির সফলতার মৌলিক পাথেয়। হাজার বছর ধরে কোরআন অসংখ্য মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিয়ে যাচ্ছে। তাই আসুন, আমরাও কোরআনের স্নিগ্ধ আলোয় জীবনকে আলোকিত করি। কোরআনের আলোকে ছড়িয়ে দিই যুগ থেকে যুগান্তরে।
লেখক: মুহাদ্দিস, খতীব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজনম অর্থহীন। কোরআন সফলতার মৌলিক পাথেয়। কোরআন সঠিক পথের দিশারি। হাজার বছর ধরে কোরআন এর দেখানো বিমল পথে অটল থেকে সফলতার মানজিলে পৌঁছে গিয়েছে অসংখ্য মানুষ। কোরআনের এই স্নিগ্ধ অফুরন্ত ঝরণাধারা সবার জন্যই অবারিত। কোরআন সফলতার দিকে পথপ্রদর্শন করতে থাকবে মহাপ্রলয়কাল পর্যন্ত।
কোরআনের ভাষায় কোরআনের পরিচয়
কোরআন নিজেই নিজের পরিচয় পেশ করেছে। নিজের পরিচয় উল্লেখ করতে গিয়ে কোরআন বলে, ‘নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক সংরক্ষিত কিতাবে, যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।’ (সুরা ওয়াকিয়া: ৭৭-৭৯)
অন্যত্র বলা হয়েছে, ‘বরং এটা সম্মানিত কোরআন। লওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ।’ (সুরা বুরুজ: ২১-২২)
কোরআন মানবজাতির পথপ্রদর্শক
কোরআন নির্দিষ্ট কোনো গোত্র, সম্প্রদায় বা দলকে সঠিক পথ দেখায়—এমন নয়। বরং কোরআন কিয়ামতের আগ পর্যন্ত আগত প্রতিটি মানুষকেই সফলতার বিমল পথে অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশনা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যে কোরআন মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।’ (সুরা বাকারা: ১৮৫)
কোরআন সরল সঠিক পথ দেখায়। কোরআনের পথ প্রদর্শনে কোনো ভুল নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্ম পরায়ণ মুমিনদের সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য মহা পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৯)
কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো রজ্জু বা রশি। এই রশি যারাই মজবুতভাবে ধরে রাখবে তারাই সফলতার পথে অগ্রগামী হতে পারবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরো। কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ (সুরা আলে ইমরান: ১০৩)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে কাসির (রহ.) তার তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ করেন, হজরত আবু সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিতাবুল্লাহ তথা কোরআন হচ্ছে আকাশ থেকে জমিনে পাঠানো আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি রজ্জু বা রশি।’
কোরআন সুপারিশকারী
কোরআন কিয়ামতের ময়দানে তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে, যেদিন ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনও তাকে দেখে পলায়ন করবে। হজরত আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কোরআন পাঠে আত্মনিয়োগ কর। কারণ, কোরআন কিয়ামতের কঠিন মুহূর্তে তার পাঠকের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে সুপারিশ করবে।’ (সহিহ্ মুসলিম)
কোরআন জান্নাতের পথে নিয়ে যায়
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কোরআন সুপারিশকারী। আর তার সুপারিশ কবুল করা হবে। যে কোরআন তার সামনে রাখবে অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়বে, কোরআন তাকে পথ দেখিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করে পেছনে রাখবে, কোরআন তাকে হাঁকিয়ে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে। (সহিহ্ ইবনে হিব্বান)
সারকথা কোরআন মানবজাতির সফলতার মৌলিক পাথেয়। হাজার বছর ধরে কোরআন অসংখ্য মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিয়ে যাচ্ছে। তাই আসুন, আমরাও কোরআনের স্নিগ্ধ আলোয় জীবনকে আলোকিত করি। কোরআনের আলোকে ছড়িয়ে দিই যুগ থেকে যুগান্তরে।
লেখক: মুহাদ্দিস, খতীব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের এই আধুনিক সমাজ থেকে সভ্যতা, নৈতিকতা ও আদর্শ দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে। এই প্রজন্মের কাছে—ছোট ও বড়র মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নেই বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহের বিষয়ে অনেক গুরুত্ব করেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাদের ছোটদের স্নেহ করে...
১১ ঘণ্টা আগেজানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৩ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর ইতিহাসে শাসকশ্রেণির ভূমিকা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট। শাসকের সুশাসন যেমন একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে, তেমনি অন্যায়ের শাসন জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে শাসক ও শাসিত উভয়ের জন্যই পথনির্দেশনা প্রদান করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগেবিয়ে মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও। মহানবী (সা.) বলেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের
১৮ ঘণ্টা আগে