তাসনিফ আবীদ
মানবজীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো জীবন। এই জীবনই সব অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও অর্জনের কেন্দ্রবিন্দু। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো মানে শুধু একজনকেই রক্ষা করা নয়; বরং তা গোটা সমাজ, পরিবার এবং মানবতার প্রতি এক মহৎ অবদান।
ইসলাম ধর্ম এমন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে এই অপরাধের ভয়াবহতা, এর পরিণতি এবং দণ্ড সম্পর্কে কঠোরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা যথার্থ কারণ ছাড়া কোনো প্রাণ হত্যা করে, যাকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেন, তারা শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং তারা চিরকাল লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে থাকবে।’ (সুরা ফুরকান)
পবিত্র কোরআনে আরও এসেছে, ‘এ কারণে আমি বনি ইসরাইলের প্রতি এই বিধান দিয়েছিলাম, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে, মানুষ হত্যার বদলা অথবা পৃথিবীতে ফিতনা-সন্ত্রাস সৃষ্টি ছাড়া—সে যেন পুরো মানবজাতিকেই হত্যা করল। আর যে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচায়, সে যেন পুরো মানবজাতিকেই রক্ষা করল। রাসুলগণ তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শনসহ আগমন করেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে সীমা লঙ্ঘন করেছে।’ (সুরা মায়িদা: ৩২)
জীবন রক্ষা করা শুধু একটি মানবিক গুণ নয়, বরং এটি এক বিশাল ইবাদত, যার মর্যাদা আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানবজাতির প্রাণ রক্ষার সমতুল্য করে দেখিয়েছেন। অপর দিকে অন্যায়ভাবে একজন মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করার মতো জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য।
এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু সমাজে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করে না, বরং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি, মমত্ববোধ এবং মানবিক দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। তাই আমাদের উচিত, সব ধরনের অবিচার ও সহিংসতা পরিহার করে মানুষের জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসা এবং ইসলামের এই মহান বার্তাকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া।
মানবজীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো জীবন। এই জীবনই সব অনুভূতি, অভিজ্ঞতা ও অর্জনের কেন্দ্রবিন্দু। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো মানে শুধু একজনকেই রক্ষা করা নয়; বরং তা গোটা সমাজ, পরিবার এবং মানবতার প্রতি এক মহৎ অবদান।
ইসলাম ধর্ম এমন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে এই অপরাধের ভয়াবহতা, এর পরিণতি এবং দণ্ড সম্পর্কে কঠোরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা যথার্থ কারণ ছাড়া কোনো প্রাণ হত্যা করে, যাকে হত্যা করা আল্লাহ হারাম করেছেন, তারা শাস্তি ভোগ করবে। কিয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং তারা চিরকাল লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে থাকবে।’ (সুরা ফুরকান)
পবিত্র কোরআনে আরও এসেছে, ‘এ কারণে আমি বনি ইসরাইলের প্রতি এই বিধান দিয়েছিলাম, যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করে, মানুষ হত্যার বদলা অথবা পৃথিবীতে ফিতনা-সন্ত্রাস সৃষ্টি ছাড়া—সে যেন পুরো মানবজাতিকেই হত্যা করল। আর যে একজন মানুষের প্রাণ বাঁচায়, সে যেন পুরো মানবজাতিকেই রক্ষা করল। রাসুলগণ তাদের কাছে স্পষ্ট নিদর্শনসহ আগমন করেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে সীমা লঙ্ঘন করেছে।’ (সুরা মায়িদা: ৩২)
জীবন রক্ষা করা শুধু একটি মানবিক গুণ নয়, বরং এটি এক বিশাল ইবাদত, যার মর্যাদা আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানবজাতির প্রাণ রক্ষার সমতুল্য করে দেখিয়েছেন। অপর দিকে অন্যায়ভাবে একজন মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করার মতো জঘন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য।
এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু সমাজে ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করে না, বরং মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহানুভূতি, মমত্ববোধ এবং মানবিক দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলে। তাই আমাদের উচিত, সব ধরনের অবিচার ও সহিংসতা পরিহার করে মানুষের জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসা এবং ইসলামের এই মহান বার্তাকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া।
মানুষ স্বভাবতই সমাজবদ্ধ জীব। একাকী জীবন মানব প্রকৃতির সঙ্গে যায় না। সমাজে টিকে থাকতে হলে একজন মানুষের জন্য অন্যের সহযোগিতা অপরিহার্য। জীবনের চলার পথে নানা চ্যালেঞ্জ ও বিপদের সময় একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের প্রতিচ্ছবি। বিশেষত, বিপদগ্রস্ত মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়ে, তখন তার জন্য এ
৭ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনে প্রিয়জনের মৃত্যু এক গভীর শোক ও বেদনার সময়। এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের করণীয় কী হবে—ইসলাম সেই পথ নির্দেশনা স্পষ্টভাবে দিয়েছে। ইসলাম স্বাভাবিক আবেগকে দমন করতে বলেনি, বরং ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দিয়েছে। প্রিয়জন হারিয়ে চোখের পানি ঝরানো নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু শোক প্রকাশের কিছু সীমা-পরিসীমা ইসলামে
১০ ঘণ্টা আগেমানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজবদ্ধ জীবনে কোনো মানুষের পক্ষে একাকী বসবাস করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। তাই বিপৎসংকুল পরিস্থিতিতে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে।
১২ ঘণ্টা আগেসম্পদ মানুষের জীবন পরিচালনার একটি অপরিহার্য উপকরণ। দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণ, পারিবারিক শান্তি বজায় রাখা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্য এটি অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম শুধু সম্পদ উপার্জনের নির্দেশই দেয়নি, বরং তার যথাযথ ব্যবহার, অপচয় থেকে বিরত থাকা এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে খরচ করার নির্দেশও দিয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে