মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ নীতি থেকে সরে আসছে বলে গুঞ্জন চলছিল গত কয়েক মাস ধরে। বিশেষ করে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কিছু আলামতও দেখা যায়। সর্বশেষ একটি আলোচনার মাধ্যমে মস্কোর কাছে ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল হস্তান্তরের মাধ্যমে পশ্চিমা মোড়লেরা চলমান সংঘাতের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে খবর দিয়েছে পলিটিকো।
গতকাল বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বেশ কয়েকটি বেনামী অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তা—হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র এবং একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক পলিটিকোর মাইকেল হিরশকে বলেছেন, জনসম্মুখে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন উভয়ই জোর দিয়ে বলে যে নীতিতে (ইউক্রেন বিষয়ক) কোনো আনুষ্ঠানিক পরিবর্তন হয়নি।
তবে বাস্তবে আমেরিকান এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এখন ‘প্রায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ’ পাল্টা আক্রমণাত্মক কৌশল ছেড়ে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে ইউক্রেনীয় সেনাদের পুনরায় মোতায়েন নিয়ে আলোচনা করছেন।
হিরশ নিজের সূত্রের বরাতে আরও জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগে ইউক্রেনকে ‘যতদিন সময় লাগে’ বলার পরিবর্তে এখন ‘যতদিন আমরা পারি’ বলছেন। কংগ্রেসে আটকে থাকা অতিরিক্ত সাহায্য তহবিল নিয়ে মার্কিন সরকার ইউক্রেনের সামরিক শিল্পকে ‘দ্রুত পুনরুত্থানের’ জন্য চাপ দিচ্ছে।
বেনামী হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র পলিটিকোকে বলেছেন, ইউক্রেন সংকটের বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তখনই আসবে যখন পরিস্থিতি আমেরিকার অনুকূলে থাকবে। সেই পরিস্থিতির জন্য কিয়েভকে এত সহায়তা করে আসছে আমেরিকা।
পলিটিকোর মতে, বাইডেন ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্য উভয় স্থানেই যুদ্ধবিরতি চান, কারণ গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণ প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তাঁর সমর্থন ক্ষয়িষ্ণু করছে। তিনি নির্বাচনের বছরে পত্র-পত্রিকায় নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক শিরোনাম এড়াতে চান।
হিরশ উল্লেখ করেছেন, বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সম্পূর্ণ বিজয়ের লক্ষ্যে পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করার প্রায় দুই বছর পরে রাশিয়ার কাছে খত দেবেন বলেও মনে হচ্ছে না।
প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে পরিচিত এক কংগ্রেস কর্মকর্তা বলেছেন, হোয়াইট হাউস রাজনৈতিক ঝুঁকির কারণে জনসমক্ষে পিছিয়ে যেতে পারে না বলে মনে করেন বাইডেন। তাই শান্তি আলোচনা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করে, মস্কো বর্তমানে সম্মুখভাগে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে ইচ্ছুক হতে পারে। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্রেমলিন এমন ধারণাকে ‘ভুল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আবার কিয়েভ মার্কিন সংবাদপত্রটিকে রাশিয়ার পক্ষে কাজ করছে অভিযোগ তুলে নিন্দা করেছে।
হিরশের মতে, হোয়াইট হাউস এখন যা আশঙ্কা করছে তা হলো—রাশিয়া ২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের পরে আলোচনা বসতে রাজি নাও হতে পারে, কারণ তখন বসন্ত চলে আসবে এবং রুশ বাহিনী সহজেই ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে পারবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের ‘সম্পূর্ণ বিজয়’ নীতি থেকে সরে আসছে বলে গুঞ্জন চলছিল গত কয়েক মাস ধরে। বিশেষ করে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কিছু আলামতও দেখা যায়। সর্বশেষ একটি আলোচনার মাধ্যমে মস্কোর কাছে ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল হস্তান্তরের মাধ্যমে পশ্চিমা মোড়লেরা চলমান সংঘাতের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করছে বলে খবর দিয়েছে পলিটিকো।
গতকাল বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বেশ কয়েকটি বেনামী অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তা—হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র এবং একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক পলিটিকোর মাইকেল হিরশকে বলেছেন, জনসম্মুখে হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন উভয়ই জোর দিয়ে বলে যে নীতিতে (ইউক্রেন বিষয়ক) কোনো আনুষ্ঠানিক পরিবর্তন হয়নি।
তবে বাস্তবে আমেরিকান এবং ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এখন ‘প্রায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ’ পাল্টা আক্রমণাত্মক কৌশল ছেড়ে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে ইউক্রেনীয় সেনাদের পুনরায় মোতায়েন নিয়ে আলোচনা করছেন।
হিরশ নিজের সূত্রের বরাতে আরও জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগে ইউক্রেনকে ‘যতদিন সময় লাগে’ বলার পরিবর্তে এখন ‘যতদিন আমরা পারি’ বলছেন। কংগ্রেসে আটকে থাকা অতিরিক্ত সাহায্য তহবিল নিয়ে মার্কিন সরকার ইউক্রেনের সামরিক শিল্পকে ‘দ্রুত পুনরুত্থানের’ জন্য চাপ দিচ্ছে।
বেনামী হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র পলিটিকোকে বলেছেন, ইউক্রেন সংকটের বিষয়ে মস্কোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি তখনই আসবে যখন পরিস্থিতি আমেরিকার অনুকূলে থাকবে। সেই পরিস্থিতির জন্য কিয়েভকে এত সহায়তা করে আসছে আমেরিকা।
পলিটিকোর মতে, বাইডেন ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্য উভয় স্থানেই যুদ্ধবিরতি চান, কারণ গাজায় ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণ প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তাঁর সমর্থন ক্ষয়িষ্ণু করছে। তিনি নির্বাচনের বছরে পত্র-পত্রিকায় নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক শিরোনাম এড়াতে চান।
হিরশ উল্লেখ করেছেন, বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির সম্পূর্ণ বিজয়ের লক্ষ্যে পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করার প্রায় দুই বছর পরে রাশিয়ার কাছে খত দেবেন বলেও মনে হচ্ছে না।
প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে পরিচিত এক কংগ্রেস কর্মকর্তা বলেছেন, হোয়াইট হাউস রাজনৈতিক ঝুঁকির কারণে জনসমক্ষে পিছিয়ে যেতে পারে না বলে মনে করেন বাইডেন। তাই শান্তি আলোচনা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করে, মস্কো বর্তমানে সম্মুখভাগে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে ইচ্ছুক হতে পারে। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্রেমলিন এমন ধারণাকে ‘ভুল’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। আবার কিয়েভ মার্কিন সংবাদপত্রটিকে রাশিয়ার পক্ষে কাজ করছে অভিযোগ তুলে নিন্দা করেছে।
হিরশের মতে, হোয়াইট হাউস এখন যা আশঙ্কা করছে তা হলো—রাশিয়া ২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের পরে আলোচনা বসতে রাজি নাও হতে পারে, কারণ তখন বসন্ত চলে আসবে এবং রুশ বাহিনী সহজেই ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে পারবে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১২ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৫ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে