Ajker Patrika

ডাইনি সন্দেহে আসামে পুড়িয়ে মারা হলো নারীকে 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪: ২৩
Thumbnail image

ভারতের বাংলাদেশসংলগ্ন রাজ্য আসামে পুড়িয়ে মারা হয়েছে স্থানীয় এক আদিবাসী নারীকে। উত্তর আসামের সোনিতপুর জেলায় একদল লোক তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনা ঘটে গত ২৪ ডিসেম্বর। মূলত ডাইনি সন্দেহে ওই নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

নিহত ওই নারীর নাম সংগীতা কাপি। তাঁর স্বামী ও তিন সন্তান রয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্য। গত রোববার সন্ধ্যায় একদল লোক সংগীতার বিরুদ্ধে ডাইনিবিদ্যা চর্চার অভিযোগ তুলে তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর করে। সংগীতার স্বামী রাম কাপি জানান, ঘটনার সময় সংগীতা রান্না করছিলেন। সেখানেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণকারীরা। 

রাম কাপি বলেন, ‘তারা তাঁকে ডাইনি আখ্যা দিয়ে মারধর করতে থাকে। এ সময় সংগীতা তাদের মারধর বন্ধ করতে বলেন এবং অনুরোধ করেন বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য পরদিন সকালে আসতে। কিন্তু তারা কথা শোনেনি।’ সংগীতার স্বামী জানান, আক্রমণকারীরা তাঁকেও মারধর করেছে। 

এ সময় রাম নিজেই আক্রমণকারীদের প্রতি অনুরোধ জানান যেন, তারা মারধর বন্ধ করে পরদিন সকালে আসে। কিন্তু রামের করুণ অনুরোধ থোড়াই কেয়ার করে আক্রমণকারীরা সংগীতাকে মারধর করতে থাকে। রাম সংগীতাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সংগীতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আক্রমণকারীরা। 

 পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার সবাই সংগীতারই গ্রামের বাসিন্দা। আটক ব্যক্তিরা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান। 

প্রসঙ্গত, ডাইনি শিকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর আইন রয়েছে ভারতের যেসব রাজ্যে, তার মধ্যে আসাম একটি। ২০১৮ সালে এই আইন পাস করা হয়। তবু রাজ্যটিতে ডাইনি আখ্যা দিয়ে নারীদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া বা মেরে ফেলার উদাহরণ এখনো রয়েছে। আসাম সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ডাইনি শিকারের ঘটনায় আসামে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত