Ajker Patrika

ইউক্রেনে সেনা পাঠালে ন্যাটোর সঙ্গে সংঘাতের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে সেনা পাঠালে রাশিয়া ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর মধ্যে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে। আজ মঙ্গলবার ক্রেমলিন এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ১৯৬২ সালে কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর প্রথম এ দুই পক্ষের সম্পর্কের মধ্যে এত অবনতি হয়েছে। এর আগেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাতের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ গতকাল সোমবার ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনার কথা বলেন। যদিও তিনি সতর্ক করে দেন যে, এই পর্যায়ে কোনো ঐকমত্য নেই।

সোমবার রাজধানী প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে মাখোঁ বলেন, ‘এখনো সেখানে (ইউক্রেনে) সেনা পাঠানোর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঐকমত্য হয়নি...তবে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া যেন এই যুদ্ধে না জিততে পারে, তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন আমরা করব।’

মাখোঁর এমন বক্তব্যের বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো থেকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা সম্পূর্ণ নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

ইউক্রেনে লড়াই করতে ন্যাটো সেনাদের পাঠানোর ঝুঁকির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে আমাদের সম্ভাব্যতা নিয়ে নয় বরং অনিবার্যতা (সরাসরি সংঘর্ষের) নিয়ে কথা বলতে হবে।’

পেসকভ বলেন, পাশ্চাত্যের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত, এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে তাদের দেশ ও জনগণের স্বার্থ রয়েছে কি না।

রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সংঘাতের আলোচনা উত্তেজনা বৃদ্ধির বিপদের দিকে ইঙ্গিত করছে। যেখানে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ৩২ বছর পরও পুনরুত্থিত রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করে চলেছে পশ্চিমারা।

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে যেকোনো সংঘাত তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ উসকে দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত