ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্যপদ ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার দখল করা সব অঞ্চল ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করে ইউক্রেনের উচিত একটি শান্তিচুক্তির জন্য প্রস্তুত হওয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ন্যাটো সফরে গিয়ে হেগসেথ এমন বক্তব্য দেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হেগসেথের এই মন্তব্য ইউক্রেন সংকটে মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইউক্রেনকে কতটা সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, তা জানতে আগ্রহী ছিলেন ন্যাটো জোটের সদস্যরা। কিন্তু হেগসেথের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব এখন প্রধানত ইউরোপের কাঁধে দেওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
হেগসেথ বলেন, ‘ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ও অন্যান্য দেশের সেনাদের সমন্বয়ে একটি শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠন করা যেতে পারে। তবে তাতে মার্কিন সেনা থাকবে না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এই বাহিনী ন্যাটোর আর্টিকেল ফাইভের আওতায় থাকবে না, যা ন্যাটো সদস্যদের আক্রান্ত হলে সহায়তার বাধ্যবাধকতা তৈরি করে।’
হেগসেথের এই বক্তব্য ইউক্রেনের জন্য কঠিন বার্তা বয়ে এনেছে। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না যে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ একটি শান্তিচুক্তির মাধ্যমে অর্জনযোগ্য।’ তাঁর মতে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের উচিত ২০১৪ সালের আগের সীমানা ফিরে পাওয়ার ‘অলীক আশা’ ত্যাগ করা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে এবং পূর্ব ইউক্রেনের অংশবিশেষ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
হেগসেথের এই মন্তব্য মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের মধ্যে আলোচনাকে জটিল করে তুলতে পারে।
হেগসেথ ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপরও চাপ বাড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে সামরিক ও অন্যান্য সহায়তার বড় অংশ ইউরোপকেই দিতে হবে।’ বর্তমানে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ৩০ শতাংশ পূরণ করে ইউরোপ। বাকি অংশ ইউক্রেন নিজেই উৎপাদন করে।
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর উচিত তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো।’ তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বর্তমানে এই লক্ষ্য পূরণ করে না।
হেগসেথের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর তৃতীয় বার্ষিকী আসন্ন। মার্কিন মিত্রদের আশঙ্কা, ইউক্রেনের সীমানায় পুতিন থামবেন না এবং এই যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য একটি অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আবার ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি ইউক্রেন সংকটে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা এখন দেখার বিষয়। তবে হেগসেথের বক্তব্যে স্পষ্ট, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের এখন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ইউক্রেনের জন্য ন্যাটোর সদস্যপদ ‘অবাস্তব’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার দখল করা সব অঞ্চল ফিরে পাওয়ার আশা ত্যাগ করে ইউক্রেনের উচিত একটি শান্তিচুক্তির জন্য প্রস্তুত হওয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রথম ন্যাটো সফরে গিয়ে হেগসেথ এমন বক্তব্য দেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, হেগসেথের এই মন্তব্য ইউক্রেন সংকটে মার্কিন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইউক্রেনকে কতটা সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে, তা জানতে আগ্রহী ছিলেন ন্যাটো জোটের সদস্যরা। কিন্তু হেগসেথের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার দায়িত্ব এখন প্রধানত ইউরোপের কাঁধে দেওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।
হেগসেথ বলেন, ‘ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ও অন্যান্য দেশের সেনাদের সমন্বয়ে একটি শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠন করা যেতে পারে। তবে তাতে মার্কিন সেনা থাকবে না।’ তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘এই বাহিনী ন্যাটোর আর্টিকেল ফাইভের আওতায় থাকবে না, যা ন্যাটো সদস্যদের আক্রান্ত হলে সহায়তার বাধ্যবাধকতা তৈরি করে।’
হেগসেথের এই বক্তব্য ইউক্রেনের জন্য কঠিন বার্তা বয়ে এনেছে। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না যে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ একটি শান্তিচুক্তির মাধ্যমে অর্জনযোগ্য।’ তাঁর মতে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের উচিত ২০১৪ সালের আগের সীমানা ফিরে পাওয়ার ‘অলীক আশা’ ত্যাগ করা।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে এবং পূর্ব ইউক্রেনের অংশবিশেষ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
হেগসেথের এই মন্তব্য মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের মধ্যে আলোচনাকে জটিল করে তুলতে পারে।
হেগসেথ ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপরও চাপ বাড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে ভবিষ্যতে সামরিক ও অন্যান্য সহায়তার বড় অংশ ইউরোপকেই দিতে হবে।’ বর্তমানে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা চাহিদার ৩০ শতাংশ পূরণ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ৩০ শতাংশ পূরণ করে ইউরোপ। বাকি অংশ ইউক্রেন নিজেই উৎপাদন করে।
তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর উচিত তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো।’ তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বর্তমানে এই লক্ষ্য পূরণ করে না।
হেগসেথের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর তৃতীয় বার্ষিকী আসন্ন। মার্কিন মিত্রদের আশঙ্কা, ইউক্রেনের সীমানায় পুতিন থামবেন না এবং এই যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য একটি অস্তিত্বের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আবার ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নীতি ইউক্রেন সংকটে কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা এখন দেখার বিষয়। তবে হেগসেথের বক্তব্যে স্পষ্ট, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের এখন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দীর্ঘ ২৯ বছর সরকারি বাস চালিয়েছেন তিনি। মাত্র ৭ ডলার (প্রায় ৮০০ টাকা) সমপরিমাণ ভাড়া আত্মসাতের দায়ে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, সেই সঙ্গে তাঁর ৮৪ হাজার ডলার (প্রায় ৯২ লাখ টাকা) পেনশনও বাতিল করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তর-পূর্ব দিল্লির সীলমপুরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর হত্যার ঘটনায় ফের আলোচনায় জিকরা নামের এক তরুণী। তিনি নিজেকে ‘লেডি ডন’ বলে পরিচয় দেন। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর কার্যকলাপ এবং অপরাধ জগতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পরিচিত এই তরুণী।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ক্রিমিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম..
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর সাম্প্রতিক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বিশেষ করে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএলএ) একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সংস্থাটি কর্তৃক সংগৃহীত ৩২৭টি সাম্প্রতিক ভিসা বাতিলের প্রায় অর্ধেকই ভারতীয়...
৩ ঘণ্টা আগে