Ajker Patrika

চলে অকটেনে, তবুও বাড়তি ভাড়া আদায়

সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ২৫
Thumbnail image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা-গুপ্তছড়া ফেরিঘাট। প্রতিদিন এ ঘাট থেকে দেড় লাখ টাকা আয় করেন ইজারাদার। ঘাটের সব স্পিডবোট চলে অকটেনে। তবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়িয়েছেন ইজারাদার।

যাত্রীরা বলেন, আগে জনপ্রতি ২৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। এখন নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। এ ছাড়া মালপত্রের জন্য নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। তাঁদের অভিযোগ, ঘাটে আসা লোকজনকে জিম্মি করে ইজারাদার স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয় জানে না চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

সূত্র জানায়, কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-ঘাটে প্রতিদিন সন্দ্বীপের তিন থেকে চার হাজার যাত্রী পারাপার হন। এর মধ্যে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার যাত্রী স্পিডবোটে যাতায়াত করেন।

ঘাটের কর্মী ও স্পিডবোট চালকেরা বলেন, ২০ জন যাত্রী নিয়ে বড় স্পিডবোট একবার কুমিরা থেকে গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছাতে প্রায় ২০ লিটার অকটেন লাগে। এতে জ্বালানি খরচ পড়ে ১ হাজার ৮০০ টাকা। জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে ভাড়া নিলে একটি স্পিডবোট থেকে আসে পাঁচ হাজার টাকা। জ্বালানি খরচ বাদ দিয়ে একটি বোট একবার কুমিরা থেকে গুপ্তছড়া ঘাটে গেলে ৩ হাজার ২০০ টাকা ইজারাদারের পকেটে যায়।

ঘাটের কর্মী ও স্পিডবোট চালকেরা আরও বলেন, প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০টি বোট যাত্রী পারাপার করে। সব খরচ বাদ দিয়ে শুধু স্পিডবোট থেকেই প্রতিদিন প্রায় দেড় লাখ টাকা ইজারাদারের আয় হয়।

গত বৃহস্পতিবার ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সন্দ্বীপ প্রেসক্লাবে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঘাট ইজারাদার আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, জ্বালানি তেল ও স্পিডবোটের যন্ত্রাংশের দাম বেড়েছে। গত নভেম্বর থেকে নৌ-পরিবহনে সরকারিভাবে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর আগে যাত্রীদের অবহিত না করার বিষয়টি সঠিক ছিল না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা ভাড়া কমানোর দাবি জানাচ্ছেন, সেখানে উল্টো ভাড়া বৃদ্ধি করা হলো কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ইজারাদার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘২০১৩ সালে আমি যখন ঘাটের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন জেলা পরিষদকে প্রতিদিন ৬৯ হাজার টাকা দিতাম। এখন প্রতিদিন ৯০ হাজার টাকা দেওয়া লাগে। কিন্তু স্পিডবোটের ভাড়া বরং কমেছে।’

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাদা টিকিটধারী ভিআইপি যাত্রীর কারণে অনেক টাকা গচ্চা যায়। সাধারণ যাত্রীদের ওপর এর প্রভাব পড়ে।’ ভিআইপি টিকিটবিহীন এই যাত্রী কারা, ইজারাদার এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল বলেন, ‘ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা ইজারাদারের সঙ্গে বসব, কী ঘটেছে আমরা শুনব। আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার থাকলে দেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত