Ajker Patrika

তালাকের পরও স্বামীর কাছে খোরপোশ চাইতে পারবেন ভারতীয় মুসলিম নারীরা 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৪, ১৬: ০২
Thumbnail image

ভারতে তালাকের পরও স্বামীর কাছে ভরণপোষণ বা খোরপোশ দাবি করতে পারবেন মুসলিম নারীরা। ভারতের কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (সিআরপিসি) বা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারা অনুসারে অন্যান্য ধর্মের নারীর মতো মুসলিম নারীরাও এখন খোরপোশ চাইতে পারবেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তথা সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। আজ বুধবার বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে উল্লেখ করা হয়, ভারতের যে সেক্যুলার আইন আছে, তার ওপর প্রাধান্য পাবে না ১৯৮৬ সালের মুসলিম নারী আইন। এই আইনে মুসলিম নারীদের তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছিল। 

সুপ্রিম কোর্টের এ দুই বিচারক নিজ নিজ পৃথক রায় প্রদান করলেও তাঁরা একে অপরের রায়ের প্রতি একমত পোষণ করেন। মূলত একটি আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এ রায় দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি নাগারত্ন তাঁর রায়ে বলেন, ‘ধারা-১২৫ (ভারতের) সব নারীর জন্য প্রযোজ্য এবং এ কারণে এই বড় উপসংহারে পৌঁছেছি, যে আপিল করা হয়েছে তা খারিজ হয়ে যাবে।’ 

রায়ে আরও বলা হয়, ভরণপোষণ বা খোরপোশ প্রত্যেক বিবাহিত নারীর অধিকার, এটি কোনো দাতব্য তথা চ্যারিটিমূলক কাজ নয়। 

আবদুস সামাদ নামে এক ব্যক্তি তালাকের পর স্ত্রীকে খোরপোশ দিতে চাননি। পারিবারিক আদালত তাঁকে মাসিক খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আদালতের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে তিনি দ্বারস্থ হন তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের। উচ্চ আদালতও একই রায় দিলে তিনি আপিল করেন সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালতেও সেই পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়। 

বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, মুসলিম নারী (বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার রক্ষা) আইন, ১৯৮৬ ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ তথা সেক্যুলার আইনের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে না। এ বিষয়ে বিচারপতি নাগারত্ন বলেন, ‘আমরা ফৌজদারি আবেদন খারিজ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে এই সিদ্ধান্তে আসছি যে, ফৌজদারি আইনের ১২৫ ধারা সব নারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, কেবল বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে নয়।’ 

সেই সঙ্গে বিচারপতি নাগারত্ন আরও বলেন, ‘অনেক স্বামীই বুঝতেই পারেন না যে তাঁদের স্ত্রী, যারা গৃহবধূ, তাঁদের ওপর মানসিক দিক থেকে কতটা নির্ভরশীল। সময় এসেছে ভারতীয় পুরুষদের গৃহবধূদের ভূমিকা ও আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি দেওয়ার।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত