Ajker Patrika

রাস্তার পাশে সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

জাহাঙ্গীর হোসেন, নকলা (শেরপুর)
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ০১
রাস্তার পাশে সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক

শেরপুরের নকলায় রাস্তার পাশে পতিত জমিতে শাকসবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। পরিবারের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের আশায় তারা সবজি চাষ করেন। এতে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান, ঘুচছে বেকারত্ব।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে শাকসবজির উৎপাদন বাড়ানো খুবই জরুরি। বাড়ির পাশের এক টুকরা জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সে জন্য আমরা কৃষাণ-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার গনপদ্দী, নকলা, উরফা, গৌড়দ্বার, বানেশ্বর্দী, পাঠাকাটা, টালকী, চরঅষ্টধর ও চন্দ্রকোনা ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার প্রায় সব কাঁচাপাকা রাস্তার পাশে শীতকালীন শাকসবজির চাষ হয়েছে। বিশেষ করে নাকুগাঁও স্থল বন্দরের রাস্তা, নকলা থেকে কলাপাড়া, শিববাড়ী ও শেরপুর, নারায়নখোলা থেকে চন্দ্রকোনা, গনপদ্দী থেকে ভুরদী ছাল্লাকুড়া এসব পাকা সড়কের পাশে পতিত জমিতে শিম, বেগুন, করল্লা, চিচিঙা পুঁইশাক, টমেটো ও লাউসহ বিভিন্ন জাতের প্রচুর মৌসুমি শাকসবজির চাষ হয়েছে। তা ছাড়া গ্রামীণ কাঁচাপাকা রাস্তার দুইপাশের পতিত জমিতেও শাকসবজি চাষের কোনো কমতি নেই।

রাস্তার পাশের পতিত জমি ঢালু হওয়ার কারণে এখানে পানি জমে থাকে না। তাই এসব জমি সারাবছরই শাকসবজি চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। সামান্য পরিচর্যাতেই এখান থেকে প্রচুর শাকসবজি উৎপাদন করা যায়।

যা দিয়ে একটি পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি শাকসবজি বাজারে বিক্রি করে কৃষকের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা হচ্ছে।

বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের বানেশ্বর্দী গ্রামের শামীম আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন, ভুরদী ছাল্লাতুলা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও কলেজ শিক্ষার্থী তমিজ উদ্দিন, পোলাদেশী গ্রামের করিম মিয়া, বানেশ্বর্দী খন্দকার পাড়া গ্রামের মোকলেছুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, কামাল মিয়া, কমল মিয়া ও বেলাল হোসেন, পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঠাকাটা গ্রামের সেলিম রেজা ও মিলন শেক, চরঅষ্টধর ইউনিয়নের সামছুল হক, চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের হেলেনা বেগম, গনপদ্দী ইউনিয়নের গণপদ্দী গ্রামের ছাইদুল ইসলাম, টালকী ইউনিয়নের টালকী গ্রামের আসলাম উদ্দিন ও আক্তার আলী, পৌরসভার লাভা মহল্লার রিপন মিয়া, জালালপুর মহল্লার আলাল মিয়া ও শামীম হোসেনসহ অনেকেই রাস্তার পাশে পতিত জমিতে শীতকালীন শাকসবজির চাষ করেছেন।

বর্তমানে এসব শাকসবজি বাজারে বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন। এতে খুব কম খরচে নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও প্রতিটি পরিবারের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে বাড়তি আয় হবে।

বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের ভুরদী খন্দকারপাড়া এলাকার কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. ছাইয়েদুল হক জানান, আমরা রাস্তার পাশে পতিত জমিতে লাউ, ঝিঙা, শিম, টমেটো, করল্যা, পুঁইশাক, চিচিঙা ও বেগুনসহ নানাধরণের শীতকালীন শাকসবজির চাষ করেছি। এতে এলাকার কৃষকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বে এ কাজে কৃষকের সংখ্যা কম থাকলেও স্বল্প খরচে ভাল মুনাফার কারণে এখন তা অনেক বেড়েছে।

নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে শাকসবজির উৎপাদন বাড়ানো খুবই জরুরি। বাড়ির পাশের এক টুকরা জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সে জন্য আমরা কৃষাণ-কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে শাকসবজির বীজ। নকলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচাপাকা রাস্তার পাশে পতিত জমিতে কৃষক শাকসবজির চাষ করে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি শাকসবজি বাজারে বিক্রি করে ভালো একটা আয়ের ব্যবস্থা করছে বিষয়টি কৃষির জন্য খুবই ইতিবাচক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত