তানবিরুল হক আবিদ
আমাদের সমাজে এখনো অনেকেই যৌথ পরিবারে বসবাস করেন। একাধিক মানুষের অর্থে চলে সেসব পরিবার। পরিবারের টাকার নির্দিষ্ট কোনো মালিক থাকেন না। বলা হয়ে থাকে, যত দিন পিতা জীবিত থাকেন—তত দিন তিনিই পরিবারের কর্ণধার। এমন সংসারের অর্থ উপার্জনকারীরা বিত্তবান হলে, পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা বা যেকোনো একজনের নামে কোরবানি দিলেই কী সবার কোরবানি হয়ে যাবে?
যৌথ পরিবারে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো—একই পরিবারে প্রত্যেকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোরবানি ওয়াজিব। যেকোনো একজনের নামে কোরবানি করার দ্বারা বাকিদের কোরবানি আদায় হবে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, কোনো ব্যক্তি কারও বোঝা নিজে বহন করবে না। (সুরা নাজম: ৩৮)
মহানবী (সা.) বলেন, যার কোরবানির সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না—সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৫১৯)
তবে যৌথ পরিবারে ঈদের আমেজ ধরে রাখতে এমন হতে পারে—পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৫ জনের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক হলে ৫ জন মিলে একটি গরু, মহিষ বা উট কিনে কোরবানি করলেন। তাতে বাহ্যিকভাবে পশু একটি হলেও যেহেতু প্রতিজনের ভাগেই অন্তত এক ভাগ পড়ছে, তাই সবার ওয়াজিব কোরবানি আদায় হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, কোরবানির ও জাকাতের নেসাবের পরিমাণ একই। যদি কোনো ব্যক্তি সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব, খরচ ও ঋণ বাদ দিয়ে কোরবানির দিনগুলোতে (জিলহজ মাসের ১০,১১ ও ১২ তারিখ) সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা তার সমপরিমাণ বাজার মূল্যের নগদ টাকা বা যে কোনো পণ্যের মালিক হয় তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
তথ্যসূত্র- (আদ্দুররুল মুখতার: ৬ / ৩১৫, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১ / ১৯৮)
আমাদের সমাজে এখনো অনেকেই যৌথ পরিবারে বসবাস করেন। একাধিক মানুষের অর্থে চলে সেসব পরিবার। পরিবারের টাকার নির্দিষ্ট কোনো মালিক থাকেন না। বলা হয়ে থাকে, যত দিন পিতা জীবিত থাকেন—তত দিন তিনিই পরিবারের কর্ণধার। এমন সংসারের অর্থ উপার্জনকারীরা বিত্তবান হলে, পরিবারের পক্ষ থেকে বাবা বা যেকোনো একজনের নামে কোরবানি দিলেই কী সবার কোরবানি হয়ে যাবে?
যৌথ পরিবারে কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো—একই পরিবারে প্রত্যেকে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোরবানি ওয়াজিব। যেকোনো একজনের নামে কোরবানি করার দ্বারা বাকিদের কোরবানি আদায় হবে না।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, কোনো ব্যক্তি কারও বোঝা নিজে বহন করবে না। (সুরা নাজম: ৩৮)
মহানবী (সা.) বলেন, যার কোরবানির সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না—সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৫১৯)
তবে যৌথ পরিবারে ঈদের আমেজ ধরে রাখতে এমন হতে পারে—পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৫ জনের ওপর কোরবানি করা আবশ্যক হলে ৫ জন মিলে একটি গরু, মহিষ বা উট কিনে কোরবানি করলেন। তাতে বাহ্যিকভাবে পশু একটি হলেও যেহেতু প্রতিজনের ভাগেই অন্তত এক ভাগ পড়ছে, তাই সবার ওয়াজিব কোরবানি আদায় হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, কোরবানির ও জাকাতের নেসাবের পরিমাণ একই। যদি কোনো ব্যক্তি সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব, খরচ ও ঋণ বাদ দিয়ে কোরবানির দিনগুলোতে (জিলহজ মাসের ১০,১১ ও ১২ তারিখ) সাড়ে ৫২ তোলা রুপা বা তার সমপরিমাণ বাজার মূল্যের নগদ টাকা বা যে কোনো পণ্যের মালিক হয় তবে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
তথ্যসূত্র- (আদ্দুররুল মুখতার: ৬ / ৩১৫, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১ / ১৯৮)
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের বিপদে আরেকজন এগিয়ে আসা মানবতার পরিচয়। অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্য কোনো কারণে মানুষের রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের সময় রক্তের কোনো বিকল্প নেই—তাই অন্য কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে হয়। সেই সংকটময় সময়ে একজন সুস্থ সবল মানুষ স্বেচ্ছায় রক্তদান করে একটি প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারেন।
৯ ঘণ্টা আগেজীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু কার মৃত্যু কেমনভাবে ঘটবে এবং সেই মৃত্যু কী মর্যাদা বহন করবে—ইসলাম তা ব্যাখ্যা করেছে অত্যন্ত মানবিক ও অর্থপূর্ণভাবে। বিশেষ করে যে মৃত্যুগুলোতে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের পরীক্ষার ছাপ; ইসলাম সেগুলোর জন্য রেখেছে বিশেষ পুরস্কার ও মর্যাদা।
৯ ঘণ্টা আগেরোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
১০ ঘণ্টা আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
১০ ঘণ্টা আগে