Ajker Patrika

ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩: ২৭
২০১৮ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে ট্রাম্প ও পুতিন। ছবি: এএফপি
২০১৮ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে ট্রাম্প ও পুতিন। ছবি: এএফপি

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এবারই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন। গত শুক্রবার এয়ারফোর্স ওয়ানে নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি কতবার পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা বলা উচিত হবে না।’

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে তাঁর দল ‘খুব ভালো আলোচনা’ করেছে এবং এই সংঘাতকে তিনি ‘একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুতিন চায়, মানুষ মারা বন্ধ হোক।’ তবে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘পুতিনের সঙ্গে আমি সব সময় ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছি। আর যুদ্ধ শেষ করতে আমার একটা পরিকল্পনা আছে। তবে এখনই বিস্তারিত জানাব না। আমি চাই, দ্রুত যুদ্ধ বন্ধ হোক। প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে।’

রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘অনেক মাধ্যমেই দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। তবে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।’

২০১৪ সালে ইউক্রেনে গণবিপ্লবের পর রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করলে পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হয়। এরপর ২০২২ সালে পুতিন হাজার হাজার সেনা পাঠিয়ে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ঘোষণা করেন। রাশিয়া দাবি করে, ইউক্রেনে রুশভাষীদের রক্ষা করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে পশ্চিমারা এটিকে ‘ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করে।

রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ভেতর ভার্জিনিয়া রাজ্যের সমান এলাকা দখল করে ফেলেছে এবং ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে।

ট্রাম্প বেশ কয়েকবার বলেছেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চান। তবে এমন বৈঠকের তারিখ ও স্থান এখনো ঠিক হয়নি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সম্ভাব্য বৈঠকের ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করছে।

এদিকে, পুতিন যুদ্ধ বন্ধে কয়েকটি শর্ত দিয়েছেন প্রথমত, ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহার করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেনকে চারটি রুশ-অধিকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।

গত বছরের নভেম্বরে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিন ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তবে বড় ধরনের ভূখণ্ড ছাড়ার কোনো পরিকল্পনা তাঁর নেই।

এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।

তবে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেন যদি যুদ্ধের জন্য অর্থ সহায়তা পায়, তবে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রকে দুষ্প্রাপ্য খনিজ সম্পদ রপ্তানি করতে প্রস্তুত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত