অনলাইন ডেস্ক
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো ঘোষণা করেছেন যে, তাঁর দেশ ইউক্রেনকে আর কোনো সামরিক বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে না। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার এক খোলা চিঠিতে ফিকো স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার ইউক্রেনকে এমন কোনো সহায়তা দেবে না, যা দেশটিকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম করবে। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, যদি অন্য কোনো দেশ ইউক্রেনকে সহায়তা করতে চায়, তাহলে স্লোভাকিয়া তাদের সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবে।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিকো তাঁর ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা চিঠিতে লিখেন, ‘স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে আর্থিক বা সামরিক কোনোভাবেই সমর্থন করবে না, যাতে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। অন্যরা যদি তা করে, আমরা তার প্রতি সম্মান জানাব।’
ফিকো ব্যাখ্যা করেন, স্লোভাকিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ নীতির প্রতি সংশয় প্রকাশ করছে। তার মতে, ইউক্রেন কখনোই এত শক্তিশালী হবে না যে, দেশটি নিজের সামরিক সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কোনো শান্তি আলোচনা করতে পারবে। ফিকোর দৃষ্টিতে, ইউক্রেনের সামরিক শক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
স্লোভাকিয়ার এই নেতা বলেন, আগামী ৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে স্লোভাকিয়া যে প্রস্তাব দেবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, তা চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই হোক বা পরেই হোক। তিনি লিখেন, ‘ইইউ সম্মেলনের শেষ পর্বের জন্য স্লোভাকিয়া অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে (চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি কখন সম্পন্ন হবে, তা বিবেচনা না করেই), যা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু সদস্য রাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে।’
এ ছাড়া, ফিকো তাঁর দেশের পক্ষে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনের সিদ্ধান্তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত যে, ইউক্রেনের মাধ্যমে স্লোভাকিয়া ও পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস পরিবহনের পথ পুনরায় চালু করতে হবে। তিনি লিখেন, ‘ইউক্রেনের মাধ্যমে রুশ গ্যাস সরবরাহ পুনরুদ্ধার না করা হলে ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা নিশ্চিত করা অসম্ভব।’
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সম্মেলন ইউক্রেনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষের মতকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে ধরে নেয় এবং ভিন্নমতের প্রতি কোনো গুরুত্ব না দেয়, তাহলে ইউক্রেন বিষয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিল কোনো সম্মিলিত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবে না।
ফিকোর এই বক্তব্য এমন এক সময় এল, যখন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ওই আলোচনার সময় ট্রাম্প প্রকাশ্যে জেলেনস্কির মনোভাবের সমালোচনা করেন, আর জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তাঁর দেশের জন্য সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
পরে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে দাবি করেন, জেলেনস্কি এখনো শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত নন। পরে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইবেন? এর জবাবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এমন কিছু করেননি, যার জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো ঘোষণা করেছেন যে, তাঁর দেশ ইউক্রেনকে আর কোনো সামরিক বা আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে না। গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার এক খোলা চিঠিতে ফিকো স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার ইউক্রেনকে এমন কোনো সহায়তা দেবে না, যা দেশটিকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সক্ষম করবে। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, যদি অন্য কোনো দেশ ইউক্রেনকে সহায়তা করতে চায়, তাহলে স্লোভাকিয়া তাদের সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবে।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিকো তাঁর ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা চিঠিতে লিখেন, ‘স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে আর্থিক বা সামরিক কোনোভাবেই সমর্থন করবে না, যাতে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে। অন্যরা যদি তা করে, আমরা তার প্রতি সম্মান জানাব।’
ফিকো ব্যাখ্যা করেন, স্লোভাকিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ নীতির প্রতি সংশয় প্রকাশ করছে। তার মতে, ইউক্রেন কখনোই এত শক্তিশালী হবে না যে, দেশটি নিজের সামরিক সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে কোনো শান্তি আলোচনা করতে পারবে। ফিকোর দৃষ্টিতে, ইউক্রেনের সামরিক শক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
স্লোভাকিয়ার এই নেতা বলেন, আগামী ৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে স্লোভাকিয়া যে প্রস্তাব দেবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, তা চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের আগেই হোক বা পরেই হোক। তিনি লিখেন, ‘ইইউ সম্মেলনের শেষ পর্বের জন্য স্লোভাকিয়া অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে (চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি কখন সম্পন্ন হবে, তা বিবেচনা না করেই), যা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু সদস্য রাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে।’
এ ছাড়া, ফিকো তাঁর দেশের পক্ষে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনের সিদ্ধান্তে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত যে, ইউক্রেনের মাধ্যমে স্লোভাকিয়া ও পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস পরিবহনের পথ পুনরায় চালু করতে হবে। তিনি লিখেন, ‘ইউক্রেনের মাধ্যমে রুশ গ্যাস সরবরাহ পুনরুদ্ধার না করা হলে ইউরোপের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা নিশ্চিত করা অসম্ভব।’
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেন, যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সম্মেলন ইউক্রেনের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষের মতকেই একমাত্র গ্রহণযোগ্য দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে ধরে নেয় এবং ভিন্নমতের প্রতি কোনো গুরুত্ব না দেয়, তাহলে ইউক্রেন বিষয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিল কোনো সম্মিলিত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবে না।
ফিকোর এই বক্তব্য এমন এক সময় এল, যখন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ওই আলোচনার সময় ট্রাম্প প্রকাশ্যে জেলেনস্কির মনোভাবের সমালোচনা করেন, আর জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তাঁর দেশের জন্য সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
পরে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে দাবি করেন, জেলেনস্কি এখনো শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত নন। পরে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কিকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইবেন? এর জবাবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এমন কিছু করেননি, যার জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক আলোচনার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে উদ্যোগী হয়েছেন ইউরোপের নেতারা। এই লক্ষ্যে আজ রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার লন্ডনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
৮ ঘণ্টা আগে‘প্রেসিডেন্ট অ্যাট ওয়ার’ নামে নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কীভাবে একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের জীবন ও শাসনকে প্রভাবিত করেছিল, তা বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া বইটিতে জন এফ কেনেডির প্রেমজীবনের একটি বিতর্কিত অধ্যায় তুলে ধরেছেন লেখক স্টিভেন এম গিলন। ইনগা আরভাদ নামে একজন
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে আরও প্রায় ৩ হাজার সেনা মোতায়েন করা হবে। গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড (নর্থকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দ্বিতীয় স্ট্রাইকার ব্রিগেড কমব্যাট টিম (এসবিসিটি) থেকে প্রায় ২ হাজার ৪০০ সেনা এবং তৃতীয় কমব্যাট এভিয়েশন ব্রিগেড থেকে ৫০০
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস ও বোস্টনে শত শত মানুষ ইউক্রেনের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ভারমন্টের ওয়েটসফিল্ড শহরেও সমবেত হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স তাঁর পরিবার নিয়ে স্কি অবকাশযাপনে গিয়েছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে