ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে ষোড়শ শতকের ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসকে সর্বকালের সেরা মানেন অনেকেই। দাবি করা হয়, মৃত্যুর কয়েক শ বছর পরও হিটলারের উত্থান এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো তাঁর বলে যাওয়া অনেক কথাই ফলে গেছে অক্ষরে অক্ষরে। ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের মৃত্যু নিয়েও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
সম্প্রতি নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর একটি চমকপ্রদ ব্যাখ্যায় বড় ভাই উইলিয়ামকে পেছনে ফেলে প্রিন্স হ্যারি সিংহাসনে বসতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছিল। এটাও বলা হয়েছিল যে, বর্তমান রাজা চার্লসের রাজত্বকাল খুবই সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে।
নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম লেখক মারিও রিডিং। ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাখ্যায় তিনি দাবি করেছিলেন, রাজকুমারী ডায়ানার সঙ্গে চার্লসের বিবাহবিচ্ছেদের জের ধরেই গণ অস্বীকৃতির মুখে সিংহাসন ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস।
শুধু তাই নয়, নস্ত্রাদামুসের মূল ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে ব্যাখ্যা করে ২০০৫ সালে প্রকাশিত মারিও রিডিংয়ের একটি বইয়ে দাবি করা হয়—চার্লসের পর ব্রিটিশ সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাজা হওয়ার আশাই করেননি। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে সিংহাসনের উত্তরাধিকারের প্রশ্নে তালিকার অনেক পেছনে থাকা প্রিন্স হ্যারি রাজা হতে পারেন। এমনকি, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক সাইমন ডোরান্টকেও অনেকে সম্ভাব্য রাজা হিসেবে বিবেচনা করছেন। এই ডোরান্ট বর্তমান রাজা চার্লস এবং রানি ক্যামিলার গোপন পুত্র বলে দাবি করে আসছেন।
বইটিতে মারিও রিডিং ১৫৫৫ সালে লেখা নস্ত্রাদামুসের রহস্যময় কবিতা ব্যাখ্যা করে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর বছরটি সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এ বিষয়ে বইটিতে লেখা হয়েছিল, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাবেন ২০২২ সালে ৯৬ বছর বয়সে। তাঁর মায়ের চেয়ে পাঁচ বছর কম বাঁচবেন তিনি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা রানিমাতা এলিজাবেথ ১০১ বছর বেঁচেছিলেন।
ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাখ্যায় বইটিতে বলা হয়েছিল, প্রিন্স চার্লস যখন সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবেন তখন তার বয়স ৭০-এর কোঠায় থাকবে। কিন্তু ডায়ানার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জের ধরে ব্রিটিশ জনসংখ্যার একটি অংশ তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ অব্যাহত রাখবে। এর ফলে তিনি প্রিন্স উইলিয়ামের কাছে রাজত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।
কিন্তু পরের বছরই রিডিংয়ের বইটির দ্বিতীয় রিভিশনে আরেকটি নাটকীয় দাবি করা হয়। নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণীর একটি নতুন সূত্র থেকে বলা হয়, ‘এমন একজন ব্যক্তি চার্লসের স্থলাভিষিক্ত হবেন যিনি কখনোই রাজা হবেন বলে আশা করেননি।’
এই বিষয়ে বইটিতে রিডিং প্রশ্ন রাখেন—তবে কি প্রিন্স উইলিয়াম, যিনি তাঁর বাবার উত্তরসূরি হওয়ার কথা ছিল তিনি হিসাবের বাইরে চলে যাবেন?
রিডিং মত দিয়েছিলেন, উইলিয়াম সিংহাসনে বসতে ব্যর্থ হলে তাঁর পরিবর্তে প্রিন্স হ্যারি যে কোনো ভাবে রাজা হবেন।
তবে এই ভবিষ্যদ্বাণীর সবচেয়ে নাটকীয় বিষয়টি লুকিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক সাইমন ডোরান্টকে নিয়ে, যিনি নিজেকে চার্লস ও ক্যামিলার গোপন পুত্র হিসেবে দাবি করেন। চার্লসের পর হিসেবের বাইরে থাকা যে ব্যক্তির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে—এ ক্ষেত্রে ডোরান্টের নামটিও উচ্চারিত হতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ৫৬ বছর বয়সী ডোরান্ট সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সেভেন-নিউজ চ্যানেলকে বলেন, ‘এটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়। কারণ ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে, মাঠের বাইরের কেউ রাজা হিসেবে চার্লসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আমি বুঝতে পারছি, কেন কিছু লোক মনে করে আমি এর জন্য উপযুক্ত।’
ডোরান্ট আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি চার্লস এবং ক্যামিলার পুত্র। আমি এটি প্রমাণ করার জন্য আদালতের অপেক্ষায় আছি। হয়তো নস্ত্রাদামুস আমাকেই ইঙ্গিত করেছেন, এই সব একদিন বেরিয়ে আসবে।’
ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে ষোড়শ শতকের ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসকে সর্বকালের সেরা মানেন অনেকেই। দাবি করা হয়, মৃত্যুর কয়েক শ বছর পরও হিটলারের উত্থান এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো তাঁর বলে যাওয়া অনেক কথাই ফলে গেছে অক্ষরে অক্ষরে। ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের মৃত্যু নিয়েও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
সম্প্রতি নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর একটি চমকপ্রদ ব্যাখ্যায় বড় ভাই উইলিয়ামকে পেছনে ফেলে প্রিন্স হ্যারি সিংহাসনে বসতে পারেন বলে দাবি করা হয়েছিল। এটাও বলা হয়েছিল যে, বর্তমান রাজা চার্লসের রাজত্বকাল খুবই সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে।
নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম লেখক মারিও রিডিং। ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাখ্যায় তিনি দাবি করেছিলেন, রাজকুমারী ডায়ানার সঙ্গে চার্লসের বিবাহবিচ্ছেদের জের ধরেই গণ অস্বীকৃতির মুখে সিংহাসন ত্যাগ করতে বাধ্য হবেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস।
শুধু তাই নয়, নস্ত্রাদামুসের মূল ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে ব্যাখ্যা করে ২০০৫ সালে প্রকাশিত মারিও রিডিংয়ের একটি বইয়ে দাবি করা হয়—চার্লসের পর ব্রিটিশ সিংহাসনে বসতে যাচ্ছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি রাজা হওয়ার আশাই করেননি। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমানে সিংহাসনের উত্তরাধিকারের প্রশ্নে তালিকার অনেক পেছনে থাকা প্রিন্স হ্যারি রাজা হতে পারেন। এমনকি, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক সাইমন ডোরান্টকেও অনেকে সম্ভাব্য রাজা হিসেবে বিবেচনা করছেন। এই ডোরান্ট বর্তমান রাজা চার্লস এবং রানি ক্যামিলার গোপন পুত্র বলে দাবি করে আসছেন।
বইটিতে মারিও রিডিং ১৫৫৫ সালে লেখা নস্ত্রাদামুসের রহস্যময় কবিতা ব্যাখ্যা করে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর বছরটি সঠিকভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। এ বিষয়ে বইটিতে লেখা হয়েছিল, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাবেন ২০২২ সালে ৯৬ বছর বয়সে। তাঁর মায়ের চেয়ে পাঁচ বছর কম বাঁচবেন তিনি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা রানিমাতা এলিজাবেথ ১০১ বছর বেঁচেছিলেন।
ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাখ্যায় বইটিতে বলা হয়েছিল, প্রিন্স চার্লস যখন সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবেন তখন তার বয়স ৭০-এর কোঠায় থাকবে। কিন্তু ডায়ানার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জের ধরে ব্রিটিশ জনসংখ্যার একটি অংশ তাঁর বিরুদ্ধে অসন্তোষ অব্যাহত রাখবে। এর ফলে তিনি প্রিন্স উইলিয়ামের কাছে রাজত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন।
কিন্তু পরের বছরই রিডিংয়ের বইটির দ্বিতীয় রিভিশনে আরেকটি নাটকীয় দাবি করা হয়। নস্ত্রাদামুসের ভবিষ্যদ্বাণীর একটি নতুন সূত্র থেকে বলা হয়, ‘এমন একজন ব্যক্তি চার্লসের স্থলাভিষিক্ত হবেন যিনি কখনোই রাজা হবেন বলে আশা করেননি।’
এই বিষয়ে বইটিতে রিডিং প্রশ্ন রাখেন—তবে কি প্রিন্স উইলিয়াম, যিনি তাঁর বাবার উত্তরসূরি হওয়ার কথা ছিল তিনি হিসাবের বাইরে চলে যাবেন?
রিডিং মত দিয়েছিলেন, উইলিয়াম সিংহাসনে বসতে ব্যর্থ হলে তাঁর পরিবর্তে প্রিন্স হ্যারি যে কোনো ভাবে রাজা হবেন।
তবে এই ভবিষ্যদ্বাণীর সবচেয়ে নাটকীয় বিষয়টি লুকিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক সাইমন ডোরান্টকে নিয়ে, যিনি নিজেকে চার্লস ও ক্যামিলার গোপন পুত্র হিসেবে দাবি করেন। চার্লসের পর হিসেবের বাইরে থাকা যে ব্যক্তির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে—এ ক্ষেত্রে ডোরান্টের নামটিও উচ্চারিত হতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে ৫৬ বছর বয়সী ডোরান্ট সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সেভেন-নিউজ চ্যানেলকে বলেন, ‘এটি অবশ্যই চিন্তার বিষয়। কারণ ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছে, মাঠের বাইরের কেউ রাজা হিসেবে চার্লসের স্থলাভিষিক্ত হবেন। আমি বুঝতে পারছি, কেন কিছু লোক মনে করে আমি এর জন্য উপযুক্ত।’
ডোরান্ট আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমি চার্লস এবং ক্যামিলার পুত্র। আমি এটি প্রমাণ করার জন্য আদালতের অপেক্ষায় আছি। হয়তো নস্ত্রাদামুস আমাকেই ইঙ্গিত করেছেন, এই সব একদিন বেরিয়ে আসবে।’
ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামোফোবিয়া ও মুসলমানবিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর নতুন ঢেউ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন
১ ঘণ্টা আগেধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অপতৎপরতা সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন সংখ্যালঘুবিরোধী প্রচারণার এক শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে।
জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনভিত্তিক এই অরাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে ‘এআই জেনারেটেড ইমেজারি অ্যান্ড দ্য নিউ ফ্রন্টিয়ার অব ইসলামোফোবিয়া ইন ইন্ডিয়া বা ভারতে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের নতুন সীমানা ও এআই-নির্মিত চিত্র’—শীর্ষক ৬০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে মুসলিমদের লক্ষ্য করে তৈরি করা ১ হাজার ৩২৬টি এআই-নির্ভর ঘৃণামূলক পোস্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে সক্রিয় ২৯৭টি পাবলিক অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছে।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রাকিব হামিদ নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, ‘এটি কেবল সমুদ্রে ভাসমান বরফের চূড়ার মতোই দৃশ্যমান ক্ষুদ্র এক অংশ। ভারতের ডিজিটাল জগতে এর পরিধি অনেক বিশাল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এ ধরনের কার্যক্রম ছিল তুলনামূলক কম। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ বেড়ে যায়। Stable Diffusion–স্ট্যাবল ডিফিউশন, Midjourney–মিডজার্নি ও DALL·E-ডল–ই—এর মতো এআই টুল সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠার সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এআই-নির্মিত ছবিগুলো এখন মুসলিমদের মানবিকতাবোধহীনভাবে উপস্থাপন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো, সহিংসতাকে নান্দনিকভাবে সাজানো এবং নারীবিদ্বেষ ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
এই প্রতিবেদন ভারতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ, এতে উঠে এসেছে কীভাবে এআই সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডার বিস্তারকে আরও দ্রুততর করছে। এতে আরও সতর্ক করা হয়, মুসলিম নারীদের যৌন অবমাননাকর এআই-নির্মিত ছবি ও কনটেন্ট তৈরির প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময়টাতে ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ আন্দোলন তুঙ্গে ছিল। সেপ্টেম্বরে উত্তর ভারতের কানপুর শহর থেকে শুরু হয়ে এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ডানপন্থী হিন্দু সংগঠন ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ব্যানারে আপত্তি জানালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশ হাজার হাজার মুসলিমের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সমাবেশের’ অভিযোগ আনে, যদিও আয়োজকেরা দাবি করেন—এগুলো ছিল শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সমাবেশ।
সিএসওএইচ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘যেকোনো সাধারণ প্রতিবাদ বা স্থানীয় সংঘাতকেও এখন সহজেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘৃণা ছড়াতে চায় তাদের হাতে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এআই-নির্মিত ছবি এসব প্রেক্ষাপটে সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব।’
এই অনুসন্ধান প্রকাশের পর উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ, ভারত এখনো এআই-নির্মিত মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত আইনগত ও সাংস্কৃতিক সক্ষমতা অর্জন করেনি।
ডিজিটাল প্রাইভেসি অধিকারবিষয়ক গবেষক শ্রীনিবাস কোদালি নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এসব কনটেন্ট সমাজের বিভিন্ন অংশে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্বাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘এআই-নির্মিত মিডিয়ার প্রভাব সরলরেখায় চলে না। কে দেখছে, কীভাবে ব্যাখ্যা করছে—তা নির্ভর করছে দর্শকের মানসিক প্রেক্ষাপটে।’
ভারত সরকারের ২০২৫ সালের রোডম্যাপ অনুযায়ী, এআই-কে ‘উন্মুক্ত, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য’ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে উদ্ভাবন ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ঘটাবে, নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করবে এবং বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এক ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলবে।’
কোদালি আরও বলেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিকর বক্তব্য রোধের জন্য নিয়মকানুনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছে, কিন্তু এআই সেই সীমানাগুলোকে আরও ঘোলা করে ফেলেছে। এটি একদিকে সৃজনশীল, অন্যদিকে প্রতারণার হাতিয়ার।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানহানি, ভুয়া তথ্য বা ঘৃণাবাচক বক্তব্যের মতো প্রচলিত ক্ষতিকর ভাষার ধরন তো ছিলই, এখন এআই সেই জগতে নতুন জটিলতা যোগ করেছে।’
হামিদ বলেন, সমস্যার মূল শিকড় লুকিয়ে আছে এআই মডেল তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে, ‘যেসব কোম্পানি এই মডেল বানাচ্ছে, তারা বিপুল পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত তথ্য, ঘৃণা ছড়ায় এমন কনটেন্ট ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে সেগুলো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ফলে যে কেউ চাইলে কয়েক সেকেন্ডেই এসব মডেল দিয়ে মুসলিমবিদ্বেষী কনটেন্ট বানাতে পারে।’
প্রতিবেদনটির শেষে নয়টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। যার কিছু নীতিনির্ধারকদের জন্য, আর কিছু এআই মডেল নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে। সেখানে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানকে ‘অবিলম্বে ও ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী শনাক্তকরণ, রিপোর্টিং ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে অপব্যবহার তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত ও রোধ করা যায়।’
বুধবার ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য নতুন নিয়মের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে যে—তাদের কনটেন্ট এআই-নির্মিত কি না।
আরও খবর পড়ুন:
ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর নতুন অপতৎপরতা সৃষ্টি হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন সংখ্যালঘুবিরোধী প্রচারণার এক শক্তিশালী অস্ত্রে পরিণত হয়েছে।
জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনভিত্তিক এই অরাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের ওয়েবসাইটে ‘এআই জেনারেটেড ইমেজারি অ্যান্ড দ্য নিউ ফ্রন্টিয়ার অব ইসলামোফোবিয়া ইন ইন্ডিয়া বা ভারতে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের নতুন সীমানা ও এআই-নির্মিত চিত্র’—শীর্ষক ৬০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে মুসলিমদের লক্ষ্য করে তৈরি করা ১ হাজার ৩২৬টি এআই-নির্ভর ঘৃণামূলক পোস্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে সক্রিয় ২৯৭টি পাবলিক অ্যাকাউন্ট থেকে ছড়ানো হয়েছে।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রাকিব হামিদ নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, ‘এটি কেবল সমুদ্রে ভাসমান বরফের চূড়ার মতোই দৃশ্যমান ক্ষুদ্র এক অংশ। ভারতের ডিজিটাল জগতে এর পরিধি অনেক বিশাল।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে এ ধরনের কার্যক্রম ছিল তুলনামূলক কম। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ বেড়ে যায়। Stable Diffusion–স্ট্যাবল ডিফিউশন, Midjourney–মিডজার্নি ও DALL·E-ডল–ই—এর মতো এআই টুল সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য সহজলভ্য হয়ে ওঠার সঙ্গে সম্পর্কিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এআই-নির্মিত ছবিগুলো এখন মুসলিমদের মানবিকতাবোধহীনভাবে উপস্থাপন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো, সহিংসতাকে নান্দনিকভাবে সাজানো এবং নারীবিদ্বেষ ও ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।’
এই প্রতিবেদন ভারতে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ, এতে উঠে এসেছে কীভাবে এআই সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডার বিস্তারকে আরও দ্রুততর করছে। এতে আরও সতর্ক করা হয়, মুসলিম নারীদের যৌন অবমাননাকর এআই-নির্মিত ছবি ও কনটেন্ট তৈরির প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময়টাতে ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ আন্দোলন তুঙ্গে ছিল। সেপ্টেম্বরে উত্তর ভারতের কানপুর শহর থেকে শুরু হয়ে এই আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ডানপন্থী হিন্দু সংগঠন ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ ব্যানারে আপত্তি জানালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশ হাজার হাজার মুসলিমের বিরুদ্ধে ‘অবৈধ সমাবেশের’ অভিযোগ আনে, যদিও আয়োজকেরা দাবি করেন—এগুলো ছিল শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় সমাবেশ।
সিএসওএইচ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘যেকোনো সাধারণ প্রতিবাদ বা স্থানীয় সংঘাতকেও এখন সহজেই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘৃণা ছড়াতে চায় তাদের হাতে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘এআই-নির্মিত ছবি এসব প্রেক্ষাপটে সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব।’
এই অনুসন্ধান প্রকাশের পর উদ্বেগ বেড়েছে। কারণ, ভারত এখনো এআই-নির্মিত মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত আইনগত ও সাংস্কৃতিক সক্ষমতা অর্জন করেনি।
ডিজিটাল প্রাইভেসি অধিকারবিষয়ক গবেষক শ্রীনিবাস কোদালি নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, এসব কনটেন্ট সমাজের বিভিন্ন অংশে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্বাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাঁর ভাষায়, ‘এআই-নির্মিত মিডিয়ার প্রভাব সরলরেখায় চলে না। কে দেখছে, কীভাবে ব্যাখ্যা করছে—তা নির্ভর করছে দর্শকের মানসিক প্রেক্ষাপটে।’
ভারত সরকারের ২০২৫ সালের রোডম্যাপ অনুযায়ী, এআই-কে ‘উন্মুক্ত, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য’ করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে উদ্ভাবন ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ঘটাবে, নাগরিকদের ক্ষমতায়িত করবে এবং বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এক ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলবে।’
কোদালি আরও বলেন, ‘সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিকর বক্তব্য রোধের জন্য নিয়মকানুনের পক্ষে যুক্তি দিয়েছে, কিন্তু এআই সেই সীমানাগুলোকে আরও ঘোলা করে ফেলেছে। এটি একদিকে সৃজনশীল, অন্যদিকে প্রতারণার হাতিয়ার।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানহানি, ভুয়া তথ্য বা ঘৃণাবাচক বক্তব্যের মতো প্রচলিত ক্ষতিকর ভাষার ধরন তো ছিলই, এখন এআই সেই জগতে নতুন জটিলতা যোগ করেছে।’
হামিদ বলেন, সমস্যার মূল শিকড় লুকিয়ে আছে এআই মডেল তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে, ‘যেসব কোম্পানি এই মডেল বানাচ্ছে, তারা বিপুল পরিমাণ অনিয়ন্ত্রিত তথ্য, ঘৃণা ছড়ায় এমন কনটেন্ট ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে সেগুলো প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ফলে যে কেউ চাইলে কয়েক সেকেন্ডেই এসব মডেল দিয়ে মুসলিমবিদ্বেষী কনটেন্ট বানাতে পারে।’
প্রতিবেদনটির শেষে নয়টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। যার কিছু নীতিনির্ধারকদের জন্য, আর কিছু এআই মডেল নির্মাতাদের উদ্দেশ্যে। সেখানে বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানকে ‘অবিলম্বে ও ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী শনাক্তকরণ, রিপোর্টিং ও নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে অপব্যবহার তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত ও রোধ করা যায়।’
বুধবার ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য নতুন নিয়মের প্রস্তাব দিয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীদের বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে যে—তাদের কনটেন্ট এআই-নির্মিত কি না।
আরও খবর পড়ুন:
ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে ষোড়শ শতকের ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসকে সর্বকালের সেরা মানেন অনেকেই। দাবি করা হয়, মৃত্যুর কয়েক শ বছর পরও হিটলারের উত্থান এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো তাঁর বলে যাওয়া অনেক কথাই ফলে গেছে অক্ষরে অক্ষরে। ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের মৃত্যু নিয়েও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
০২ জুন ২০২৪ধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
১৯২২ সালের ৪ নভেম্বর ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার সমাধিটি আবিষ্কার করেন। এই সমাধি চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত—প্রবেশদ্বার, অ্যান্টিচেম্বার (অগ্রকক্ষ), সমাধিকক্ষ এবং ভান্ডারঘর।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অগ্রকক্ষ এবং সমাধিকক্ষের ছাদ জুড়ে বড় ফাটলের সৃষ্টি হওয়ায় সমাধির কাঠামোটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে দুর্বল ‘এসনা শেল’ শিলা ভিজিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে সেখানে নতুন ফাটল ও ফিসার তৈরি হচ্ছে।
গবেষণাপত্রের লেখক ড. সায়েদ হেমেদা জানান, এই সমাধিটি দীর্ঘকাল ধরে আকস্মিক বন্যা এবং বড় ধরনের ফাটলের শিকার হয়েছে। যার ফলে এর অবস্থা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ খারাপের দিকে গেছে।’
গবেষক জিওটেকনিক্যাল মডেলিং এবং হিসাবের সাহায্যে, জয়েন্টেড রক মডেল-সহ উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যাক্সিস থ্রিডি সফটওয়্যার ব্যবহার করে সমাধির বিদ্যমান সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষণাটিতে সংখ্যাগত সিমুলেশনের মাধ্যমে আকস্মিক বন্যা এবং সমাধিটির প্রধান ফাটলের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব বিশদভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অ্যান্টিচেম্বার (অগ্রকক্ষ) ও সমাধিকক্ষের ছাদের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করা প্রধান উপাদানগুলো, বিকৃতি ও ধ্বংসের ধরন এবং গুরুত্বপূর্ণ দুর্বল অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সমাধির বর্তমান স্থিতিশীলতার স্তরও নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এই গবেষণার লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সমাধির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য কার্যকর পরামর্শ প্রদান করা। সমাধিটি সংরক্ষণের জন্য এর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে আর্দ্রতার তারতম্য কমানো এবং সংরক্ষণের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আর্দ্রতার কারণে হওয়া ক্ষতিই একমাত্র কারণ নয়। কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ব অনুষদের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিদ্যার অধ্যাপক মোহামেদ আতিয়া হাওয়াশের বরাতে বলা হয়, ভ্যালি অব দ্য কিংস ঘিরে থাকা পাহাড়গুলোতে বড় বড় ফাটল রয়েছে, যার কারণে পাথরের চাঁই ভেঙে পড়লে সমাধিটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অধ্যাপক হাওয়াশ সতর্ক করে বলেন, ‘যে কোনো মুহূর্তে একটি বিপর্যয় ঘটতে পারে। কিংস ভ্যালিকে রক্ষা করতে হলে খুব দেরি হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এটিকে একটি কঠোর সতর্কতা হিসেবে মানার আহ্বান জানান তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
ধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
১৯২২ সালের ৪ নভেম্বর ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার সমাধিটি আবিষ্কার করেন। এই সমাধি চারটি প্রধান অংশে বিভক্ত—প্রবেশদ্বার, অ্যান্টিচেম্বার (অগ্রকক্ষ), সমাধিকক্ষ এবং ভান্ডারঘর।
গবেষণায় বলা হয়েছে, অগ্রকক্ষ এবং সমাধিকক্ষের ছাদ জুড়ে বড় ফাটলের সৃষ্টি হওয়ায় সমাধির কাঠামোটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে দুর্বল ‘এসনা শেল’ শিলা ভিজিয়ে দিচ্ছে। যার ফলে সেখানে নতুন ফাটল ও ফিসার তৈরি হচ্ছে।
গবেষণাপত্রের লেখক ড. সায়েদ হেমেদা জানান, এই সমাধিটি দীর্ঘকাল ধরে আকস্মিক বন্যা এবং বড় ধরনের ফাটলের শিকার হয়েছে। যার ফলে এর অবস্থা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ খারাপের দিকে গেছে।’
গবেষক জিওটেকনিক্যাল মডেলিং এবং হিসাবের সাহায্যে, জয়েন্টেড রক মডেল-সহ উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্ল্যাক্সিস থ্রিডি সফটওয়্যার ব্যবহার করে সমাধির বিদ্যমান সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষণাটিতে সংখ্যাগত সিমুলেশনের মাধ্যমে আকস্মিক বন্যা এবং সমাধিটির প্রধান ফাটলের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব বিশদভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘অ্যান্টিচেম্বার (অগ্রকক্ষ) ও সমাধিকক্ষের ছাদের স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করা প্রধান উপাদানগুলো, বিকৃতি ও ধ্বংসের ধরন এবং গুরুত্বপূর্ণ দুর্বল অঞ্চলগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সমাধির বর্তমান স্থিতিশীলতার স্তরও নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এই গবেষণার লক্ষ্য হলো ভবিষ্যতে সমাধির স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য কার্যকর পরামর্শ প্রদান করা। সমাধিটি সংরক্ষণের জন্য এর অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে আর্দ্রতার তারতম্য কমানো এবং সংরক্ষণের একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আর্দ্রতার কারণে হওয়া ক্ষতিই একমাত্র কারণ নয়। কায়রো ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ব অনুষদের স্থাপত্য সংরক্ষণ বিদ্যার অধ্যাপক মোহামেদ আতিয়া হাওয়াশের বরাতে বলা হয়, ভ্যালি অব দ্য কিংস ঘিরে থাকা পাহাড়গুলোতে বড় বড় ফাটল রয়েছে, যার কারণে পাথরের চাঁই ভেঙে পড়লে সমাধিটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অধ্যাপক হাওয়াশ সতর্ক করে বলেন, ‘যে কোনো মুহূর্তে একটি বিপর্যয় ঘটতে পারে। কিংস ভ্যালিকে রক্ষা করতে হলে খুব দেরি হওয়ার আগেই পদক্ষেপ নিতে হবে। এটিকে একটি কঠোর সতর্কতা হিসেবে মানার আহ্বান জানান তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে ষোড়শ শতকের ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসকে সর্বকালের সেরা মানেন অনেকেই। দাবি করা হয়, মৃত্যুর কয়েক শ বছর পরও হিটলারের উত্থান এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো তাঁর বলে যাওয়া অনেক কথাই ফলে গেছে অক্ষরে অক্ষরে। ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের মৃত্যু নিয়েও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
০২ জুন ২০২৪ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামোফোবিয়া ও মুসলমানবিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর নতুন ঢেউ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন
১ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বড় তিন দেশ—ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি—চায়, ইউক্রেন যে অর্থে অস্ত্র কিনবে, তা যেন ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পেই খরচ হয়। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর হাতে সেই অর্থ না যায়।
তবে রোববার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে এই ইস্যুতে তীব্র আলোচনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনকে ঋণের আইনি প্রস্তাব তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। রাশিয়ার জব্দ সম্পদ থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই ঋণ দেওয়া হবে। এটি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা চাহিদা ও বাজেট ঘাটতি দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও কী পরিমাণ কোথায় ব্যয় হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস এর আগে প্রস্তাব করেছিলেন যে, এই ঋণ ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করতেও কাজে লাগানো উচিত। তাঁর ভাষায়, ‘এটি ইউরোপের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ কিন্তু নেদারল্যান্ডস, নর্ডিক ও বাল্টিক দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতা থাকা উচিত। তারা মনে করে, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রও কিনতে পারবে।
বার্লিন ও প্যারিসের চাপের কারণে ইইউ সম্মেলনের খসড়া বিবৃতিতে ‘ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা’ উল্লেখ করা হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই শর্ত আসলে ভণ্ডামি। এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, ‘যদি লক্ষ্য হয় ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করা, তাহলে কেনা-বেচার শর্ত খোলা রাখা উচিত।’ তাদের মতে, ‘শুধু ইউরোপীয় অস্ত্র কিনতে হবে’—এমন নিয়ম দিলে ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পাবে না।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অরপো বলেন, ‘আমরা চাই ইউক্রেন ইউরোপ থেকে আরও বেশি অস্ত্র কিনুক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপের সব সক্ষমতা এখনো নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কেনার সুযোগ রাখতে হবে।’
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এক বৈঠকেও এই বিভাজন প্রকাশ পায়। লিথুয়ানিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দোভিলে শাকালিয়েনে বলেন, ইউক্রেনের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা পূরণের জন্য এই ঋণ ব্যবহার করা উচিত—সেই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের হলেও। তিনি ন্যাটোর একটি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র দেবে, কিন্তু এর দাম পরিশোধ করবে ইউরোপীয় দেশগুলো।
আরও খবর পড়ুন:
ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বড় তিন দেশ—ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালি—চায়, ইউক্রেন যে অর্থে অস্ত্র কিনবে, তা যেন ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পেই খরচ হয়। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর হাতে সেই অর্থ না যায়।
তবে রোববার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে এই ইস্যুতে তীব্র আলোচনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনকে ঋণের আইনি প্রস্তাব তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। রাশিয়ার জব্দ সম্পদ থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে এই ঋণ দেওয়া হবে। এটি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা চাহিদা ও বাজেট ঘাটতি দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে, যদিও কী পরিমাণ কোথায় ব্যয় হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎস এর আগে প্রস্তাব করেছিলেন যে, এই ঋণ ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করতেও কাজে লাগানো উচিত। তাঁর ভাষায়, ‘এটি ইউরোপের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ কিন্তু নেদারল্যান্ডস, নর্ডিক ও বাল্টিক দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনের প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ ব্যয়ের স্বাধীনতা থাকা উচিত। তারা মনে করে, ইউক্রেন চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রও কিনতে পারবে।
বার্লিন ও প্যারিসের চাপের কারণে ইইউ সম্মেলনের খসড়া বিবৃতিতে ‘ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তা’ উল্লেখ করা হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এই শর্ত আসলে ভণ্ডামি। এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, ‘যদি লক্ষ্য হয় ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সাহায্য করা, তাহলে কেনা-বেচার শর্ত খোলা রাখা উচিত।’ তাদের মতে, ‘শুধু ইউরোপীয় অস্ত্র কিনতে হবে’—এমন নিয়ম দিলে ইউক্রেন গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি প্যাট্রিয়ট মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, পাবে না।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অরপো বলেন, ‘আমরা চাই ইউক্রেন ইউরোপ থেকে আরও বেশি অস্ত্র কিনুক। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপের সব সক্ষমতা এখনো নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কেনার সুযোগ রাখতে হবে।’
গত সপ্তাহে ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের এক বৈঠকেও এই বিভাজন প্রকাশ পায়। লিথুয়ানিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দোভিলে শাকালিয়েনে বলেন, ইউক্রেনের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা পূরণের জন্য এই ঋণ ব্যবহার করা উচিত—সেই অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের হলেও। তিনি ন্যাটোর একটি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র দেবে, কিন্তু এর দাম পরিশোধ করবে ইউরোপীয় দেশগুলো।
আরও খবর পড়ুন:
ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে ষোড়শ শতকের ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসকে সর্বকালের সেরা মানেন অনেকেই। দাবি করা হয়, মৃত্যুর কয়েক শ বছর পরও হিটলারের উত্থান এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো তাঁর বলে যাওয়া অনেক কথাই ফলে গেছে অক্ষরে অক্ষরে। ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের মৃত্যু নিয়েও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
০২ জুন ২০২৪ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামোফোবিয়া ও মুসলমানবিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর নতুন ঢেউ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন
১ ঘণ্টা আগেধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই ঋণের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ডলারের সমান। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিংকট্যাংক পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এই ঋণ চীন, ভারত, জাপান, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সম্মিলিত মূল্যের সমান।
মাত্র দুই মাসের কিছু বেশি সময় আগে, চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির ঋণ ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ঋণ ছিল ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, আর ওই বছরের জুলাই মাসে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার। পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল এ পিটারসন বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা তাদের ‘মৌলিক আর্থিক দায়িত্ব’ পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এক ট্রিলিয়নের পর আরেক ট্রিলিয়ন ঋণ যোগ করে সংকটের পর সংকটে বাজেট তৈরি করা, এমন এক মহান জাতির জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এর পরিবর্তে ঋণের ঘড়ির কাঁটা যতই দ্রুত ঘুরছে, ততই সংসদ সদস্যদের উচিত দায়িত্বশীল সংস্কারের সুযোগ নেওয়া, যা দেশকে ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী পথে নিয়ে যেতে পারে।’
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিজ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের মান ‘Aaa’ থেকে নামিয়ে ‘Aa1’ করেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, একের পর এক প্রশাসন বৃহৎ বার্ষিক বাজেট ঘাটতি ও সুদের ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতা উল্টে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে ফিচ ও স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস যথাক্রমে ২০১১ ও ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং নামিয়ে দেয়।
যদিও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এখনো বিতর্ক আছে, যুক্তরাষ্ট্র কতটা ঋণ নিতে পারে আর্থিক বিপর্যয় সৃষ্টি না করে, তবু সবাই একমত যে বর্তমান ঋণের ধারা টেকসই নয়। ২০২৩ সালের এক বিশ্লেষণে পেন ওয়ারটন বাজেট মডেলের অর্থনীতিবিদেরা অনুমান করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ যদি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে আর্থিক বাজার তা সহ্য করবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশটির ঋণ জিডিপির ২০০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর পেছনে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রণীত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর আওতায় দেওয়া ব্যাপক করছাড়।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটির মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ ট্রিলিয়ন ১৯ বিলিয়ন ৮১৩ মিলিয়ন ডলার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, এই ঋণের পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য গড়ে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ডলারের সমান। ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিংকট্যাংক পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, এই ঋণ চীন, ভারত, জাপান, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সম্মিলিত মূল্যের সমান।
মাত্র দুই মাসের কিছু বেশি সময় আগে, চলতি বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দেশটির ঋণ ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ঋণ ছিল ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, আর ওই বছরের জুলাই মাসে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার। পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল এ পিটারসন বলেছেন, মার্কিন আইনপ্রণেতারা তাদের ‘মৌলিক আর্থিক দায়িত্ব’ পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এক ট্রিলিয়নের পর আরেক ট্রিলিয়ন ঋণ যোগ করে সংকটের পর সংকটে বাজেট তৈরি করা, এমন এক মহান জাতির জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। এর পরিবর্তে ঋণের ঘড়ির কাঁটা যতই দ্রুত ঘুরছে, ততই সংসদ সদস্যদের উচিত দায়িত্বশীল সংস্কারের সুযোগ নেওয়া, যা দেশকে ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী পথে নিয়ে যেতে পারে।’
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিজ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ঋণের মান ‘Aaa’ থেকে নামিয়ে ‘Aa1’ করেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, একের পর এক প্রশাসন বৃহৎ বার্ষিক বাজেট ঘাটতি ও সুদের ব্যয় বৃদ্ধির প্রবণতা উল্টে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে ফিচ ও স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস যথাক্রমে ২০১১ ও ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং নামিয়ে দেয়।
যদিও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এখনো বিতর্ক আছে, যুক্তরাষ্ট্র কতটা ঋণ নিতে পারে আর্থিক বিপর্যয় সৃষ্টি না করে, তবু সবাই একমত যে বর্তমান ঋণের ধারা টেকসই নয়। ২০২৩ সালের এক বিশ্লেষণে পেন ওয়ারটন বাজেট মডেলের অর্থনীতিবিদেরা অনুমান করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ যদি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, তাহলে আর্থিক বাজার তা সহ্য করবে না।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরপেক্ষ কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের হিসাব অনুযায়ী, ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশটির ঋণ জিডিপির ২০০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এর পেছনে বড় কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রণীত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এর আওতায় দেওয়া ব্যাপক করছাড়।
ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে ষোড়শ শতকের ফরাসি জ্যোতিষী নস্ত্রাদামুসকে সর্বকালের সেরা মানেন অনেকেই। দাবি করা হয়, মৃত্যুর কয়েক শ বছর পরও হিটলারের উত্থান এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো তাঁর বলে যাওয়া অনেক কথাই ফলে গেছে অক্ষরে অক্ষরে। ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের মৃত্যু নিয়েও তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
০২ জুন ২০২৪ভারতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ছবি ও ভিডিও ইসলামোফোবিয়া ও মুসলমানবিরোধী ঘৃণা ছড়ানোর নতুন ঢেউ সৃষ্টি করছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব অর্গানাইজড হেট–এর (সিএসওএইচ) এক নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে এমনই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এআই এখন
১ ঘণ্টা আগেধ্বংসের ঝুঁকিতে প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের ত্রয়োদশ ফারাও তুতানখামেনের সমাধি। ঐতিহাসিক এই সমাধিতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। পানি ঢুকে এবং ছত্রাক জমে ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেচার সংবাদপত্রের এনপিজে হেরিটেজ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ কথা জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় দেশগুলো এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যে, রাশিয়ার কাছ থেকে জব্দ করা ১৪০ বিলিয়ন ইউরো তথা ১৬২ বিলিয়ন ডলার অর্থ ইউক্রেনকে ঋণ হিসেবে দেওয়া হবে কি না। এই অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধেই যুদ্ধের জন্য অস্ত্র কেনায় ব্যয় হবে। তবে ঋণ অনুমোদনের আগেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—এই অর্থের সঙ্গে কী শর্ত যুক্ত হবে তা নিয়ে।
২ ঘণ্টা আগে