প্রফেসর ডা. এ কে এম মূসা
সময়মতো উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় এবং চিকিৎসা না হলে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এ রোগে ভুগলেও তাঁরা তা বুঝতে পারেন না। বিশ্বব্যাপী প্রতি তিনজনে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। কিন্তু কোনো লক্ষণ থাকে না এ রোগের।
ধারাবাহিকভাবে রক্তচাপ যদি ১৪০ ও ৯০ মিলিমিটার পারদের বেশি থাকে, তখন তাকে হাই ব্লাডপ্রেশার বলে ধরে নেওয়া হয়।
কেন হয় উচ্চ রক্তচাপ
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা
রক্তচাপের বিপরীতে হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করতে থাকলে তার দেয়ালগুলো অস্বাভাবিকভাবে পুরু হয়ে নিজস্ব রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। করোনারি রক্তনালিতে ব্লক দেখা দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। হার্টের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে হার্ট ফেইলিউর হয়। শরীর ফুলে যায়, বুকে পানি জমে, চলাফেরার সময় শ্বাসকষ্ট হয় এবং ঘুমানোর সময় কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়।
কিডনির সমস্যা
অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যকারিতা কমে যাবে। কিডনি ফেইলিউর হলে ডায়ালাইসিস করতে হবে। ব্যয়বহুল চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি বদল করতে হবে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন বাধাগ্রস্ত হবে।
সাধারণত ১৩০/৮০ আদর্শ রক্তচাপ। কিডনি বা হার্টের রোগের ক্ষেত্রে ১২০/৭৫ আদর্শ রক্তচাপ। প্রেশার চেক করুন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিন। জীবনযাপনে পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম এবং চিকিৎসক নির্ধারিত ওষুধ সেবন করলে ভালো থাকবেন।
মস্তিষ্কে সমস্যা
অতিরিক্ত রক্তচাপ পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা স্ট্রোকে ঝুঁকি বাড়ায়। মস্তিষ্কের রক্তনালি ব্লক কিংবা রক্তক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক হলে মৃত্যু অথবা চিরস্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে।
চোখের সমস্যা
রেটিনায় রক্তনালি পরিবর্তিত হয়ে রেটিনোপ্যাথি হলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে কিংবা অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
প্রান্তিক রক্তনালিতে সমস্যা
প্রান্তিক রক্তনালি চিকন হওয়ার কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে পায়ে গ্যাংগ্রিন তৈরি হতে পারে।
মহাধমনিতে সমস্যা
বুক ও পেটের মহাধমনি অত্যধিক প্রসারিত হয়ে এনিউরিজম হতে পারে। এ কারণে মহাধমনি ফেটে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
করণীয়
চিকিৎসকের চেম্বার এবং বাসায় পরপর কয়েক দিন রক্তচাপ মেপে যদি ১৪০/৯০-এর বেশি পাওয়া যায় তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ইউরিন আর/ই, সেরাম ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, সুগার প্রোফাইল টেস্ট করতে হবে।
ফলোআপ
বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হলে ৩ থেকে ৬ মাস পরপর ব্লাড সুগার, সেরাম ক্রিয়েটিনিন, লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করুন এবং প্রয়োজনে ইসিজি পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
উচ্চ রক্তচাপে যা করতে হবে
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, শাহবাগ, চেম্বার: আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০, ঢাকা
হটলাইন: ১০৬৭২
সময়মতো উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় এবং চিকিৎসা না হলে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এ রোগে ভুগলেও তাঁরা তা বুঝতে পারেন না। বিশ্বব্যাপী প্রতি তিনজনে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন। কিন্তু কোনো লক্ষণ থাকে না এ রোগের।
ধারাবাহিকভাবে রক্তচাপ যদি ১৪০ ও ৯০ মিলিমিটার পারদের বেশি থাকে, তখন তাকে হাই ব্লাডপ্রেশার বলে ধরে নেওয়া হয়।
কেন হয় উচ্চ রক্তচাপ
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা
রক্তচাপের বিপরীতে হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প করতে থাকলে তার দেয়ালগুলো অস্বাভাবিকভাবে পুরু হয়ে নিজস্ব রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত করে। করোনারি রক্তনালিতে ব্লক দেখা দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। হার্টের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে হার্ট ফেইলিউর হয়। শরীর ফুলে যায়, বুকে পানি জমে, চলাফেরার সময় শ্বাসকষ্ট হয় এবং ঘুমানোর সময় কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়।
কিডনির সমস্যা
অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপে ধীরে ধীরে কিডনির কার্যকারিতা কমে যাবে। কিডনি ফেইলিউর হলে ডায়ালাইসিস করতে হবে। ব্যয়বহুল চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি বদল করতে হবে এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন বাধাগ্রস্ত হবে।
সাধারণত ১৩০/৮০ আদর্শ রক্তচাপ। কিডনি বা হার্টের রোগের ক্ষেত্রে ১২০/৭৫ আদর্শ রক্তচাপ। প্রেশার চেক করুন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিন। জীবনযাপনে পরিবর্তন, নিয়মিত ব্যায়াম এবং চিকিৎসক নির্ধারিত ওষুধ সেবন করলে ভালো থাকবেন।
মস্তিষ্কে সমস্যা
অতিরিক্ত রক্তচাপ পক্ষাঘাতগ্রস্ত বা স্ট্রোকে ঝুঁকি বাড়ায়। মস্তিষ্কের রক্তনালি ব্লক কিংবা রক্তক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক হলে মৃত্যু অথবা চিরস্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করতে হবে।
চোখের সমস্যা
রেটিনায় রক্তনালি পরিবর্তিত হয়ে রেটিনোপ্যাথি হলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাবে কিংবা অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।
প্রান্তিক রক্তনালিতে সমস্যা
প্রান্তিক রক্তনালি চিকন হওয়ার কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে পায়ে গ্যাংগ্রিন তৈরি হতে পারে।
মহাধমনিতে সমস্যা
বুক ও পেটের মহাধমনি অত্যধিক প্রসারিত হয়ে এনিউরিজম হতে পারে। এ কারণে মহাধমনি ফেটে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।
করণীয়
চিকিৎসকের চেম্বার এবং বাসায় পরপর কয়েক দিন রক্তচাপ মেপে যদি ১৪০/৯০-এর বেশি পাওয়া যায় তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ইউরিন আর/ই, সেরাম ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, সুগার প্রোফাইল টেস্ট করতে হবে।
ফলোআপ
বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হলে ৩ থেকে ৬ মাস পরপর ব্লাড সুগার, সেরাম ক্রিয়েটিনিন, লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করুন এবং প্রয়োজনে ইসিজি পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
উচ্চ রক্তচাপে যা করতে হবে
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ, শাহবাগ, চেম্বার: আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০, ঢাকা
হটলাইন: ১০৬৭২
দুই মাস বয়সী ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মহাখালীতে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের এক ব্যক্তি। জলবসন্তে (চিকেনপক্স) আক্রান্ত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান ৯ এপ্রিল। সংক্রামক এ রোগ শিশুটির শরীরে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করেছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেক্যাম্পিউটেড টোমোগ্রাফি। এই খটমটে নামে না চিনলেও ‘সিটি স্ক্যান’ বললে সহজে চিনে ফেলি আমরা। চিকিৎসাক্ষেত্রে রোগ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এটি। অনেক সময় জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে এটি। সাধারণত রোগনির্ণয়ে বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হলে কতটা ক্ষতি হয়েছে...
২ দিন আগেখুবই কমদামি দুটি ওষুধের সমন্বিত ব্যবহার প্রতিরোধ করতে পারে হাজার হাজার স্ট্রোক ও হৃদ্রোগ। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ব্রিটিশ ও সুইডিশ একদল গবেষক। তাঁরা বলেছেন, দুটি সস্তা ওষুধ একসঙ্গে ব্যবহার করলে হাজার হাজার হৃদ্রোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধ করা যেতে পারে এবং বহু মানুষের জীবন...
২ দিন আগেপেটের ফ্লু, যাকে ভাইরাল গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসও বলা হয়, এটি পেটের এক ধরনের সংক্রমণ। এই সমস্যায় বমি ভাব, ডায়রিয়া, পেটব্যথা এবং ক্র্যাম্পের (পেটে মোচড় দেওয়া) মতো লক্ষণ দেখা যায়। এটি সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সাধারণত বেশির ভাগ পেটের ফ্লু–এর জন্য দায়ী নরোভাইরাস।
২ দিন আগে