Ajker Patrika

কৃষ্ণার গ্রামে জয়োল্লাস

কে এম মিঠু, গোপালপুর (টাঙ্গাইল)
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ৫৩
কৃষ্ণার গ্রামে জয়োল্লাস

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথমবার শিরোপা জিতল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা রানী সরকারের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর পাথালিয়া গ্রামে। এই গ্রামের বাসুদেব সরকার চন্দ্র ও নমিতা রানী সরকার দম্পতির মেয়ে কৃষ্ণা।

কৃষ্ণার বাড়িতে সরেজমিন দেখা যায়, জয়োল্লাসে উদ্বেলিত পুরো গ্রাম। ছোট-বড় সবার মাঝে বইছে আনন্দের জোয়ার। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খেলায় বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ডে গ্রামের মানুষ হয়তো খুব একটা আশাবাদী ছিল না। কিন্তু এ জয়ের পর নিভৃত পল্লির সাধারণ মানুষের মুখে মুখে এখন খেলার খবর। সবাই গর্ব করে বলে বেড়াচ্ছে, ‘তিন গোলের মধ্যে দুই গোলই করেছে আমাদের কৃষ্ণা।’

নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে অবিচল লক্ষ্য, অদম্য মনোবল, প্রবল ইচ্ছা আর দৃঢ়সংকল্পকে সঙ্গী করে কৃষ্ণা রানী পাড়ি দিয়েছেন স্বপ্নপূরণের পথ। তবে গ্রামে লোডশেডিং থাকায় তাঁর মা নমিতা মেয়ের খেলা দেখতে পারেননি। সে জন্য আক্ষেপ আছে তাঁর। আর বাবা খেলা দেখেছেন অন্য গ্রামে গিয়ে। বোনের ভালো খেলার জন্য ভাই পলাশ সরকার সারা দিন উপবাস ছিলেন। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে গ্রামের মানুষও চেয়েছেন, কৃষ্ণা ভালো খেলুক। বাংলাদেশ জিতুক। এ জয়ে কৃষ্ণা দুই গোল করেছেন বলে গ্রামে আনন্দটা একটু বেশি।  

কৃষ্ণার মা নমিতা রানী সরকার জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে না পারলেও জয়ের খবরে ভীষণ আনন্দিত তিনি। মেয়ের ফুটবল খেলা নিয়ে যাঁরা একসময় কটাক্ষ করতেন, তাঁরাই এখন অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না নমিতা।

কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার জানান, বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় পাশের গ্রামে গিয়ে খেলা দেখেও দারুণ খুশি হয়েছেন তিনি। এলাকার মানুষ খেলা উপভোগ করেছে। অনেকেই আনন্দে বাড়িতে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছে। এসব বিষয়ে গ্রামের মানুষ বাসুদেব খুব একটা অভ্যস্ত না হলেও সবার সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন।   
পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম মাজহারুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলে বিদ্যুতের ইউনিট কম পাওয়া যায়। তাই মাঝে মাঝে এলাকাভিত্তিক সংযোগ বন্ধ রাখতে হয়। সে কারণে হয়তো ওই এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক বলেন, ‘কৃষ্ণা এখন বাংলাদেশের গর্ব। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তার উত্থান। দেশে ফেরার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এর আগে কৃষ্ণার মাকে রত্নগর্ভা সম্মাননা দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ফাইনালে ভারতের ‘যম’কে খেলানো নিয়ে দোটানায় নিউজিল্যান্ড

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আওয়ামী লীগ নেতা ‘ব্যাটারি বাবু’ ভবনে ঢুকে হাওয়া!

নিষিদ্ধ হিযবুত তাহ্‌রীরের মিছিল, পুলিশের টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত