নুরুল আমীন রবীন, শরীয়তপুর
যাত্রীদের কাছে ভোগান্তির আরেক নাম শরীয়তপুর পৌর বাস টার্মিনাল। মাত্র ৬৫টি বাস পার্কিং সুবিধা থাকা এ টার্মিনালটি বর্তমানে ব্যবহার করছে প্রায় ৩০০ বাস। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আন্তজেলায় চলাচল করা প্রায় ২ শতাধিক বাস পার্ক করে রাখতে হচ্ছে সড়কের ওপর। ফলে শহরের প্রবেশদ্বারসহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহনের চাপ আরও বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে জেলা শহরের পালং মৌজায় ১ একর জায়গার ওপর অভ্যন্তরীণ রুটের বাসের জন্য নির্মাণ করা হয় শরীয়তপুর পৌর বাস টার্মিনাল। এরপর কেটে গেছে দুই যুগ; যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ, কিন্তু সম্প্রসারণ হয়নি বাসস্ট্যান্ডের পরিধি। মাত্র ৬৫টি বাস পার্কিং সুবিধা থাকা বাস টার্মিনালটি বর্তমানে ব্যবহার করছে তিন শতাধিক বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা পরিবহন। পদ্মা সেতু চালুর আগে শরীয়তপুর থেকে খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি পথে নিয়মিত ১৮ বাস চলাচল করত। এ ছাড়া জেলার অভ্যন্তরে চলাচল করত আরও ৭৭টি বাস। পদ্মা সেতু চালুর পর সরাসরি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে শুরু হয় বাস চলাচল। পদ্মা সেতু চালুর পর ২৬ জুন থেকে ঢাকা-শরীয়তপুর রুটে চলাচল করছে বিভিন্ন পরিবহনের বাস। শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের ৭০টি, শরীয়তপুর পরিবহনের ১২টি, গ্লোরি পরিবহনের ১৫টিসহ অন্তত ১৫০টি বাস নতুন করে ঢাকা-শরীয়তপুর পথে চলাচল করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে এই টার্মিনালে যাত্রী ওঠানো-নামানো করে আরও ৩০ থেকে ৩৫টি বাস। বাসের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়লেও বাস টার্মিনালটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডের সামনে থাকা ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের উভয় পাশেই পার্ক করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন পথে চলাচলকারী অর্ধশতাধিক বাস। সকাল ৮টার পর থেকে সড়কে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। এতে সড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজট। ফায়ার সার্ভিস থেকে পেট্রলপাম্প পর্যন্ত সড়কজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ জট। ১ কিলোমিটারের কম এই পথটুকু পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে প্রতিটি যানবাহনের।
শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের যাত্রী শরীফুল আলম খালাসির সঙ্গে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগেছে। ঢাকার উদ্দেশে বাসটি ছেড়েছে আরও ১০ মিনিট আগে, এখনো টার্মিনাল থেকে বের হতে পারেনি।
শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের চালক রিপন ফকির জানান, সারা দিন গাড়ি চালানোর পর রাতে বাড়ি ফেরার সময় সড়কের পাশে বাসটি পার্ক করে রাখতে হয়। অনেক সময় সড়কের পাশেও পার্কিংয়ের জায়গা পাওয়া যায় না। ফলে দূরে কোথাও গাড়ি রাখতে হয়। সারা দিন পরিশ্রম করার পর রাত জেগে গাড়ি পাহারা দিতে হয়।
শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতি সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, ১৯৯৮ সালে নিজের নামে থাকা ১ একর জমি পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য দলিল করে দেওয়া
হয়। তখন শুধু জেলার অভ্যন্তরে বাস চলাচল করত। এখন দেশের বিভিন্ন রুটে জেলা থেকে ৩ শতাধিক বাস চলাচল করে। ছোট ওই বাস টার্মিনালটিতে বাসের জায়গা সংকুলান হয় না। পৌরসভাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পর হঠাৎ জেলায় যানবাহনের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়েছে। জেলা শহরে থাকা পৌর বাস টার্মিনালটি খুবই ছোট হওয়ায় এখানে বাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা হয় না। আরও ১ একর জমি অধিগ্রহণ করে বাসস্ট্যান্ড সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের কাছে ভোগান্তির আরেক নাম শরীয়তপুর পৌর বাস টার্মিনাল। মাত্র ৬৫টি বাস পার্কিং সুবিধা থাকা এ টার্মিনালটি বর্তমানে ব্যবহার করছে প্রায় ৩০০ বাস। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আন্তজেলায় চলাচল করা প্রায় ২ শতাধিক বাস পার্ক করে রাখতে হচ্ছে সড়কের ওপর। ফলে শহরের প্রবেশদ্বারসহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। পদ্মা সেতু চালুর পর যানবাহনের চাপ আরও বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।
জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে জেলা শহরের পালং মৌজায় ১ একর জায়গার ওপর অভ্যন্তরীণ রুটের বাসের জন্য নির্মাণ করা হয় শরীয়তপুর পৌর বাস টার্মিনাল। এরপর কেটে গেছে দুই যুগ; যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ, কিন্তু সম্প্রসারণ হয়নি বাসস্ট্যান্ডের পরিধি। মাত্র ৬৫টি বাস পার্কিং সুবিধা থাকা বাস টার্মিনালটি বর্তমানে ব্যবহার করছে তিন শতাধিক বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা পরিবহন। পদ্মা সেতু চালুর আগে শরীয়তপুর থেকে খুলনা, যশোর, ফরিদপুর, সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি পথে নিয়মিত ১৮ বাস চলাচল করত। এ ছাড়া জেলার অভ্যন্তরে চলাচল করত আরও ৭৭টি বাস। পদ্মা সেতু চালুর পর সরাসরি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে শুরু হয় বাস চলাচল। পদ্মা সেতু চালুর পর ২৬ জুন থেকে ঢাকা-শরীয়তপুর রুটে চলাচল করছে বিভিন্ন পরিবহনের বাস। শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের ৭০টি, শরীয়তপুর পরিবহনের ১২টি, গ্লোরি পরিবহনের ১৫টিসহ অন্তত ১৫০টি বাস নতুন করে ঢাকা-শরীয়তপুর পথে চলাচল করছে। এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলা থেকে এই টার্মিনালে যাত্রী ওঠানো-নামানো করে আরও ৩০ থেকে ৩৫টি বাস। বাসের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়লেও বাস টার্মিনালটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডের সামনে থাকা ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের উভয় পাশেই পার্ক করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন পথে চলাচলকারী অর্ধশতাধিক বাস। সকাল ৮টার পর থেকে সড়কে বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। এতে সড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজট। ফায়ার সার্ভিস থেকে পেট্রলপাম্প পর্যন্ত সড়কজুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ জট। ১ কিলোমিটারের কম এই পথটুকু পাড়ি দিতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে প্রতিটি যানবাহনের।
শরীয়তপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের যাত্রী শরীফুল আলম খালাসির সঙ্গে। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগেছে। ঢাকার উদ্দেশে বাসটি ছেড়েছে আরও ১০ মিনিট আগে, এখনো টার্মিনাল থেকে বের হতে পারেনি।
শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের চালক রিপন ফকির জানান, সারা দিন গাড়ি চালানোর পর রাতে বাড়ি ফেরার সময় সড়কের পাশে বাসটি পার্ক করে রাখতে হয়। অনেক সময় সড়কের পাশেও পার্কিংয়ের জায়গা পাওয়া যায় না। ফলে দূরে কোথাও গাড়ি রাখতে হয়। সারা দিন পরিশ্রম করার পর রাত জেগে গাড়ি পাহারা দিতে হয়।
শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতি সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, ১৯৯৮ সালে নিজের নামে থাকা ১ একর জমি পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য দলিল করে দেওয়া
হয়। তখন শুধু জেলার অভ্যন্তরে বাস চলাচল করত। এখন দেশের বিভিন্ন রুটে জেলা থেকে ৩ শতাধিক বাস চলাচল করে। ছোট ওই বাস টার্মিনালটিতে বাসের জায়গা সংকুলান হয় না। পৌরসভাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পর হঠাৎ জেলায় যানবাহনের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়েছে। জেলা শহরে থাকা পৌর বাস টার্মিনালটি খুবই ছোট হওয়ায় এখানে বাসের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা হয় না। আরও ১ একর জমি অধিগ্রহণ করে বাসস্ট্যান্ড সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪