দখল, দূষণে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বাগেরহাট পৌরসভার অভ্যন্তরের সব খাল। দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা হারানো খালগুলো এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পানির প্রবাহ স্বাভাবিক না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে বর্ষা মৌসুমে রোগবালাইসহ বিভিন্ন ভোগান্তিতে পড়েছে পৌরবাসী।
আসছে বর্ষা মৌসুমে এয়ারপোর্ট-আশকোনা এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
যশোরের কেশবপুরে জলাবদ্ধতার কারণে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে হচ্ছে না বোরো আবাদ। গত বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টি ও নদ-নদীর উপচে পড়া পানিতে এলাকার মাঠঘাট জলাবদ্ধ হয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিক-সংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলাকালে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পাইপলাইন গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঠিক হয়নি। ফলে চট্টগ্রাম নগরীর বড় একটি অংশে ওয়াসার পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। আজ শুক্রবার নাগাদ পানি সরবরাহ....
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়ের কমিটি। আজ শনিবার বিকেলে নগরীর বহদ্দারহাটে বারইপাড়া খাল খনন কার্যক্রম এবং আশপাশের খালের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তাঁরা।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জাতপুর, আলাদীপুর ও পাঁচরোখী বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে ১৭৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তালার কপোতাক্ষ নদ ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভদ্রা নদীর সঙ্গে এসব বিলের সংযোগ খাল দীর্ঘদিন খনন না হওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিলের জমির মালিক ও দরিদ্র কৃষকে
যশোরের মনিরামপুরে দেশের একমাত্র খেজুরগাছ রিসার্চ গার্ডেন জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছরে অতি বৃষ্টিপাতের কারণে পানি জমে প্রায় সব খেজুরগাছই মরে গেছে। এই অবস্থায় সেখানে গবেষণাকাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষক।
ঘেরের পর এবার আবাসন ব্যবসায়ের আগ্রাসনে উজাড় হচ্ছে যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের হরিণার বিলের তিন ফসলি জমি। প্রাকৃতিক এই জলাধার ভরাট করে প্লট আকারে জমি বিক্রি করছে আবাসন ব্যবসায়ীরা। আইন ভেঙে অবাধে চলছে জমির শ্রেণি পরিবর্তন। এতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানি নিষ্কাশন। বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ফসল
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ান হাসান বলেছেন, যশোরের ভবদহের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিগত সময়ের মতো পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিভিন্ন সংস্থার মতামতে নয়, এবার ভুক্তভোগীদের পরামর্শে নেওয়া প্রকল্প অনুযায়ী কাজ করা হবে।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের বোয়াইলমারী উচ্চ বিদ্যালয় ও বোয়াইলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। এতে বছরের বেশির ভাগ সময় জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। বিদ্যালয় দুটির শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মাঠে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারেন না।
সাতক্ষীরার প্রাণকেন্দ্র দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের আবার সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকালে সুলতানপুর বড় বাজার এলাকা থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়। জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এই কাজের উদ্বোধন করেন।
রাজধানীর শ্যামপুর থানার পোস্তগোলা শিল্প এলাকার একটি রাস্তায় সারা বছরই পানি জমে থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকার রাস্তাগুলো তলিয়ে যায় কয়েক ফুট পানির নিচে। এতে বোঝার উপায় নেই কোথায় গর্ত আছে। সেই সঙ্গে খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হতে চলেছে ব্যস্ততম এই শিল্প এলাকার রাস্তাগুলো।
ভারী বৃষ্টি ও ফেনী থেকে নেমে আসা বানের পানিতে গত ২০ আগস্ট প্লাবিত হয় নোয়াখালীর আট উপজেলা। সম্প্রতি এ বন্যা জেলার গত ৫০-৬০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। সরকারি হিসাবে, সারা দেশে চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালীতে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, জলাবদ্ধতা ঢাকা মহানগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা। ধাপে ধাপে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। ১৫ বছরের জঞ্জাল একদিনে পরিষ্কার হবে না।
যশোরে সাম্প্রতিক টানা ভারী বৃষ্টিতে সবজির খেত ও বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েক দফায় সবজির চারা রোপণ করা হলেও বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে তা পচে যাচ্ছে। তাই বারবার সবজির চারা রোপণ করতে গিয়ে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে কৃষকদের।
টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানে যশোর শহর থেকে আসা পানিতে তলিয়ে গেছে ভবদহের দুই শতাধিক বাড়িঘর। এই এলাকার স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, ধর্মীয় উপাসনালয়ও এখন পানির তলে। ভেসে গেছে কয়েক হাজার মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।
প্রায় ২০ বছর ধরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে রয়েছেন প্রথম শ্রেণির পৌরসভার বাসিন্দারা। তলিয়ে গেছে অলিগলির সড়কগুলো। শুধু সড়ক নয়, পানিতে তালিয়ে গেছে রান্নাঘর, নলকূপ ও টয়লেট। বসতঘরেও উঠে গেছে পানি। ঘরের তালা বদ্ধ করে অনেকেই চলে গেছেন স্বজনদের বাড়িতে। কারও কারও বসতঘরে প্রবেশ করতে কাপড় তুলতে হয় হাঁটুর ওপরে।