শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
পোলট্রির বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে খালের পানি। ইতিমধ্যে দুর্গন্ধে নষ্ট হয়ে গেছে এলাকার পরিবেশ। নষ্ট হয়ে গেছে অর্ধশত বিঘা জমির উর্বরতা শক্তি। খালের পানি দূষণের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ৬০০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ। এমন অভিযোগ উঠেছে প্যারাগন পোলট্রি ফার্মের বিরুদ্ধে।
পরিবেশদূষণের এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের বাউনী গ্রামে। গতকাল শনিবার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে এলাকাবাসীর অভিযোগের তদন্ত করে। বারবার এলাকাবাসীর অভিযোগের তদন্ত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে নেওয়া হয় না ব্যবস্থা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফার্মের দূষিত পানি ও বিষাক্ত বর্জ্য কোনো প্রকার পরিশোধন না করেই ফেলা হচ্ছে খালে। ফলে পারুলী নদীর শাখা বাউনী গ্রামের শেড়ার খালের পানি সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে। মরে গেছে খালের মাছ, পোকামাকড় ও জলজ প্রাণী।
৮-১০ বছর আগে মুরগি পালনের নাম করে ওই ফার্মের যাত্রা শুরু হয়। ক্রমেই এলাকাবাসীর কাছে কর্তৃপক্ষের আসল রূপ প্রকাশিত হতে থাকে। ফার্মের আকার সম্প্রসারণ করে শুরু করা হয় মৃত মুরগি পোড়ানো ও মুরগির বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন। মুরগি পোড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় না কোনো চিমনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উন্মুক্তভাবে মুরগি পোড়ানোর কারণে দূষিত ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে আশপাশের এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল হালিম জানান, ফার্মের বর্জ্য ও দূষিত পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেন নেই। দূষিত পানি ধানের জমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে প্রায় অর্ধশত বিঘা জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব জমিতে ধান রোপণ করলে শুধু ধানের গাছ হয়। ধানের শিষ বের হলেও তাতে কোনো চাল হয় না।
ভুক্তভোগী কৃষক হেলাল জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এ ফার্মের দূষণের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার হয়নি। ফার্মের বর্জ্য ও দূষিত পানি ফেলা হয় শেড়ার খালে। খালের পানিতে সেচ দিয়ে বাউনী, চাওবন, ডুয়াইবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতেন। খালের পানি দূষিত হয়ে যাওয়ায় এখন ওই জমিতে ধান চাষ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, দূষণের কারণে ওই খালের পানি কোনো পশু-পাখি পান করে না। ভুলে কোনো গরু-ছাগল খালের পানি পান করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে প্যারাগন পোলট্রি এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ফার্মের বর্জ্য ও পানি সরাসরি খালে ফেলা হয় না। ফার্মের ভেতরে পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরে পানি ফেলা হয়। কিছু পানি লিকেজ দিয়ে বের হয়ে খালে পড়ে। পানিতে নিয়মিত ওষুধ ও চুন দেওয়া হয়। জৈবসার উৎপাদনের কারণে কিছু গন্ধ হয়। আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’
গত শনিবার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের উপপরিচালক সৈয়দ আহামদ কবিরের নেতৃত্বে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মমিন ভূঁইয়াসহ কর্মকর্তারা সরেজমিনে এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত করেন।
তদন্ত শেষে উপপরিচালক সৈয়দ আহামদ কবির জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। কিছু অসংগতি রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
পোলট্রির বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে খালের পানি। ইতিমধ্যে দুর্গন্ধে নষ্ট হয়ে গেছে এলাকার পরিবেশ। নষ্ট হয়ে গেছে অর্ধশত বিঘা জমির উর্বরতা শক্তি। খালের পানি দূষণের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে ৬০০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ। এমন অভিযোগ উঠেছে প্যারাগন পোলট্রি ফার্মের বিরুদ্ধে।
পরিবেশদূষণের এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের বাউনী গ্রামে। গতকাল শনিবার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে এলাকাবাসীর অভিযোগের তদন্ত করে। বারবার এলাকাবাসীর অভিযোগের তদন্ত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে নেওয়া হয় না ব্যবস্থা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফার্মের দূষিত পানি ও বিষাক্ত বর্জ্য কোনো প্রকার পরিশোধন না করেই ফেলা হচ্ছে খালে। ফলে পারুলী নদীর শাখা বাউনী গ্রামের শেড়ার খালের পানি সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে গেছে। মরে গেছে খালের মাছ, পোকামাকড় ও জলজ প্রাণী।
৮-১০ বছর আগে মুরগি পালনের নাম করে ওই ফার্মের যাত্রা শুরু হয়। ক্রমেই এলাকাবাসীর কাছে কর্তৃপক্ষের আসল রূপ প্রকাশিত হতে থাকে। ফার্মের আকার সম্প্রসারণ করে শুরু করা হয় মৃত মুরগি পোড়ানো ও মুরগির বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদন। মুরগি পোড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় না কোনো চিমনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উন্মুক্তভাবে মুরগি পোড়ানোর কারণে দূষিত ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে আশপাশের এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল হালিম জানান, ফার্মের বর্জ্য ও দূষিত পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো ড্রেন নেই। দূষিত পানি ধানের জমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে প্রায় অর্ধশত বিঘা জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব জমিতে ধান রোপণ করলে শুধু ধানের গাছ হয়। ধানের শিষ বের হলেও তাতে কোনো চাল হয় না।
ভুক্তভোগী কৃষক হেলাল জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এ ফার্মের দূষণের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার হয়নি। ফার্মের বর্জ্য ও দূষিত পানি ফেলা হয় শেড়ার খালে। খালের পানিতে সেচ দিয়ে বাউনী, চাওবন, ডুয়াইবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতেন। খালের পানি দূষিত হয়ে যাওয়ায় এখন ওই জমিতে ধান চাষ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, দূষণের কারণে ওই খালের পানি কোনো পশু-পাখি পান করে না। ভুলে কোনো গরু-ছাগল খালের পানি পান করলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে প্যারাগন পোলট্রি এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান এলাকাবাসীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ফার্মের বর্জ্য ও পানি সরাসরি খালে ফেলা হয় না। ফার্মের ভেতরে পুকুর রয়েছে। ওই পুকুরে পানি ফেলা হয়। কিছু পানি লিকেজ দিয়ে বের হয়ে খালে পড়ে। পানিতে নিয়মিত ওষুধ ও চুন দেওয়া হয়। জৈবসার উৎপাদনের কারণে কিছু গন্ধ হয়। আধুনিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’
গত শনিবার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের উপপরিচালক সৈয়দ আহামদ কবিরের নেতৃত্বে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মমিন ভূঁইয়াসহ কর্মকর্তারা সরেজমিনে এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত করেন।
তদন্ত শেষে উপপরিচালক সৈয়দ আহামদ কবির জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। কিছু অসংগতি রয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪