ট্রাম্পের মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে আগ্রহী আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। তবে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০২১ সালে আফগান সেনাদের কাছে হস্তান্তর করা মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম ফেরত দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো যেসব সামরিক সরঞ্জাম ও যানবাহন রেখে গেছে, সেগুলো এখন তাদের সম্পত্তি। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধের অধ্যায় বন্ধ করতে চাই এবং সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই।’
সামরিক সরঞ্জাম ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটির এই মুখপাত্র বলেন, ‘এগুলো আফগানিস্তান রাষ্ট্রের সম্পদ। এগুলো আফগানিস্তান রাষ্ট্রের দখলেই থাকবে।’
পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে ন্যাটো-সমর্থিত সরকার পতনের আগে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৭২০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়েছিল। এতে বিমান, হামভি, যুদ্ধট্যাংক, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ক্যামোফ্লেজ ইউনিফর্ম, যোগাযোগ সরঞ্জামসহ আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে বিগত চার বছরে এসবের অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে বা তালেবান যোদ্ধারা ব্যবহার করে ফেলেছে।
বালখি বলেন, ‘এই সম্পদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে কোনো চুক্তি ছিল না। মানুষ তাদের রাষ্ট্রের সম্পদের বিষয়ে চুক্তি করে না। তারা পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্র ও সুযোগ খুঁজে বের করার জন্য চুক্তি করে।’
গত মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগের দিন ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে এক জনসমাবেশে প্রতিশ্রুতি দেন, আফগানিস্তানে ফেলে আসা কোটি কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পুনরুদ্ধার করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
যদিও ২০২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনই ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য তালেবানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল। তবে এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনা নিয়ে জো বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান এই নেতা। তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট আমাদের সামরিক সরঞ্জামের একটি বিশাল অংশ শত্রুর হাতে দিয়ে দিয়েছেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি আমরা প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার খরচ করতে থাকি, তাহলে তাদের জানিয়ে দেওয়া উচিত যে যতক্ষণ না তারা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম ফেরত দেবে, ততক্ষণ আমরা তাদের অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখব।
তিনি আরও বলেন, ‘তাই, আমরা তাদের সামান্য কিছু টাকা দেব, কিন্তু আমরা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম ফেরত চাই।’
তালেবান সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মার্কিন সেনাদের ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্জামের ঝলক দেখা যায়। গত আগস্টে তালেবানদের ক্ষমতার তিন বছর পূর্তিতে বাগরাম বিমানঘাঁটিতে আয়োজিত এক বিশাল কুচকাওয়াজে এই সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়।
কাবুল, কান্দাহার, হেরাত, খোস্ত ও গজনির বিভিন্ন ছবি বিশ্লেষণ করে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল পতনের আগে আফগান জাতীয় প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের কাছে হামভিসহ অন্যান্য সামরিক ও ভারী যানবাহন— যেমন রেঞ্জার ও সেনা ট্রাক হস্তান্তর করেছিল।
এই হামভিগুলোর বেশির ভাগই আফগানিস্তানের দুই প্রধান শক্তিকেন্দ্র কাবুল ও কান্দাহারে দেখা গেছে। কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পেছনে অনেকগুলো হামভি ফেলে রাখা হয়েছে। কান্দাহারে বেশ কয়েকটি হামভি এখন পরিত্যক্ত মার্কিন সামরিক বিমানঘাঁটি স্পিন বোলদাক সড়কের কাছে পড়ে রয়েছে।
ট্রাম্পের মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে আগ্রহী আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। তবে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০২১ সালে আফগান সেনাদের কাছে হস্তান্তর করা মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম ফেরত দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো যেসব সামরিক সরঞ্জাম ও যানবাহন রেখে গেছে, সেগুলো এখন তাদের সম্পত্তি। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কাহার বালখি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধের অধ্যায় বন্ধ করতে চাই এবং সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে চাই।’
সামরিক সরঞ্জাম ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীটির এই মুখপাত্র বলেন, ‘এগুলো আফগানিস্তান রাষ্ট্রের সম্পদ। এগুলো আফগানিস্তান রাষ্ট্রের দখলেই থাকবে।’
পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে ন্যাটো-সমর্থিত সরকার পতনের আগে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ৭২০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়েছিল। এতে বিমান, হামভি, যুদ্ধট্যাংক, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, ক্যামোফ্লেজ ইউনিফর্ম, যোগাযোগ সরঞ্জামসহ আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে বিগত চার বছরে এসবের অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে বা তালেবান যোদ্ধারা ব্যবহার করে ফেলেছে।
বালখি বলেন, ‘এই সম্পদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে কোনো চুক্তি ছিল না। মানুষ তাদের রাষ্ট্রের সম্পদের বিষয়ে চুক্তি করে না। তারা পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্র ও সুযোগ খুঁজে বের করার জন্য চুক্তি করে।’
গত মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগের দিন ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটনে এক জনসমাবেশে প্রতিশ্রুতি দেন, আফগানিস্তানে ফেলে আসা কোটি কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম পুনরুদ্ধার করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
যদিও ২০২১ সালে ট্রাম্প প্রশাসনই ন্যাটো বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য তালেবানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিল। তবে এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনা নিয়ে জো বাইডেনের তীব্র সমালোচনা করেছেন রিপাবলিকান এই নেতা। তিনি বলেন, ‘ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট আমাদের সামরিক সরঞ্জামের একটি বিশাল অংশ শত্রুর হাতে দিয়ে দিয়েছেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যদি আমরা প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার খরচ করতে থাকি, তাহলে তাদের জানিয়ে দেওয়া উচিত যে যতক্ষণ না তারা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম ফেরত দেবে, ততক্ষণ আমরা তাদের অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখব।
তিনি আরও বলেন, ‘তাই, আমরা তাদের সামান্য কিছু টাকা দেব, কিন্তু আমরা আমাদের সামরিক সরঞ্জাম ফেরত চাই।’
তালেবান সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মার্কিন সেনাদের ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্জামের ঝলক দেখা যায়। গত আগস্টে তালেবানদের ক্ষমতার তিন বছর পূর্তিতে বাগরাম বিমানঘাঁটিতে আয়োজিত এক বিশাল কুচকাওয়াজে এই সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়।
কাবুল, কান্দাহার, হেরাত, খোস্ত ও গজনির বিভিন্ন ছবি বিশ্লেষণ করে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী ২০২১ সালের আগস্টে কাবুল পতনের আগে আফগান জাতীয় প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের কাছে হামভিসহ অন্যান্য সামরিক ও ভারী যানবাহন— যেমন রেঞ্জার ও সেনা ট্রাক হস্তান্তর করেছিল।
এই হামভিগুলোর বেশির ভাগই আফগানিস্তানের দুই প্রধান শক্তিকেন্দ্র কাবুল ও কান্দাহারে দেখা গেছে। কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পেছনে অনেকগুলো হামভি ফেলে রাখা হয়েছে। কান্দাহারে বেশ কয়েকটি হামভি এখন পরিত্যক্ত মার্কিন সামরিক বিমানঘাঁটি স্পিন বোলদাক সড়কের কাছে পড়ে রয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২০ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আজ সোমবার দুপুর ১টার কিছু পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্কুলের একটি ভবনের ওপর...
১০ মিনিট আগেব্রিটেনে ভুয়া নথির মাধ্যমে পাকিস্তানি অভিবাসীদের প্রবেশের একটি চাঞ্চল্যকর চিত্র উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের অনুসন্ধানে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের কাশ্মীর অঞ্চলে অবস্থিত ‘মিরপুর ভিসা কনসালট্যান্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে ভিসার জন্য জাল কাগজপত্র সরবরাহ করছে, যা
১ ঘণ্টা আগেঢাকার উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আজ সোমবার (২১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এই শোকবার্তা প্রকাশ করেন।
৪ ঘণ্টা আগেমোদি তাঁর শোকবার্তায় বলেন, ‘ঢাকায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় বহু মানুষের, বিশেষ করে, শিক্ষার্থীদের প্রাণহানিতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের হৃদয় শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থন ও
৪ ঘণ্টা আগে