হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ঢাকা-নোয়াখালীর হাতিয়া নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো প্রতিদিনই ডুবোচরে আটকা পড়ছে। খুব ভোরে জোয়ার না হলে চরে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নদীতে জোয়ার এলে তবেই লঞ্চ ঘাটে আসে। যে কারণে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই ডুবোচরগুলোর অবস্থান মূলত ভোলার মনপুরা উপজেলার পূর্ব পাশে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ঘাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে বধনারচরের কাছে মেঘনা নদীতে।
গত শনিবার সরেজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ দুটি নদীর মাঝখানে আটকে আছে। ঘাটে অপেক্ষা করছেন যাত্রীদের স্বজন, ঘাটশ্রমিকসহ বিভিন্ন যানবাহনের সহস্রাধিক মানুষ। ঘাটে আলাপ হয় হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের অধিবাসী বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে।
বেলায়েত হোসেন জানান, এমভি ফারহান-৩ লঞ্চে ঢাকা থেকে তাঁর অসুস্থ বাবা আসছেন। তাঁকে নিতেই ঘাটে এসেছেন। কিন্তু লঞ্চটি নদীর মাঝখানে আটকে আছে। ঘাট থেকে দেখা যায়। লঞ্চে থাকা অনেক যাত্রী অপেক্ষা না করে ছোট ট্রলারে ঘাটে চলে আসছে। কিন্তু তাঁর বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ হওয়ায় তিনি ছোট ট্রলারে তাঁকে নিয়ে আসতে সাহস করছেন না। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন। ঘাটে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, জোয়ার আসবে ১১টার দিকে। তখনই লঞ্চ ঘাটে আসবে। তখন পর্যন্ত তাঁকে ঘাটে অপেক্ষা করতে হবে।
নোয়াখালীর হাতিয়া মূলত নদীবেষ্টিত। এখানে প্রায় সাত লাখ লোকের বসবাস। এ উপজেলার মানুষের চলাচলে নদীপথই ভরসা।
হাতিয়া থেকে যে কয়েকটি নৌ রুটে যাত্রী পারাপার হয়, এর মধ্যে ঢাকা-হাতিয়া রুটটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রুটে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন শহস্রাধিক যাত্রী যাতায়াত করে। এ ছাড়া হাতিয়ায় উৎপাদিত খেসারি ডাল, বাদামসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়া করেন ব্যবসায়ীরা।
আলাপকালে তমরদ্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি মো. ইব্রাহীম (৬০) জানান, বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় লঞ্চ চলতে সমস্যা হয় না। এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় প্রতিদিনই লঞ্চ আটকে যাচ্ছে।
হাতিয়া-ঢাকা রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৩-এর মাস্টার বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। ছোট ড্রেজিং করেও এই রুট নৌ-যান চলাচলে স্বাভাবিক করা যায়।
তমরদ্দি ঘাট ইজারাদার প্রতিনিধি মিরাজ সর্দার বলেন, লঞ্চ চলাচলের এই পথে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। ভাটির সময় কোনো কোনো চর জেগে ওঠে। জোয়ারে আবার তলিয়ে যায়। আর এই চরেই আটকা পড়ে লঞ্চ। এতে রাতের বেলা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে লঞ্চ চলাচল শতভাগ নিরাপদ করার দাবি তাঁর।
এ বিষয়ে আলাপকালে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আবদুল মতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে।’
ঢাকা-নোয়াখালীর হাতিয়া নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো প্রতিদিনই ডুবোচরে আটকা পড়ছে। খুব ভোরে জোয়ার না হলে চরে আটকে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। নদীতে জোয়ার এলে তবেই লঞ্চ ঘাটে আসে। যে কারণে এই পথে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই ডুবোচরগুলোর অবস্থান মূলত ভোলার মনপুরা উপজেলার পূর্ব পাশে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ঘাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে বধনারচরের কাছে মেঘনা নদীতে।
গত শনিবার সরেজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চ দুটি নদীর মাঝখানে আটকে আছে। ঘাটে অপেক্ষা করছেন যাত্রীদের স্বজন, ঘাটশ্রমিকসহ বিভিন্ন যানবাহনের সহস্রাধিক মানুষ। ঘাটে আলাপ হয় হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের রেহানিয়া গ্রামের অধিবাসী বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে।
বেলায়েত হোসেন জানান, এমভি ফারহান-৩ লঞ্চে ঢাকা থেকে তাঁর অসুস্থ বাবা আসছেন। তাঁকে নিতেই ঘাটে এসেছেন। কিন্তু লঞ্চটি নদীর মাঝখানে আটকে আছে। ঘাট থেকে দেখা যায়। লঞ্চে থাকা অনেক যাত্রী অপেক্ষা না করে ছোট ট্রলারে ঘাটে চলে আসছে। কিন্তু তাঁর বৃদ্ধ বাবা অসুস্থ হওয়ায় তিনি ছোট ট্রলারে তাঁকে নিয়ে আসতে সাহস করছেন না। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন। ঘাটে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, জোয়ার আসবে ১১টার দিকে। তখনই লঞ্চ ঘাটে আসবে। তখন পর্যন্ত তাঁকে ঘাটে অপেক্ষা করতে হবে।
নোয়াখালীর হাতিয়া মূলত নদীবেষ্টিত। এখানে প্রায় সাত লাখ লোকের বসবাস। এ উপজেলার মানুষের চলাচলে নদীপথই ভরসা।
হাতিয়া থেকে যে কয়েকটি নৌ রুটে যাত্রী পারাপার হয়, এর মধ্যে ঢাকা-হাতিয়া রুটটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রুটে স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন শহস্রাধিক যাত্রী যাতায়াত করে। এ ছাড়া হাতিয়ায় উৎপাদিত খেসারি ডাল, বাদামসহ বিভিন্ন পণ্য আনা-নেওয়া করেন ব্যবসায়ীরা।
আলাপকালে তমরদ্দি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি মো. ইব্রাহীম (৬০) জানান, বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানির উচ্চতা বেশি থাকায় লঞ্চ চলতে সমস্যা হয় না। এখন নদীর পানি কমে যাওয়ায় প্রতিদিনই লঞ্চ আটকে যাচ্ছে।
হাতিয়া-ঢাকা রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৩-এর মাস্টার বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। ছোট ড্রেজিং করেও এই রুট নৌ-যান চলাচলে স্বাভাবিক করা যায়।
তমরদ্দি ঘাট ইজারাদার প্রতিনিধি মিরাজ সর্দার বলেন, লঞ্চ চলাচলের এই পথে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। ভাটির সময় কোনো কোনো চর জেগে ওঠে। জোয়ারে আবার তলিয়ে যায়। আর এই চরেই আটকা পড়ে লঞ্চ। এতে রাতের বেলা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে লঞ্চ চলাচল শতভাগ নিরাপদ করার দাবি তাঁর।
এ বিষয়ে আলাপকালে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. আবদুল মতিনের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নদীতে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪