শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদে যান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের মো. শাহ্ আলম। ছেলে শাওনকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন। জন্মনিবন্ধন নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও রয়েছে কড়া নির্দেশনা।
গত সোমবার সকালে শাহ্ আলম সব কাজকর্ম ফেলে ছুটে যান কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদে। তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা শিশু শাওনের মায়ের জন্মনিবন্ধন চান। এরপর শাহ আলম তাঁর স্ত্রীর জন্মনিবন্ধন সঙ্গে নেই বলে নাম-ঠিকানা বলেন। শুধু নাম-ঠিকানা দিলে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরের দিন মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে জন্মনিবন্ধন জমা দিতে হবে। এই ভেবে তিনি অটোরিকশা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়িতে যান।
বাড়ি থেকে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারের জন্মনিবন্ধন নিয়ে আবার হাজির হন ইউনিয়ন পরিষদে। এবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁর বাবার নাম জানতে চাইলে শাহ্ আলম জানান, তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আলী হোসেন। এরপর তাঁরা বলেন, ‘তাহলে তো আপনার বাবার জন্মনিবন্ধন লাগবে।’ বাবার জন্মনিবন্ধন কেন লাগবে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন, ‘আপনার জন্মনিবন্ধনে লেখা আছে হোসেন আলী।’
এরপর মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফিরে বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে পরদিন অর্থাৎ গত বুধবার আবার ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হন শাহ্ আলম। এরপর তাঁকে বলা হয়, ‘আপনার বাবার নতুন করে জন্মনিবন্ধন করতে হবে। এরপর আপনার নতুন করে জন্মনিবন্ধনে নাম সংশোধন করতে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে হবে।’
এভাবেই গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনের নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা কার্যালয়ে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছে ভুক্তভোগী মানুষ।
উপজেলার আটটি ইউনিয়ন আর একটি পৌরসভা কার্যালয় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়। সবার হাতে ফাইলভর্তি কাগজ। কেউ এসেছেন বাচ্চার নতুন জন্মনিবন্ধন করতে, কেউবা এসেছেন ভুল সংশোধন করতে।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদে কথা হয় পাঠানটেক গ্রামের মো. সোহাগ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মেয়ের জন্মনিবন্ধনে ভুল হয়েছে। এটা সংশোধন করতে চার দিন এসেছি। আর কত দিন লাগবে তা-ও সংশ্লিষ্টরা ঠিক করে বলছে না।’
গোসিংগা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মো. এমারত হোসেন বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের ভুল সংশোধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হতে হয়। দিনের পর দিন রেখেও অনেক ফাইল বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। জনগণের টাকাও যাচ্ছে, হয়রানির শিকারও হতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক মাদবর বলেন, ‘সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। হয়রানি দূর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হয়রানি দূর করতে সব সময় কাজ করছে প্রশাসন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ ধরনের সমস্যার সমাধান হবে।
ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে ইউনিয়ন পরিষদে যান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের মো. শাহ্ আলম। ছেলে শাওনকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করানোর জন্য জন্মনিবন্ধন প্রয়োজন। জন্মনিবন্ধন নিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষেরও রয়েছে কড়া নির্দেশনা।
গত সোমবার সকালে শাহ্ আলম সব কাজকর্ম ফেলে ছুটে যান কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদে। তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা শিশু শাওনের মায়ের জন্মনিবন্ধন চান। এরপর শাহ আলম তাঁর স্ত্রীর জন্মনিবন্ধন সঙ্গে নেই বলে নাম-ঠিকানা বলেন। শুধু নাম-ঠিকানা দিলে হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরের দিন মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে জন্মনিবন্ধন জমা দিতে হবে। এই ভেবে তিনি অটোরিকশা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়িতে যান।
বাড়ি থেকে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারের জন্মনিবন্ধন নিয়ে আবার হাজির হন ইউনিয়ন পরিষদে। এবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাঁর বাবার নাম জানতে চাইলে শাহ্ আলম জানান, তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আলী হোসেন। এরপর তাঁরা বলেন, ‘তাহলে তো আপনার বাবার জন্মনিবন্ধন লাগবে।’ বাবার জন্মনিবন্ধন কেন লাগবে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন, ‘আপনার জন্মনিবন্ধনে লেখা আছে হোসেন আলী।’
এরপর মঙ্গলবার রাতে বাসায় ফিরে বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে পরদিন অর্থাৎ গত বুধবার আবার ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হন শাহ্ আলম। এরপর তাঁকে বলা হয়, ‘আপনার বাবার নতুন করে জন্মনিবন্ধন করতে হবে। এরপর আপনার নতুন করে জন্মনিবন্ধনে নাম সংশোধন করতে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে হবে।’
এভাবেই গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনের নামে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে উপজেলা কার্যালয়ে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছে ভুক্তভোগী মানুষ।
উপজেলার আটটি ইউনিয়ন আর একটি পৌরসভা কার্যালয় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য ও সেবাকেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়। সবার হাতে ফাইলভর্তি কাগজ। কেউ এসেছেন বাচ্চার নতুন জন্মনিবন্ধন করতে, কেউবা এসেছেন ভুল সংশোধন করতে।
বরমী ইউনিয়ন পরিষদে কথা হয় পাঠানটেক গ্রামের মো. সোহাগ মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মেয়ের জন্মনিবন্ধনে ভুল হয়েছে। এটা সংশোধন করতে চার দিন এসেছি। আর কত দিন লাগবে তা-ও সংশ্লিষ্টরা ঠিক করে বলছে না।’
গোসিংগা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের মো. এমারত হোসেন বলেন, ‘জন্মনিবন্ধনের ভুল সংশোধনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে কর্মচারীদের অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার হতে হয়। দিনের পর দিন রেখেও অনেক ফাইল বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। জনগণের টাকাও যাচ্ছে, হয়রানির শিকারও হতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক মাদবর বলেন, ‘সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে। হয়রানি দূর করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য আলাপ-আলোচনা চলছে।’
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, হয়রানি দূর করতে সব সময় কাজ করছে প্রশাসন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শিগগিরই এ ধরনের সমস্যার সমাধান হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪