Ajker Patrika

অসুস্থ গরু জবাই নেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বদরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১৪: ৫৩
Thumbnail image

বদরগঞ্জ পৌর শহরে কসাইরা পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না বলে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন। তাঁদের দাবি, প্রায়ই অসুস্থ গরু কম দামে কিনে এনে জবাই করে মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পশু জবাইয়ের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের মেলার মাঠে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। সেখানে পশু চিকিৎসকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মৌলভি দিয়ে গরু জবাই করে নেওয়ার কথা কসাইদের। শহরে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয়টি গরু জবাই করা হলেও মেলার মাঠে শুধু হাটের দিন সোম ও বৃহস্পতিবার দু-একটি গরু জবাই হয়। পশু চিকিৎসকের অভাবে এসব গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয় না। আর বাকি গরু কসাইরা যত্রতত্র জবাই করে শহরে এনে মাংস বিক্রি করেন।

বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরে ৩০ থেকে ৪০ জন কসাই রয়েছেন। তাঁরা কয়েকজনে মিলে একটি গরু জবাই করেন। এসব কসাই বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন হাট থেকে অসুস্থ গরু কম দামে কিনে বেশি দরে মাংস বিক্রি করেন।

সর্বশেষ গত রোববার শহরের কলেজ ঘুমটি এলাকার হবিবার রহমান ওরফে হবি কসাইয়ের বিরুদ্ধে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠে। তিনি রংপুর সদরের লাহেরীর হাট এলাকা থেকে গরুটি কিনে আনেন। শাহাপুর গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, গরুটি কম দরে কিনে আনেন কসাই হবি। এরপর তিনি পৌর শহরে মাংস খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার হবি কসাই বলেন, ‘গরু একটু অসুস্থ ছিল ঠিক, কিন্তু আধামরা নয়। কিছু লোক আমার পেছনে লেগেছে। তাদের দেখে নেব।’

এর আগে ১৮ এপ্রিল অসুস্থ গরু কিনে শহরে মাংস বিক্রি করছিলেন কসাই কালাম মিয়া। তখন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল ও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন। এ সময় মাংস রেখে পালিয়ে যান কালাম মিয়া।

সাবেক পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক বলেন, ‘কসাইরা গরু জবাইয়ে কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না। কে কোথা থেকে কীভাবে গরু জবাই করে মাংস ভ্যানে নিয়ে এসে পৌর শহরে বিক্রি করছেন তার কোনো ঠিক নেই। এ কারণে গরুর মাংস কেনা অনেকটাই ছেড়ে দিয়েছি।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, ‘নির্দিষ্ট স্থানে গরু জবাই হচ্ছে কি না সেটি দেখার দায়িত্ব পৌর মেয়র ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের। তাঁরা কী করছেন জানি না। তবে গরু জবাইয়ের আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের খবর দেওয়া হয় না।’

অসুস্থ গরু কেউ জবাই করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম।

অন্যদিকে বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক বলেন, ‘যারা অসুস্থ গরু জবাই করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম বলেন, ‘অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। পেলে বিষয়টি দেখা হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই গরু জবাই করার বিষয়টি এই প্রথম শুনলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত