অনলাইন ডেস্ক
আফগানিস্তানে আবার জ্বালানি তেল রপ্তানি শুরু করেছে ইরান। তালেবান নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর কাবুল থেকে তেহরানের কাছে জ্বালানি তেল সরবরাহের অনুরোধ করা হয়। এতে সাড়া দিয়ে দেশটিতে জ্বালানি তেল রপ্তানি তেহরান আবার চালু করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইরানের এক কর্মকর্তা।
দশদিন হলো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে। যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের পর দুই দশকের বিরতিতে আবারও দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় গোষ্ঠীটি। এ অবস্থায় বহু মানুষ আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে পালানো শুরু করে। অনেকেই সড়কপথে গাড়ি চালিয়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছে। ভয়, ২০ বছর আগের ইসলামি আইনের আওতায় আরেকবার শাসিত হওয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে জ্বালানি তেলের টনপ্রতি দাম ৯০০ ডলারে গিয়ে পৌঁছায়। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তালেবানের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী ইরানের কাছে বাণিজ্য অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে ইরানের তেল, গ্যাস ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য রপ্তানিকারক ইউনিয়নের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও সংগঠনটির মুখপাত্র হামিদ হোসাইনি রয়টার্সকে বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়ে তালেবানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা এসেছে।’
এই বার্তা ইরানের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ইরানের চেম্বার অব কমার্সের এক সদস্যের কাছেও পাঠানো হয়েছে, যার ইরানের সরকারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইরানের কাস্টমস প্রশাসন (আইআরআইসিএ) আফগানিস্তানে জ্বালানি তেল রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে গত ৬ আগস্ট এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু তালেবানের আচরণে আশ্বস্ত হয়ে এখন এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হামিদ হোসাইনি।
এ জন্য ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে একটি সরকারি নথিও পাঠানো হয়েছে ইরানের কাছে। নথিটি রয়টার্সকে দেখিয়ে হামিদ বলেন, ইরানসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে শুল্ক কমানোর পদক্ষেপও নিয়েছে তালেবান। নথি অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে জ্বালানি তেল, এলপিজি ইত্যাদি আমদানিতে শুল্কহার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
ইরান বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ তেলসমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির জ্বালানি তেল রপ্তানি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই পরিস্থিতিতে অনেকটা রাখঢাক করে জ্বালানি তেল রপ্তানি করে ইরান। রপ্তানি গন্তব্যের মধ্যে আফগানিস্তান আগে থেকেই ছিল। কিন্তু এত দিন এটি প্রকাশ্যে ছিল না। এবার মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে জ্বালানি তেল রপ্তানির সুযোগ এল। আর তালেবানের প্রকাশ্য আচরণের কারণে বিষয়টি তাদের জন্য আরও সহজ হয়ে গেল।
ইরানের তেল-গ্যাস বিষয়ক গবেষণা সংস্থা পেট্রোভিউয়ের তথ্য উল্লেখ করে রয়টার্স জানায়, ইরান আফগানিস্তানে গত বছরের মে মাস থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মোট ৪ লাখ টন জ্বালানি তেল রপ্তানি করেছে। আফগানিস্তানের জন্য ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত গত কয়েক বছরে এই খাতে দেশটি ইরানের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ইরান থেকে ৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার মূল্যমানের জ্বালানি তেল আমদানি করেছে আফগানিস্তান। দেশটি তুর্কমিনিস্তান ও উজবেকিস্তান থেকেও জ্বালানি তেল আমদানি করে। তবে আমদানি উৎস হিসেবে ইরানই শীর্ষে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, আফগানিস্তান ইরান থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টন বা ২০ হাজার ব্যারেলের বেশি জ্বালানি আমদানি করে। এটি সামনে আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হামিদ হোসাইনি বলেন, ইরান সরকার তালেবান সরকারের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে বলে আমার মনে হয়। ইরান চাইলে খুব সহজেই আফগানিস্তানের সঙ্গে তার বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে পারে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আশরাফ গনি সরকার ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের রাশ টেনে ধরতে চেয়েছিলেন। এই পরিস্থিতির বদল হতে পারে।’
আফগানিস্তানে আবার জ্বালানি তেল রপ্তানি শুরু করেছে ইরান। তালেবান নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর কাবুল থেকে তেহরানের কাছে জ্বালানি তেল সরবরাহের অনুরোধ করা হয়। এতে সাড়া দিয়ে দেশটিতে জ্বালানি তেল রপ্তানি তেহরান আবার চালু করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ইরানের এক কর্মকর্তা।
দশদিন হলো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে। যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের পর দুই দশকের বিরতিতে আবারও দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় গোষ্ঠীটি। এ অবস্থায় বহু মানুষ আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে পালানো শুরু করে। অনেকেই সড়কপথে গাড়ি চালিয়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছে। ভয়, ২০ বছর আগের ইসলামি আইনের আওতায় আরেকবার শাসিত হওয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে জ্বালানি তেলের টনপ্রতি দাম ৯০০ ডলারে গিয়ে পৌঁছায়। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তালেবানের পক্ষ থেকে প্রতিবেশী ইরানের কাছে বাণিজ্য অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে ইরানের তেল, গ্যাস ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য রপ্তানিকারক ইউনিয়নের পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও সংগঠনটির মুখপাত্র হামিদ হোসাইনি রয়টার্সকে বলেন, ‘জ্বালানি তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়ে তালেবানের পক্ষ থেকে একটি বার্তা এসেছে।’
এই বার্তা ইরানের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ইরানের চেম্বার অব কমার্সের এক সদস্যের কাছেও পাঠানো হয়েছে, যার ইরানের সরকারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে ইরানের কাস্টমস প্রশাসন (আইআরআইসিএ) আফগানিস্তানে জ্বালানি তেল রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠার প্রেক্ষাপটে গত ৬ আগস্ট এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু তালেবানের আচরণে আশ্বস্ত হয়ে এখন এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হামিদ হোসাইনি।
এ জন্য ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে একটি সরকারি নথিও পাঠানো হয়েছে ইরানের কাছে। নথিটি রয়টার্সকে দেখিয়ে হামিদ বলেন, ইরানসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে জ্বালানি তেল আমদানিতে শুল্ক কমানোর পদক্ষেপও নিয়েছে তালেবান। নথি অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে জ্বালানি তেল, এলপিজি ইত্যাদি আমদানিতে শুল্কহার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
ইরান বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ তেলসমৃদ্ধ দেশ। কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির জ্বালানি তেল রপ্তানি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই পরিস্থিতিতে অনেকটা রাখঢাক করে জ্বালানি তেল রপ্তানি করে ইরান। রপ্তানি গন্তব্যের মধ্যে আফগানিস্তান আগে থেকেই ছিল। কিন্তু এত দিন এটি প্রকাশ্যে ছিল না। এবার মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যে জ্বালানি তেল রপ্তানির সুযোগ এল। আর তালেবানের প্রকাশ্য আচরণের কারণে বিষয়টি তাদের জন্য আরও সহজ হয়ে গেল।
ইরানের তেল-গ্যাস বিষয়ক গবেষণা সংস্থা পেট্রোভিউয়ের তথ্য উল্লেখ করে রয়টার্স জানায়, ইরান আফগানিস্তানে গত বছরের মে মাস থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মোট ৪ লাখ টন জ্বালানি তেল রপ্তানি করেছে। আফগানিস্তানের জন্য ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত গত কয়েক বছরে এই খাতে দেশটি ইরানের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। গত বছরের মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ইরান থেকে ৩৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার মূল্যমানের জ্বালানি তেল আমদানি করেছে আফগানিস্তান। দেশটি তুর্কমিনিস্তান ও উজবেকিস্তান থেকেও জ্বালানি তেল আমদানি করে। তবে আমদানি উৎস হিসেবে ইরানই শীর্ষে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, আফগানিস্তান ইরান থেকে প্রতি বছর ১০ লাখ টন বা ২০ হাজার ব্যারেলের বেশি জ্বালানি আমদানি করে। এটি সামনে আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হামিদ হোসাইনি বলেন, ইরান সরকার তালেবান সরকারের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে বলে আমার মনে হয়। ইরান চাইলে খুব সহজেই আফগানিস্তানের সঙ্গে তার বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে পারে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আশরাফ গনি সরকার ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের রাশ টেনে ধরতে চেয়েছিলেন। এই পরিস্থিতির বদল হতে পারে।’
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরীতে হামলা চালিয়েছে হুতি বিদ্রোহীরা। এক সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, যুদ্ধজাহাজটিকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন।
২ ঘণ্টা আগেভারতের অনেক দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যাবহুল দেশ, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভৌগোলিক আয়তন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূকৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও, ভারত এখনো তুলনামূলকভাবে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন একটি আদালত কয়েক ঘণ্টা আগেই জোর করে অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এর পরেও ২০০-এর বেশি ভেনেজুয়েলান নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
১৩ ঘণ্টা আগেভ্রমণ মানেই আনন্দ। তবে বিমানবন্দরে যাতায়াতের ঝামেলা অনেকের জন্যই বেশ ক্লান্তিকর হয়ে ওঠে। বিশেষ করে, ফ্লাইটের সময় যদি খুব ভোরে হয়, তাহলে যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হলে মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়, দীর্ঘ চেক-ইন এবং নিরাপত্তা পরীক্ষার ধাপ পেরোতে হয়।
১৪ ঘণ্টা আগে