Ajker Patrika

সিরিয়া থেকে ‘প্রথমবারের মতো’ ইসরায়েলে রকেট হামলা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৫, ১১: ৪৮
সিরিয়া থেকে ছোড়া রকেট পতিত হওয়ার স্থান। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়া থেকে ছোড়া রকেট পতিত হওয়ার স্থান। ছবি: সংগৃহীত

বাশার আল-আসাদের পতনের পর সিরিয়া থেকে এই প্রথম ইসরায়েলে রকেট হামলা হয়েছে বলে দাবি করেছে তেল আবিব। দুদিন আগে গতকাল মঙ্গলবার সিরিয়া থেকে ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমিতে দুটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, রকেট নিক্ষেপের পর ইসরায়েল সিরিয়ার দারা প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসও ইসরায়েলি বিমান হামলার খবর দিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুনাইত্রা শহর এবং দারা প্রদেশের গ্রামাঞ্চলে ‘ভয়ংকর বিস্ফোরণ’ হয়েছে।

মোহাম্মদ দেইফ ব্রিগেড’স নামে একটি গোষ্ঠী টেলিগ্রামে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। গত বছর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হামাসের সামরিক নেতার নামে এই গোষ্ঠীর নামকরণ করা হয়েছে। এই গোষ্ঠী কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রথম আবির্ভূত হয়।

দক্ষিণ সিরিয়ার সশস্ত্র দলগুলো নিয়ে গবেষণা করা সিরিয়ার গবেষক আহমেদ আবা জেইদ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত এটি শুধু একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল। এটি একটি বাস্তব গোষ্ঠী কি না, তা জানা যায়নি।’

এই হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েল ‘সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে (আহমেদ আল-শারা) ইসরায়েল রাষ্ট্রের দিকে প্রতিটি হুমকি এবং হামলার জন্য সরাসরি দায়ী’ মনে করে। তিনি এই হামলার ‘পূর্ণাঙ্গ প্রতিক্রিয়ার’ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, এটি ‘যত দ্রুত সম্ভব’ আসবে।

আসাদের পতনের পর থেকে ইসরায়েল নতুন সিরিয়া সরকারের প্রতি সন্দিহান। এই সরকারে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা। ইসরায়েল সিরিয়ায় শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে এবং সিরিয়ার ভূখণ্ডে জাতিসংঘ-নিয়ন্ত্রিত একটি বাফার জোন দখল করেছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সিরিয়া থেকে ইসরায়েলের দিকে হামলার প্রতিবেদনের ‘নির্ভুলতা এখনো যাচাই করেনি।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত করছি যে, সিরিয়া অঞ্চলের কোনো পক্ষের জন্য হুমকি ছিল না এবং হবেও না।’ এতে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণের নিন্দা জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে এই হামলা ‘উল্লেখযোগ্য মানবিক ও বস্তুগত ক্ষতি’ ঘটিয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্তের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আল-শারার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করেছে এবং সম্প্রতি সিরিয়ার ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সম্প্রতি জুয়িশ জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ফিরে যেতে চান। তবে তিনি তাৎক্ষণিক স্বাভাবিকীকরণের প্রস্তাব দেননি। তিনি বলেছেন, ‘শান্তি পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমে অর্জন করতে হবে, ভয়ের মাধ্যমে নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত