Ajker Patrika

জমি অধিগ্রহণে জটিলতা

প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর (রংপুর)
Thumbnail image

রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজে গতি বাড়ানো হয়েছে। তবু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ২০ শতাংশ কাজ বাকি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, এখনো রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার কয়েকটি হাটবাজার এলাকায় প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি থেকে স্থাপনা অপসারণ করা হয়নি। অবকাঠামো অপসারণে বাধা দেওয়ায় সেখানে সড়কের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হয়ে রংপুরের মডার্ন পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়কে চার লেনের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি ২০১৪ সালে চূড়ান্ত করা হলেও কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে চুক্তি অনুযায়ী ২০২১ সালের আগস্টে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে কাজে দেরি হওয়ায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

এই প্রকল্পে শুরুতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা। পরে এতে ৪ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে রংপুর জেলায় কাজের গতি বাড়ানো হয়। তবু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে না বলে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সাসেক-২ প্রকল্পের আবাসিক প্রকৌশলী অনুপ কুমার মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৮০-৯০ শতাংশ কাজ শেষ হবে। ১০-২০ শতাংশ কাজ না হওয়ার আশঙ্কা করছি।’

প্রকৌশলী অনুপ জানান, মহাসড়ক চার লেন করার প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এখনো গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলা এবং রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ীহাট ও দমদমা এলাকায় জমিসংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। এখনো অধিগ্রহণ করা জমি থেকে স্থাপনা অপসারণ করা যায়নি।

শঠিবাড়ীহাটের জমি ও স্থাপনা মালিকদের অভিযোগ, দরদাম নিয়ে জটিলতা চলছে। বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে না। ইতিপূর্বে শঠিবাড়ীহাটের জমির মালিকেরা ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

এ বিষয়ে কথা হলে রংপুরে ভূমি অধিগ্রহণের দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, অধিগ্রহণের জন্য সমুদয় অর্থ জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু জমির মালিকদের সঙ্গে দাম নিয়ে জটিলতায় কয়েকটি এলাকায় কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত