Ajker Patrika

নোয়াখালীতে রাতভর বৃষ্টিতে বাড়ল জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে লাখো মানুষ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
পৌর এলাকা ও আশপাশের কিছু উঁচু এলাকা থেকে আগের বৃষ্টির পানি কিছুটা নামলেও রোববার রাতের বৃষ্টিতে পুনরায় ওই সব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌর এলাকা ও আশপাশের কিছু উঁচু এলাকা থেকে আগের বৃষ্টির পানি কিছুটা নামলেও রোববার রাতের বৃষ্টিতে পুনরায় ওই সব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীতে রাতভর বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধ এলাকাগুলোতে আবারও পানি বেড়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত মানুষজনের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে অনেকেই।

৭ জুলাই থেকে টানা অতি ভারী বৃষ্টির পর শুক্র ও শনিবার সাময়িক বিরতি মিললেও রোববার রাতে ফের মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সোমবার সকালে মাইজদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মাইজদী কোর্ট স্টেশনে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি জানান, লঘুচাপের প্রভাবে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকা ও আশপাশের কিছু উঁচু এলাকা থেকে আগের বৃষ্টির পানি কিছুটা নামলেও রোববার রাতের বৃষ্টিতে পুনরায় ওই সব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ উপজেলার অনেক গ্রামীণ সড়ক এখনো কয়েক ফুট পানির নিচে। বহু বাড়ির আঙিনায় হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি জমে আছে। জলাবদ্ধতার কারণে এসব এলাকার মানুষ কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।

খাল ও ড্রেন দিয়ে সঠিকভাবে পানি অপসারণ না হওয়ায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

পৌর এলাকা ও আশপাশের কিছু উঁচু এলাকা থেকে আগের বৃষ্টির পানি কিছুটা নামলেও রোববার রাতের বৃষ্টিতে পুনরায় ওই সব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌর এলাকা ও আশপাশের কিছু উঁচু এলাকা থেকে আগের বৃষ্টির পানি কিছুটা নামলেও রোববার রাতের বৃষ্টিতে পুনরায় ওই সব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসনে রোববার সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের মুন্সীতালুক থেকে চর মটুয়া ইউনিয়নের উদয় সাধুর হাট পর্যন্ত খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনেওয়াজ তানভীর। সোমবার সকাল থেকে উচ্ছেদের বাকি অংশে আবারও অভিযান শুরু হয়েছে। এ কাজে সহায়তা করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আনসার বাহিনী, মৎস্য দপ্তর, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন বিভাগ এবং স্থানীয় লোকজন।

এদিকে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে জামায়াতে ইসলামী নোয়াখালী জেলা শাখা। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারীরা। কর্মসূচিতে জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

পৌর এলাকা ও আশপাশের কিছু উঁচু এলাকা থেকে আগের বৃষ্টির পানি কিছুটা নামলেও রোববার রাতের বৃষ্টিতে পুনরায় ওই সব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পৌর এলাকা ও আশপাশের কিছু উঁচু এলাকা থেকে আগের বৃষ্টির পানি কিছুটা নামলেও রোববার রাতের বৃষ্টিতে পুনরায় ওই সব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় জেলার ৫৭টি ইউনিয়নের প্রায় ৯০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো ২৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজারের বেশি মানুষ এবং শতাধিক গৃহপালিত পশু। প্রাথমিক হিসাবে, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, সাড়ে সাত হাজার একর ফসলি জমি, প্রায় ৯ হাজার গবাদিপশু ও ৪০ হাজার মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণভবনকে বাস্তিল দুর্গের সঙ্গে তুলনা করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

১০০ গজ দূরেই ক্যাম্প, তবু সোহাগকে বাঁচাতে কেন এল না কেউ—যা বললেন আনসারপ্রধান

উচ্চকক্ষ ‘সিনেটে’ ৭৬ আসনের প্রস্তাব, সদস্য নির্বাচন জনগণের ভোটে

ভোলায় চাঁদার দাবিতে বৃদ্ধকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ বিএনপির কর্মীর বিরুদ্ধে

মার্কিন শুল্কে বড় শঙ্কায় ১৬৮ কারখানা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত