ইসলাম ডেস্ক
বিয়ে মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও। মহানবী (সা.) বলেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
কিন্তু আধুনিক সমাজে নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক জটিলতার কারণে অনেকেই সময়মতো বিয়েতে বাধা পাচ্ছেন। এতে করে সমাজে বেড়ে চলেছে অনৈতিকতা, চারিত্রিক অবক্ষয় এবং পারিবারিক শৃঙ্খলার ভাঙন। সমাজে বাড়ছে যৌন অপরাধ। ছেলেমেয়েরা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত হচ্ছে। সন্তানদের পাপাচার থেকে বাঁচাতে এবং অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর: ৩২)। বিয়ে বরকতময় ইবাদত। বিয়ের পরের সময়ের রিজিকের ভয়ে তা থেকে বিরত থাকা অনুচিত। এ আয়াত সে কথাই প্রমাণ করে।
অবশ্য, যাদের বিয়ে করার সামর্থ্যই নেই এবং অসচ্ছল দিনাতিপাত করছে, তাদের করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যতক্ষণ না তাদের সামর্থ্য দান করেন, ততক্ষণ তারা সংযম অবলম্বন করবে এবং নিজ চরিত্র রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে।’ (সুরা নুর: ৩৩)
বিয়েকে সহজ ও সম্মানজনকভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ইসলাম যেখানে বিয়েকে ইবাদত এবং চারিত্রিক সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরেছে, সেখানে আমাদের দায়িত্ব—বিয়ের প্রকৃত তাৎপর্য ও গুরুত্বকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া। তরুণদের পবিত্র সম্পর্কের দিকে উৎসাহিত করতে হলে অভিভাবক, সমাজ এবং ধর্মীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই আমরা গড়তে পারব একটি সুস্থ, পরিশুদ্ধ ও নৈতিক সমাজ।
বিয়ে মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও। মহানবী (সা.) বলেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
কিন্তু আধুনিক সমাজে নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক জটিলতার কারণে অনেকেই সময়মতো বিয়েতে বাধা পাচ্ছেন। এতে করে সমাজে বেড়ে চলেছে অনৈতিকতা, চারিত্রিক অবক্ষয় এবং পারিবারিক শৃঙ্খলার ভাঙন। সমাজে বাড়ছে যৌন অপরাধ। ছেলেমেয়েরা অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনসহ বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত হচ্ছে। সন্তানদের পাপাচার থেকে বাঁচাতে এবং অপরাধমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর: ৩২)। বিয়ে বরকতময় ইবাদত। বিয়ের পরের সময়ের রিজিকের ভয়ে তা থেকে বিরত থাকা অনুচিত। এ আয়াত সে কথাই প্রমাণ করে।
অবশ্য, যাদের বিয়ে করার সামর্থ্যই নেই এবং অসচ্ছল দিনাতিপাত করছে, তাদের করণীয় সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যতক্ষণ না তাদের সামর্থ্য দান করেন, ততক্ষণ তারা সংযম অবলম্বন করবে এবং নিজ চরিত্র রক্ষায় সচেষ্ট থাকবে।’ (সুরা নুর: ৩৩)
বিয়েকে সহজ ও সম্মানজনকভাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। ইসলাম যেখানে বিয়েকে ইবাদত এবং চারিত্রিক সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরেছে, সেখানে আমাদের দায়িত্ব—বিয়ের প্রকৃত তাৎপর্য ও গুরুত্বকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া। তরুণদের পবিত্র সম্পর্কের দিকে উৎসাহিত করতে হলে অভিভাবক, সমাজ এবং ধর্মীয় নেতৃত্বের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই আমরা গড়তে পারব একটি সুস্থ, পরিশুদ্ধ ও নৈতিক সমাজ।
আমাদের এই আধুনিক সমাজ থেকে সভ্যতা, নৈতিকতা ও আদর্শ দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে। এই প্রজন্মের কাছে—ছোট ও বড়র মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নেই বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহের বিষয়ে অনেক গুরুত্ব করেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাদের ছোটদের স্নেহ করে...
২ ঘণ্টা আগেজানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৪ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর ইতিহাসে শাসকশ্রেণির ভূমিকা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট। শাসকের সুশাসন যেমন একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে, তেমনি অন্যায়ের শাসন জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে শাসক ও শাসিত উভয়ের জন্যই পথনির্দেশনা প্রদান করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ধর্ম এমন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য...
১ দিন আগে