Ajker Patrika

স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ানোর কর্মসূচিতে আদালতের অনুমতি পেলেন ট্রাম্প

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭: ২০
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রশাসন সংকোচনে স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার কর্মসূচিতে আদালতের অনুমতি পেলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল বুধবার বোস্টনের মার্কিন জেলা বিচারক জর্জ ও’টুল এই অনুমতি দেন। মার্কিন অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের (ওপিএম) এক মুখপাত্র জানান, প্রায় ৭৫ হাজার কর্মী এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছেন, যা মোট বেসামরিক কর্মশক্তির ৩ শতাংশ। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ট্রাম্পের এই কর্মসূচির প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে যাওয়া কর্মীদের আগামী অক্টোবর পর্যন্ত বেতন দেওয়া হবে। বিনিময়ে তাদের কোনো কাজ করতে হবে না। তবে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের ওপর কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নগুলোর পূর্ণ বিশ্বাস ছিল না। এই প্রস্তাব বন্ধে ইউনিয়নগুলো মামলা করেছিল।

গতকাল বুধবার এই মামলার রায় দেন আদালত। রায়ে বলা হয়, ইউনিয়নগুলোর এই মামলা করার আইনি অধিকার নেই। আদালতে আনার আগে বিষয়টি অন্য প্ল্যাটফর্মে আলোচনা করা উচিত ছিল। বিচারকের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বা অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের পথে হাঁটবে কি না এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি কর্মীদের ইউনিয়নগুলো।

আমেরিকান ফেডারেশন অব গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের (এএফজিই) প্রেসিডেন্ট এভারেট কেলি বলেন, ‘আজকের রায় জনসেবকদের মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে একটি ধাক্কা। তবে এটি সেই লড়াইয়ের শেষ নয়।’

তবে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, এই কর্মসূচিতে নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওপিএম এক বিবৃতিতে বলেছে, এখন আর কোনো সন্দেহ নেই, ডিফার্ড রেজিগনেশন প্রোগ্রামটি আইনি এবং ফেডারেল কর্মচারীদের জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ ছিল।

এই বাইআউট প্রোগ্রামটি ট্রাম্পের মার্কিন প্রশাসন থেকে কর্মসূচি কমানোর প্রচেষ্টার একটি অংশ। তিনি সরকারের বিভিন্ন এজেন্সিকে বড় রকমের ছাঁটাইর প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কয়েকটি সংস্থা ইতিমধ্যেই সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ছাঁটাই শুরু করেছে। কিছু এজেন্সিতে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের অক্টোবর পর্যন্ত বেতন ও সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব পুরোপুরি কার্যকর হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, বর্তমান ব্যয় আইনের কার্যকারিতা আগামী ১৪ মার্চ শেষ হয়ে যাবে। এর পর বেতন মঞ্জুরির কোনো নিশ্চয়তা নেই।

কর্মী ইউনিয়নগুলো মামলায় দাবি করে, ট্রাম্পের এই কর্মসূচি আইনের লঙ্ঘন। ইউনিয়নগুলো সতর্ক করে বলে, এই প্রোগ্রামটি বেসামরিক কর্মশক্তি সংকোচনের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় প্রভাব ফেলতে পারে এবং গুরুতর সরকারি সেবা ব্যাহত করতে পারে।

এ পর্যন্ত ইউনিয়ন ও ডেমোক্রেটিক অ্যাটর্নি জেনারেলরা ট্রাম্পের সরকারি পুনর্গঠনের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা দায়ের করেছে। কয়েকটিতে তাদের জয়ও এসেছে।

স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার বিরুদ্ধে থাকা কর্মীদের গণ ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা প্রতিরোধ করতে গতকাল বুধবার ৫টি ইউনিয়ন একটি পৃথক মামলা দায়ের করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত