Ajker Patrika

ডুবোচরে লঞ্চ আটকে দুর্ভোগ

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ৪৩
ডুবোচরে লঞ্চ আটকে দুর্ভোগ

ঢাকা-নোয়াখালীর হাতিয়া নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো প্রতিদিনই ডুবোচরে আটকা পড়ছে। খুব ভোরে জোয়ার না হলে চরে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নদীতে জোয়ার এলে তবেই লঞ্চ ঘাটে আসে। যে কারণে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এই ডুবোচরগুলোর অবস্থান মূলত ভোলার মনপুরা উপজেলার পূর্ব পাশে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ঘাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে বধনারচরের কাছে মেঘনা নদীতে।

গত শনিবার সরেজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ দুটি নদীর মাঝখানে আটকে আছে। ঘাটে অপেক্ষা করছেন যাত্রীদের স্বজন, ঘাটশ্রমিকসহ বিভিন্ন যানবাহনের সহস্রাধিক মানুষ। ঘাটে আলাপ হয় হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের অধিবাসী বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে।

বেলায়েত হোসেন জানান, এমভি ফারহান-৩ লঞ্চে ঢাকা থেকে তাঁর অসুস্থ বাবা আসছেন। তাঁকে নিতেই ঘাটে এসেছেন। কিন্তু লঞ্চটি নদীর মাঝখানে আটকে আছে। ঘাট থেকে দেখা যায়। লঞ্চে থাকা অনেক যাত্রী অপেক্ষা না করে ছোট ট্রলারে ঘাটে চলে আসছে। কিন্তু তাঁর বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ হওয়ায় তিনি ছোট ট্রলারে তাঁকে নিয়ে আসতে সাহস করছেন না। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন। ঘাটে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, জোয়ার আসবে ১১টার দিকে। তখনই লঞ্চ ঘাটে আসবে। তখন পর্যন্ত তাঁকে ঘাটে অপেক্ষা করতে হবে।

নোয়াখালীর হাতিয়া মূলত নদীবেষ্টিত। এখানে প্রায় সাত লাখ লোকের বসবাস। এ উপজেলার মানুষের চলাচলে নদীপথই ভরসা।

হাতিয়া থেকে যে কয়েকটি নৌ রুটে যাত্রী পারাপার হয়, এর মধ্যে ঢাকা-হাতিয়া রুটটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রুটে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন শহস্রাধিক যাত্রী যাতায়াত করে। এ ছাড়া হাতিয়ায় উৎপাদিত খেসারি ডাল, বাদামসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়া করেন ব্যবসায়ীরা।

আলাপকালে তমরদ্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি মো. ইব্রাহীম (৬০) জানান, বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় লঞ্চ চলতে সমস্যা হয় না। এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় প্রতিদিনই লঞ্চ আটকে যাচ্ছে।

হাতিয়া-ঢাকা রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৩-এর মাস্টার বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। ছোট ড্রেজিং করেও এই রুট নৌ-যান চলাচলে স্বাভাবিক করা যায়।

তমরদ্দি ঘাট ইজারাদার প্রতিনিধি মিরাজ সর্দার বলেন, লঞ্চ চলাচলের এই পথে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। ভাটির সময় কোনো কোনো চর জেগে ওঠে। জোয়ারে আবার তলিয়ে যায়। আর এই চরেই আটকা পড়ে লঞ্চ। এতে রাতের বেলা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে লঞ্চ চলাচল শতভাগ নিরাপদ করার দাবি তাঁর।

এ বিষয়ে আলাপকালে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আবদুল মতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত