Ajker Patrika

বাঁধ দিয়ে খাল দখল, বর্ষায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা

গাজী আবদুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৫৮
Thumbnail image

ডুমুরিয়ায় মাধবকাটি-বিলপাটিলিয়া এলাকার কানকাটা খাল বাঁধ দিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। খালে বাঁধ দেওয়ায় আসন্ন বর্ষায় এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় খালের বাঁধ অপসারণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

সরেজমিনে এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের মাধবকাটি-বিলপাটিয়ালা এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহমান রয়েছে প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য কানকাটা খাল। যা দিয়ে মাধবকাটি, বিলপাটিয়ালা, শাহপুর, থুকড়াসহ ৪-৫টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। সম্প্রতি ওই খালে শাহাপুর এলাকার প্রভাবশালী জাফর সাদেক গাজী ও জাহাঙ্গীর আলম পিটু ক্রস বাঁধ দিয়ে খালটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

গত ৩-৪ দিন ধরে খননযন্ত্র দিয়ে তাঁরা দেদারসে খালে বাঁধ দিচ্ছে। এদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এর আগে থুকড়া এলাকার জিএম আ. রাজ্জাক, বিলপাটিয়ালা এলাকার রফিকুল পায়, লাভলু ওরফে তরিকুল হাওলাদার, সামছুর পায়, কুদ্দুস জমাদ্দার, আ. জব্বার খান, সোহরাব আকন সহ অনেকেই ওই খালটিতে কোথাও আংশিক বেড়িবাঁধ আবার কোথাও নেট পাটা দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। এতে পানি নিষ্কাশনে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আসছে।

এ নিয়ে কথা হয় বিলপাটিয়ালা পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস শিকদার, কৃষক ইব্রাহিম হাওলাদার ও স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি শাজাহান হাওলাদারের সঙ্গে। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, আংশিক বেড়িবাঁধ ও নেট পাটা রয়েছে। তাই বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে তলিয়ে যায় এলাকা। আর এবার যেভাবে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে সরকারি খাল দখলে নেওয়া হচ্ছে তাতে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনে কোনো সুযোগ না থাকায় বিল ডাকাতিয়ায় রূপান্তরিত হবে এ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পথে বসবে শত শত কৃষক। প্রভাবশালী ওই মহলের ভয়ে মুখ খুলতে পারে না তারা, যে কারণে আশু প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় বাঁধ নির্মাণকারী জাফর সাদেক গাজী ও জাহাঙ্গীর আলম পিটুর সঙ্গে। তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘সবাই যখন খালে বাঁধ দিচ্ছে তখন আমরা দিলে দোষ কি?

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘খাল দখলের বিষয়টির খবর নিয়েছি। শিগগিরই খাল থেকে বাঁধ উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত