রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকস চলতি সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার পুতিন বলেন, ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার ও সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চলতি বছর ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠককালে পুতিন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কাজানে আমাদের একগাদা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যা আমাদের সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও উন্নত করার এবং এর কাঠামোর মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গৃহীত হবে।’
রাশিয়ার কাজানে ব্রিকসের ১৬তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ৩০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। বিদেশি নেতাদের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও এতে অংশ নিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও।
পুতিনের এই প্রচেষ্টা মূলত এটি দেখানোর লক্ষ্যে যে, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাজ করছে না। একই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বকে এই বার্তাও দেওয়া যে, তারা যতই রাশিয়াকে একঘরে করার চেষ্টা করুক না কেন, তা ব্যর্থ হতে বাধ্য।
এ বিষয়ে ম্যাক্রো-অ্যাডভাইজরি কনসালটেন্সির সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্রিস ওয়েফার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘বার্তাটা স্পষ্ট যে, রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেমলিন থেকে এই বার্তাই দেওয়া হচ্ছে যে, রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা নিজের মতো করেই মোকাবিলা করছে। আমরা জানি যে, এর নিচে গুরুতর একটা বিচ্যুতি আছে। কিন্তু ভূরাজনৈতিক পর্যায়ে রাশিয়ার অনেক বন্ধু রয়েছে এবং তারা সবাই রাশিয়ার সহযোগী হবে।’
ব্রিকস জোটের মাধ্যমে রাশিয়া সম্মিলিতভাবে কিছু অর্জন করতে পারবে, সে বিষয়ে সন্দিহান গোল্ডম্যান স্যাচের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জিম ও’নেইল। এর মূল কারণ, জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অনেক বড় দ্বন্দ্ব আছে। যেমন—ভারত-চীন, সৌদি আরব-ইরান, মিসর-ইথিওপিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখনো প্রবল। এ বিষয়ে তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘তারা সবাই মিলে কোনো বড় বিষয়ে একমত হবে, এই ধারণাই আসলে পাগলামি।’
রাশিয়া যেখানে পশ্চিমাবিরোধী মনোভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রিকসের সহায়তায় ‘নতুন বিশ্বব্যবস্থা’ তৈরির কথা বলছে, তখন অন্য ব্রিকস সদস্যরা—যেমন ভারত—পশ্চিমের সঙ্গে ভালো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। আর কাজানে ভ্লাদিমির পুতিনের আসল কাজ হবে এই পার্থক্যগুলো এড়িয়ে যাওয়া এবং ঐক্যের ছবি আঁকা, পাশাপাশি রাশিয়ান জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখানো যে, তাঁর দেশ বিচ্ছিন্ন নয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকস চলতি সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার পুতিন বলেন, ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার ও সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চলতি বছর ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন রাশিয়ার কাজানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রুশ সংবাদমাধ্যম তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠককালে পুতিন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কাজানে আমাদের একগাদা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যা আমাদের সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও উন্নত করার এবং এর কাঠামোর মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গৃহীত হবে।’
রাশিয়ার কাজানে ব্রিকসের ১৬তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ৩০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। বিদেশি নেতাদের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও এতে অংশ নিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও।
পুতিনের এই প্রচেষ্টা মূলত এটি দেখানোর লক্ষ্যে যে, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা কাজ করছে না। একই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বকে এই বার্তাও দেওয়া যে, তারা যতই রাশিয়াকে একঘরে করার চেষ্টা করুক না কেন, তা ব্যর্থ হতে বাধ্য।
এ বিষয়ে ম্যাক্রো-অ্যাডভাইজরি কনসালটেন্সির সহপ্রতিষ্ঠাতা ক্রিস ওয়েফার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘বার্তাটা স্পষ্ট যে, রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেমলিন থেকে এই বার্তাই দেওয়া হচ্ছে যে, রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা নিজের মতো করেই মোকাবিলা করছে। আমরা জানি যে, এর নিচে গুরুতর একটা বিচ্যুতি আছে। কিন্তু ভূরাজনৈতিক পর্যায়ে রাশিয়ার অনেক বন্ধু রয়েছে এবং তারা সবাই রাশিয়ার সহযোগী হবে।’
ব্রিকস জোটের মাধ্যমে রাশিয়া সম্মিলিতভাবে কিছু অর্জন করতে পারবে, সে বিষয়ে সন্দিহান গোল্ডম্যান স্যাচের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জিম ও’নেইল। এর মূল কারণ, জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অনেক বড় দ্বন্দ্ব আছে। যেমন—ভারত-চীন, সৌদি আরব-ইরান, মিসর-ইথিওপিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্ব এখনো প্রবল। এ বিষয়ে তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘তারা সবাই মিলে কোনো বড় বিষয়ে একমত হবে, এই ধারণাই আসলে পাগলামি।’
রাশিয়া যেখানে পশ্চিমাবিরোধী মনোভাব দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ব্রিকসের সহায়তায় ‘নতুন বিশ্বব্যবস্থা’ তৈরির কথা বলছে, তখন অন্য ব্রিকস সদস্যরা—যেমন ভারত—পশ্চিমের সঙ্গে ভালো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। আর কাজানে ভ্লাদিমির পুতিনের আসল কাজ হবে এই পার্থক্যগুলো এড়িয়ে যাওয়া এবং ঐক্যের ছবি আঁকা, পাশাপাশি রাশিয়ান জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দেখানো যে, তাঁর দেশ বিচ্ছিন্ন নয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
৭ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
১০ ঘণ্টা আগে