ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে বিতর্কিত বিজ্ঞাপনচিত্র সরিয়ে নিয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘জারা’। সেখানে গাজার ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে সাদৃশ্যবিশিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছাড়া ম্যানেকিন ও সাদা কাপড়ে মোড়ানো মূর্তি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মডেল ক্রিস্টেন ম্যাকমেনামিও যেন দাঁড়িয়ে ছিলেন বিধ্বস্ত গাজার মধ্যখানে।
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এ ছবির পটভূমিকে গাজায় চলমান ইসরায়েল–হামাসের যুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিরূপ বলে অভিযোগ করেন এবং মানুষের ভোগান্তিকে উপহাস করার অভিযোগে ব্র্যান্ডটি বয়কটের ডাক দেন।
মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারীরা গতকাল সোমবার থেকে ‘#বয়কটজারা’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট করা শুরু করেন। জারার ইনস্টাগ্রাম পোস্টেও প্রায় এক লাখের মতো কমেন্ট করেন ব্যবহারকারীরা। এসব মন্তব্যে তারা বিজ্ঞাপনগুলোকে গাজায় কাফনে মোড়ানো লাশের ছবির সঙ্গে তুলনা করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, জারা ব্র্যান্ডটির মালিক ইন্ডিটেক্সের দাবি, গত জুলাইয়ে ‘আতেলিয়ের’ কালেকশনটির ধারণা প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং সেপ্টেম্বরেই এ ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। জারা ব্র্যান্ড থেকে এক সূত্র সংবাদমাধ্যম আইনিউজকে জানায়, ‘সম্ভবত ছবিগুলো প্রকাশ করার সময়টা খুবই খারাপ ছিল।’
গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত জারার অনলাইন স্টোর হোমপেজে বিজ্ঞাপন চিত্রের ছবিগুলো দেখা গেলেও পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়। জারা আতেলিয়ের লিংকে প্রবেশ করলেও তাতে এখন গত বছরের কালেকশনই দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন চিত্রটি বয়কটের ডাক দেওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা জারা স্টোরের বাইরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করছেন। এর স্টোরের বাইরের জানালায় স্প্রে পেইন্ট দিয়ে লেখা হচ্ছে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’। এমনকি স্টোরের ভেতরেও মানুষ বিজ্ঞাপন চিত্রটিকে কটাক্ষ করে সাদা কাপড়র পুটলি নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনি মডেল কাহের হারহাশের উদ্দেশ্যে দেওয়া জারার প্রধান ডিজাইনার ভ্যানেসা পেরিলম্যানের এক পুরোনো বার্তাও খুঁজে বের করেছেন। ২০২১ সালের ওই বার্তায় পেরিলম্যান বলেন, ‘আপনাদের জনগণ যদি শিক্ষিত হতো তবে তারা গাজায় ইসরায়েলের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল ও স্কুল উড়িয়ে দিত না।’
জারার প্রধান ডিজাইনার আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মক্ষেত্রের সবাই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সম্পর্কে সত্যটা জানে। আমি কখনোই ইসরায়েলের সমর্থন করা ছাড়ব না। তোমার মতো মানুষ অনেক আসে আর যায়। ইসরায়েলিরা তোমাদের মতো সন্তানকে ঘৃণা করতে শেখায় না, সেনাদের ওপর পাথর ছুড়তেও শেখায় না।’
বিজ্ঞাপন চিত্রটি সরিয়ে ফেলা হলেও এতে জনমনে ক্ষোভ কমেনি। মানুষ এখনো এ ব্র্যান্ডটিকে বয়কটের সমর্থন করছে। এক ব্যবহারকারী এক্স প্ল্যাটফর্মে বলেন, ‘এখন সাফাই দিয়ে লাভ নেই, ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমরা জানি, তোমাদের আর্ট বা ফ্যাশন পরিচালক একজন কট্টর জায়নবাদী। আমরা কেউ জারার পোশাক কেনা তো দূর এর আশপাশেও যাব না। তোমরা নিজেদের আসল চেহারা দেখিয়ে ফেলেছ। তোমরা আবারও একই কাজই করবে।’
গাজায় ইসরায়েলের হামলা তৃতীয় মাসে গড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে বিতর্কিত বিজ্ঞাপনচিত্র সরিয়ে নিয়েছে ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘জারা’। সেখানে গাজার ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে সাদৃশ্যবিশিষ্ট অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ছাড়া ম্যানেকিন ও সাদা কাপড়ে মোড়ানো মূর্তি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মডেল ক্রিস্টেন ম্যাকমেনামিও যেন দাঁড়িয়ে ছিলেন বিধ্বস্ত গাজার মধ্যখানে।
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এ ছবির পটভূমিকে গাজায় চলমান ইসরায়েল–হামাসের যুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিরূপ বলে অভিযোগ করেন এবং মানুষের ভোগান্তিকে উপহাস করার অভিযোগে ব্র্যান্ডটি বয়কটের ডাক দেন।
মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) ব্যবহারকারীরা গতকাল সোমবার থেকে ‘#বয়কটজারা’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট করা শুরু করেন। জারার ইনস্টাগ্রাম পোস্টেও প্রায় এক লাখের মতো কমেন্ট করেন ব্যবহারকারীরা। এসব মন্তব্যে তারা বিজ্ঞাপনগুলোকে গাজায় কাফনে মোড়ানো লাশের ছবির সঙ্গে তুলনা করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, জারা ব্র্যান্ডটির মালিক ইন্ডিটেক্সের দাবি, গত জুলাইয়ে ‘আতেলিয়ের’ কালেকশনটির ধারণা প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং সেপ্টেম্বরেই এ ছবিগুলো তোলা হয়েছিল। জারা ব্র্যান্ড থেকে এক সূত্র সংবাদমাধ্যম আইনিউজকে জানায়, ‘সম্ভবত ছবিগুলো প্রকাশ করার সময়টা খুবই খারাপ ছিল।’
গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত জারার অনলাইন স্টোর হোমপেজে বিজ্ঞাপন চিত্রের ছবিগুলো দেখা গেলেও পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়। জারা আতেলিয়ের লিংকে প্রবেশ করলেও তাতে এখন গত বছরের কালেকশনই দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন চিত্রটি বয়কটের ডাক দেওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা জারা স্টোরের বাইরে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করছেন। এর স্টোরের বাইরের জানালায় স্প্রে পেইন্ট দিয়ে লেখা হচ্ছে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’। এমনকি স্টোরের ভেতরেও মানুষ বিজ্ঞাপন চিত্রটিকে কটাক্ষ করে সাদা কাপড়র পুটলি নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে।
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনি মডেল কাহের হারহাশের উদ্দেশ্যে দেওয়া জারার প্রধান ডিজাইনার ভ্যানেসা পেরিলম্যানের এক পুরোনো বার্তাও খুঁজে বের করেছেন। ২০২১ সালের ওই বার্তায় পেরিলম্যান বলেন, ‘আপনাদের জনগণ যদি শিক্ষিত হতো তবে তারা গাজায় ইসরায়েলের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত হাসপাতাল ও স্কুল উড়িয়ে দিত না।’
জারার প্রধান ডিজাইনার আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মক্ষেত্রের সবাই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সম্পর্কে সত্যটা জানে। আমি কখনোই ইসরায়েলের সমর্থন করা ছাড়ব না। তোমার মতো মানুষ অনেক আসে আর যায়। ইসরায়েলিরা তোমাদের মতো সন্তানকে ঘৃণা করতে শেখায় না, সেনাদের ওপর পাথর ছুড়তেও শেখায় না।’
বিজ্ঞাপন চিত্রটি সরিয়ে ফেলা হলেও এতে জনমনে ক্ষোভ কমেনি। মানুষ এখনো এ ব্র্যান্ডটিকে বয়কটের সমর্থন করছে। এক ব্যবহারকারী এক্স প্ল্যাটফর্মে বলেন, ‘এখন সাফাই দিয়ে লাভ নেই, ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমরা জানি, তোমাদের আর্ট বা ফ্যাশন পরিচালক একজন কট্টর জায়নবাদী। আমরা কেউ জারার পোশাক কেনা তো দূর এর আশপাশেও যাব না। তোমরা নিজেদের আসল চেহারা দেখিয়ে ফেলেছ। তোমরা আবারও একই কাজই করবে।’
গাজায় ইসরায়েলের হামলা তৃতীয় মাসে গড়িয়েছে। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২০ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আজ সোমবার বেলা ১টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্কুলের একটি ভবনের ওপর...
৩ ঘণ্টা আগেব্রিটেনে ভুয়া নথির মাধ্যমে পাকিস্তানি অভিবাসীদের প্রবেশের একটি চাঞ্চল্যকর চিত্র উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে অবস্থিত ‘মিরপুর ভিসা কনসালট্যান্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে ভিসার জন্য জাল কাগজপত্র সরবরাহ করছে, যা
৩ ঘণ্টা আগেঢাকার উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আজ সোমবার (২১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এই শোকবার্তা প্রকাশ করেন।
৬ ঘণ্টা আগেমোদি তাঁর শোকবার্তায় বলেন, ‘ঢাকায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষের, বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের হৃদয় শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থন ও
৬ ঘণ্টা আগে