Ajker Patrika

হজ ও ওমরাহর ফজিলত

ইজাজুল হক, ঢাকা
আপডেট : ০৪ জুন ২০২২, ১৬: ৩০
হজ ও ওমরাহর ফজিলত

হজ ও ওমরাহ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ দুটি ইবাদত। সামর্থ্যবান ব্যক্তিরাই কেবল এই মহান ফজিলত অর্জনের সুযোগ পান। কারণ পবিত্র মক্কা নগরীতে উপস্থিত হওয়ার সৌভাগ্য পৃথিবীর সব মুসলমানের হয় না। তাই হজ ও ওমরাহর গুরুত্ব অনুধাবন করে একনিষ্ঠ হয়ে তা পালন করা আমাদের কর্তব্য। মহানবী (সা.) হজ ও ওমরাহর অসংখ্য ফজিলতের কথা বর্ণনা করেছেন।

নিচে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করা হলো—

এক. ‘হজে মাবরুর তথা যথাযথভাবে পালিত হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ (বুখারি)

দুই. ‘যে ব্যক্তি শরিয়তবিরোধী কাজ, যৌনতা বিষয়ক কথা ও কাজ থেকে বিরত থেকে হজ আদায় করে, সে তার মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়ার দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে।’ (বুখারি)

তিন. ‘আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিন এতসংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, যা অন্য কোনো দিন দেন না। এই দিনে আল্লাহ তাআলা কাছে আসেন এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থানরত হাজিদের নিয়ে ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করে বলেন—ওরা কী চায়?।’ (মুসলিম)

 চার. ‘এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহর মধ্যবর্তী সময়ে যে গুনাহ হবে, তা তার জন্য কাফফারাস্বরূপ।’ (বুখারি)

পাঁচ. ‘কারও ইসলাম গ্রহণ তার অতীতের সব গুনাহ মুছে দেয়, হিজরত তার অতীতের সব গুনাহ মুছে দেয় এবং হজ তার অতীতের সব গুনাহ মুছে দেয়।’ (মুসলিম)

এবারের হজযাত্রা সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন

ছয়. ‘তোমরা পরপর হজ ও ওমরাহ আদায় করো। কেননা তা দারিদ্র্য ও পাপকে সরিয়ে দেয়—যেমন সরিয়ে দেয় কামারের হাঁপর লোহা, সোনা ও রুপার ময়লাকে। আর মাবরুর হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছু নয়।’ (নাসায়ি)

এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত