Ajker Patrika

তিতা উচ্ছে চাষে মধুর হাসি

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৩২
তিতা উচ্ছে চাষে মধুর হাসি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উচ্ছে চাষ। উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ বেশি লাভ হওয়ায় খুশি উপজেলার চাষিরা। আর এ কারণেই নতুন করে বিভিন্নজন উচ্ছে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে চাষিরা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের বাষ্টিয়া, পুখরিয়া, ভালকুটিয়া, চৌবাড়িয়া, আংগার পাড়া, চঙ্গ শিমুলিয়া, ঘিওর সদর, সিংজুরি, বড়টিয়া এলাকার ব্যাপক উচ্ছে চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এই এলাকার উচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাসস্ট্যান্ড কাঁচামাল আড়ত, আশুলিয়ার বাইপাইল ও রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রপ্তানি যোগ্য সবজি উৎপাদন বিশেষ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২১০ হেক্টর জমিতে চলতি মৌসুমে সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে। এ সবজির অন্যতম উচ্ছে।

বাষ্টিয়া গ্রামের কৃষক সামছুল হক বলেন, ‘এবার আমি ৫ বিঘা জমিতে উচ্ছে চাষ করেছি। চাষ করতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ১০-১২ বার উচ্ছে তোলা হয়েছে। পাইকারি আড়তে ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি করেছি ২ লাখেরও বেশি। আরও লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।’

একই এলাকার ফরমান আলী উচ্ছে চাষ করেছেন। তিনি বলেন, উচ্ছের ফলন ভালো হয়েছে। এই সময়ে অন্য ফসলের চেয়ে দ্বিগুণ মুনাফা আসে উচ্ছে থেকে।

আংগারপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমি ৪ বিঘা জমিতে উচ্ছে চাষ করেছি। পাইকাররা মাঠ থেকেই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছেন। ৪ বিঘা জমিতে উচ্ছে চাসে আমার খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকার উচ্ছে বিক্রি করেছি।’

ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের মাঠকর্মীরা উচ্ছে চাষে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছে। ঘিওর উপজেলার মধ্যে বালিয়াখোড়া ইউনিয়নে বেশি উচ্ছে চাষে করেছেন চাষিরা । এ সবজি উৎপাদনে চাষিরা বেশ আগ্রহী হচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত