ইজাজুল হক, ঢাকা
পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুরুত্ব বোঝাতেই এখানে আল্লাহ তাআলা এসব বস্তুর শপথ করেছেন।
প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, বর্তমান সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ইয়েমেন সীমান্তবর্তী শহর নাজরানেই এই ঘটনা ঘটেছিল। ইসলামের আগমনের আগে অঞ্চলটি ইয়েমেনের হিমিয়ার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আরব রূপকথার অনুযায়ী, যু-নওয়াস ওরফে ইউসুফ ইবনে শারাহবিল নামের এক ইহুদি শাসকই আলোচ্য ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। হাদিসে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ থাকলেও শাসক ও স্থান চিহ্নিত করা হয়নি।
সাহাবি সুহাইব রুমি (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, আগের কোনো এক সময়ের কথা। এক বাদশাহর একজন জাদুকর ও গণক ছিলেন। এক সময় তিনি বুড়ো হয়ে গেলেন এবং বাদশাহকে বললেন, ‘আমাকে একজন বুদ্ধিমান বালক এনে দেন, আমি তাকে এই বিদ্যা শেখাব।’
বাদশাহ এক বুদ্ধিমান বালককে গণকের হাতে সোপর্দ করলেন। ওই বালক যে পথে গণকের কাছে যেত, সে পথে এক পাদরির (খ্রিষ্টধর্মের পণ্ডিত) বাড়িও ছিল। বালক আসা-যাওয়ার পথে পাদরির দরবারে বসত এবং তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত। পাদরির প্রতি বালকের মুগ্ধতা তৈরি হয়।
একদিন বালকের পথে এক বড় জন্তু (বাঘ বা সাপ) বসে ছিল। ফলে মানুষের চলার পথ বন্ধ হয়ে যায়। বালক ভাবল, জাদুকর সত্য, না পাদরি—তা পরীক্ষা করে দেখার এটিই মোক্ষম সময়। সে একটি পাথরের টুকরা কুড়িয়ে নিল এবং বলল, ‘হে আল্লাহ, যদি পাদরির আমল তোমার কাছে জাদুকরের আমল থেকে উত্তম এবং পছন্দনীয় হয়, তাহলে এই জন্তু মেরে ফেল; যাতে মানুষের চলার পথ চালু হয়ে যায়।’ এই বলে বালকটি পাথর ছুড়লে জন্তুটি মারা গেল।
বালক পাদরির কাছে সব কথা খুলে বলল। পাদরি বললেন, ‘বাবা, এবার তুমি জ্ঞানের পূর্ণতায় পৌঁছে গেছ। তোমার পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এই পরীক্ষায় কোনোভাবেই আমার নাম প্রকাশ করবে না।’
সেই বালককে আল্লাহ অলৌকিক ক্ষমতা দিলেন। সে অন্ধ, ধবল রোগীসহ অনেক রোগীদের জন্য দোয়া করতে লাগল এবং তারা সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। তবে কেবল তারাই এই দোয়া পেত, যারা খ্রিষ্টধর্মের (সেকালের সত্যধর্ম) প্রতি ইমান আনার ঘোষণা দিত। একদিন বাদশাহর এক অন্ধ ঘনিষ্ঠজনের চোখও তার দোয়ায় ভালো হয়ে যায়।
এই অলৌকিক ক্ষমতার খবর ইহুদি বাদশাহর কানে গেলে বাদশাহ বিচলিত হয়ে পড়েন। বালকের ধর্মে ইমান আনা কিছু লোককে বাদশাহর আদেশে হত্যা করা হলো। বালককেও হত্যা করার জন্য কয়েকজন লোককে ডেকে বললেন, ‘এই বালককে উঁচু পাহাড়ের ওপর নিয়ে গিয়ে নিচে ফেলে দাও।’ বালক আল্লাহর কাছে দোয়া করলে পাহাড় কাঁপতে লাগল; ফলে সে ছাড়া সবাই পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেল।
এবার বাদশাহ তাকে অন্য একদল লোকের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘একে একটি নৌকায় চড়িয়ে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে ফেলে দাও।’ সেখানেও বালকের দোয়ায় নৌকা উল্টে গেল। ফলে সকলে পানিতে ডুবে মারা গেল। তবে বালকটি বেঁচে গেল।
এবার বালক বাদশাহকে বলল, ‘আপনি যদি আমাকে হত্যা করতেই চান, তাহলে এর সঠিক পদ্ধতি হলো—একটি খোলা ময়দানে জনগণকে জমায়েত করুন, এরপর “বিসমিল্লাহি রাব্বিল গোলাম” তথা বালকের প্রভুর নামে শুরু করছি বলে আমার দেহে তির মারুন। দেখবেন আমি মারা যাব।’
বাদশাহ তা-ই করলেন। বালকও মারা গেল। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন সমবেত কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমরা এই বালকের রবের প্রতি ইমান আনলাম।’
বাদশাহ আরও বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি তাদের জন্য গর্ত খোঁড়ার এবং সেই গর্তে আগুন জ্বালানোর আদেশ দিলেন। এরপর বললেন, ‘যে ব্যক্তি বালকের ধর্ম থেকে ফিরে আসবে না, তাকে এই আগুনের গর্তে ফেলে দাও।’
একে একে সব ইমানদারই এগিয়ে এল এবং আগুনের শাস্তি বরণ করে নিল। শেষে একটি নারীর পালা এল, তাঁর সঙ্গে শিশুও ছিল। তিনি একটু পশ্চাৎপদ হলে শিশুটি বলে উঠল, ‘মা, ধৈর্য ধরুন। আপনি সত্যের ওপরে আছেন।’ (সহিহ মুসলিম, দুনিয়া বিমুখতা অধ্যায়, আসহাবে উখদুদ পরিচ্ছেদ, হাদিস: ৩০০৫)
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এরপর সেই প্রলয়ংকরী আগুন বাদশাহ ও তাঁর দলবলকেও গ্রাস করে নেয় এবং পুরো শহর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এভাবেই আল্লাহর আজাব সেই অবাধ্য শাসক ও তাঁর সহযোগীদের ধ্বংস করেছিল। তবে আগুনে মুমিনদের কোনো কষ্ট হয়নি। কারণ হিসেবে রবি ইবনে আনাস (রহ.) বলেন, ‘মুমিনদের আগুনে ফেলে দেওয়ার পর আগুন তাঁদের গায়ে লাগার আগেই আল্লাহ তাআলা তাদের জান কবজ করে নিয়েছিলেন। এভাবেই তিনি মুমিনদের দহন-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করেন। ফলে তাদের মৃতদেহই কেবল আগুনে পুড়েছিল। এরপর আগুন আরও বেশি জ্বলে ওঠে এবং তার লেলিহান শিখা পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যারা ইমানদারদের আগুনে দগ্ধ হওয়ার তামাশা দেখছিল, তারাও সেই আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়।’ (ফাতহুল কাদির)
এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করেই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ধ্বংস হয়েছে আসহাবুল উখদুদ তথা গর্তওয়ালারা (বাদশাহ ও সাঙ্গপাঙ্গরা), (যে গর্তে) দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন ছিল। যখন তারা গর্তের পাশে বসেছিল এবং মুমিনদের সঙ্গে যা ঘটছিল—তা দেখছিল। তারা তাদের (মুমিনদের) শাস্তি দিয়েছিল শুধু এই কারণে যে, তারা প্রশংসিত পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। আসমান-জমিনের রাজত্ব যাঁর, সেই আল্লাহ সবকিছুর সাক্ষী। যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে পুড়িয়ে মেরেছে (বা জুলুম করেছে), এরপর তওবা করেনি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন-যন্ত্রণা।’ (সুরা বুরুজ: ৪-১০)
পবিত্র কোরআনের ৮৫ তম সুরা—সুরা বুরুজের প্রথম ১০ আয়াতে আসহাবুল উখদুদের ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এসেছে। প্রথম ৩ আয়াতে আল্লাহ চারটি বস্তুর নামে শপথ করে চতুর্থ আয়াত থেকে মূল কাহিনিতে প্রবেশ করেছেন। সেই চার বস্তু হলো—কক্ষপথ বিশিষ্ট আকাশ, কেয়ামতের দিন, আরাফাতের দিন এবং শুক্রবার। মুফাসসিরগণ বলেছেন, ঘটনার গুরুত্ব বোঝাতেই এখানে আল্লাহ তাআলা এসব বস্তুর শপথ করেছেন।
প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে, বর্তমান সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ইয়েমেন সীমান্তবর্তী শহর নাজরানেই এই ঘটনা ঘটেছিল। ইসলামের আগমনের আগে অঞ্চলটি ইয়েমেনের হিমিয়ার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। আরব রূপকথার অনুযায়ী, যু-নওয়াস ওরফে ইউসুফ ইবনে শারাহবিল নামের এক ইহুদি শাসকই আলোচ্য ঘটনাটি ঘটিয়েছিলেন। হাদিসে এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ থাকলেও শাসক ও স্থান চিহ্নিত করা হয়নি।
সাহাবি সুহাইব রুমি (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, আগের কোনো এক সময়ের কথা। এক বাদশাহর একজন জাদুকর ও গণক ছিলেন। এক সময় তিনি বুড়ো হয়ে গেলেন এবং বাদশাহকে বললেন, ‘আমাকে একজন বুদ্ধিমান বালক এনে দেন, আমি তাকে এই বিদ্যা শেখাব।’
বাদশাহ এক বুদ্ধিমান বালককে গণকের হাতে সোপর্দ করলেন। ওই বালক যে পথে গণকের কাছে যেত, সে পথে এক পাদরির (খ্রিষ্টধর্মের পণ্ডিত) বাড়িও ছিল। বালক আসা-যাওয়ার পথে পাদরির দরবারে বসত এবং তাঁর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনত। পাদরির প্রতি বালকের মুগ্ধতা তৈরি হয়।
একদিন বালকের পথে এক বড় জন্তু (বাঘ বা সাপ) বসে ছিল। ফলে মানুষের চলার পথ বন্ধ হয়ে যায়। বালক ভাবল, জাদুকর সত্য, না পাদরি—তা পরীক্ষা করে দেখার এটিই মোক্ষম সময়। সে একটি পাথরের টুকরা কুড়িয়ে নিল এবং বলল, ‘হে আল্লাহ, যদি পাদরির আমল তোমার কাছে জাদুকরের আমল থেকে উত্তম এবং পছন্দনীয় হয়, তাহলে এই জন্তু মেরে ফেল; যাতে মানুষের চলার পথ চালু হয়ে যায়।’ এই বলে বালকটি পাথর ছুড়লে জন্তুটি মারা গেল।
বালক পাদরির কাছে সব কথা খুলে বলল। পাদরি বললেন, ‘বাবা, এবার তুমি জ্ঞানের পূর্ণতায় পৌঁছে গেছ। তোমার পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। এই পরীক্ষায় কোনোভাবেই আমার নাম প্রকাশ করবে না।’
সেই বালককে আল্লাহ অলৌকিক ক্ষমতা দিলেন। সে অন্ধ, ধবল রোগীসহ অনেক রোগীদের জন্য দোয়া করতে লাগল এবং তারা সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। তবে কেবল তারাই এই দোয়া পেত, যারা খ্রিষ্টধর্মের (সেকালের সত্যধর্ম) প্রতি ইমান আনার ঘোষণা দিত। একদিন বাদশাহর এক অন্ধ ঘনিষ্ঠজনের চোখও তার দোয়ায় ভালো হয়ে যায়।
এই অলৌকিক ক্ষমতার খবর ইহুদি বাদশাহর কানে গেলে বাদশাহ বিচলিত হয়ে পড়েন। বালকের ধর্মে ইমান আনা কিছু লোককে বাদশাহর আদেশে হত্যা করা হলো। বালককেও হত্যা করার জন্য কয়েকজন লোককে ডেকে বললেন, ‘এই বালককে উঁচু পাহাড়ের ওপর নিয়ে গিয়ে নিচে ফেলে দাও।’ বালক আল্লাহর কাছে দোয়া করলে পাহাড় কাঁপতে লাগল; ফলে সে ছাড়া সবাই পাহাড় থেকে পড়ে মারা গেল।
এবার বাদশাহ তাকে অন্য একদল লোকের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘একে একটি নৌকায় চড়িয়ে সমুদ্রের মাঝে নিয়ে ফেলে দাও।’ সেখানেও বালকের দোয়ায় নৌকা উল্টে গেল। ফলে সকলে পানিতে ডুবে মারা গেল। তবে বালকটি বেঁচে গেল।
এবার বালক বাদশাহকে বলল, ‘আপনি যদি আমাকে হত্যা করতেই চান, তাহলে এর সঠিক পদ্ধতি হলো—একটি খোলা ময়দানে জনগণকে জমায়েত করুন, এরপর “বিসমিল্লাহি রাব্বিল গোলাম” তথা বালকের প্রভুর নামে শুরু করছি বলে আমার দেহে তির মারুন। দেখবেন আমি মারা যাব।’
বাদশাহ তা-ই করলেন। বালকও মারা গেল। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন সমবেত কণ্ঠে বলে উঠল, ‘আমরা এই বালকের রবের প্রতি ইমান আনলাম।’
বাদশাহ আরও বেশি চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি তাদের জন্য গর্ত খোঁড়ার এবং সেই গর্তে আগুন জ্বালানোর আদেশ দিলেন। এরপর বললেন, ‘যে ব্যক্তি বালকের ধর্ম থেকে ফিরে আসবে না, তাকে এই আগুনের গর্তে ফেলে দাও।’
একে একে সব ইমানদারই এগিয়ে এল এবং আগুনের শাস্তি বরণ করে নিল। শেষে একটি নারীর পালা এল, তাঁর সঙ্গে শিশুও ছিল। তিনি একটু পশ্চাৎপদ হলে শিশুটি বলে উঠল, ‘মা, ধৈর্য ধরুন। আপনি সত্যের ওপরে আছেন।’ (সহিহ মুসলিম, দুনিয়া বিমুখতা অধ্যায়, আসহাবে উখদুদ পরিচ্ছেদ, হাদিস: ৩০০৫)
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এরপর সেই প্রলয়ংকরী আগুন বাদশাহ ও তাঁর দলবলকেও গ্রাস করে নেয় এবং পুরো শহর পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এভাবেই আল্লাহর আজাব সেই অবাধ্য শাসক ও তাঁর সহযোগীদের ধ্বংস করেছিল। তবে আগুনে মুমিনদের কোনো কষ্ট হয়নি। কারণ হিসেবে রবি ইবনে আনাস (রহ.) বলেন, ‘মুমিনদের আগুনে ফেলে দেওয়ার পর আগুন তাঁদের গায়ে লাগার আগেই আল্লাহ তাআলা তাদের জান কবজ করে নিয়েছিলেন। এভাবেই তিনি মুমিনদের দহন-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করেন। ফলে তাদের মৃতদেহই কেবল আগুনে পুড়েছিল। এরপর আগুন আরও বেশি জ্বলে ওঠে এবং তার লেলিহান শিখা পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যারা ইমানদারদের আগুনে দগ্ধ হওয়ার তামাশা দেখছিল, তারাও সেই আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়।’ (ফাতহুল কাদির)
এই ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করেই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ধ্বংস হয়েছে আসহাবুল উখদুদ তথা গর্তওয়ালারা (বাদশাহ ও সাঙ্গপাঙ্গরা), (যে গর্তে) দাউ দাউ করে জ্বলা আগুন ছিল। যখন তারা গর্তের পাশে বসেছিল এবং মুমিনদের সঙ্গে যা ঘটছিল—তা দেখছিল। তারা তাদের (মুমিনদের) শাস্তি দিয়েছিল শুধু এই কারণে যে, তারা প্রশংসিত পরাক্রান্ত আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। আসমান-জমিনের রাজত্ব যাঁর, সেই আল্লাহ সবকিছুর সাক্ষী। যারা মুমিন পুরুষ ও নারীকে পুড়িয়ে মেরেছে (বা জুলুম করেছে), এরপর তওবা করেনি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি, আর আছে দহন-যন্ত্রণা।’ (সুরা বুরুজ: ৪-১০)
বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য একটি আদর্শ পরিবার গঠন। যে পরিবারের সদস্যরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর আদেশগুলো পালন করবে, নিষেধসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
২ দিন আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
৩ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
৩ দিন আগে