Ajker Patrika

সার্ভার জটিলতায় ভোগান্তি সঞ্চয়পত্রের টাকা তুলতে

চারঘাট প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২২, ১১: ৫২
সার্ভার জটিলতায় ভোগান্তি  সঞ্চয়পত্রের টাকা তুলতে

চারঘাটে পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকেরা লেনদেনের ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সার্ভার জটিলতার কারণে নিজেদের গচ্ছিত অ্যাকাউন্টে রাখা টাকা তুলতে পারছেন না শত শত গ্রাহক।

উপজেলা পোস্ট অফিস থেকে সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশের টাকা তুলতে গিয়ে অনেক গ্রাহককে দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষ গ্রাহকের অনেকেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছেন। ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে নিরুপায় হয়ে ফিরে যাচ্ছেন কোনো কোনো নারীগ্রাহক।

যদিও পোস্ট অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, এটি সাময়িক সমস্যা। পোস্ট অফিসের সব কার্যক্রম অনলাইনে প্রক্রিয়াধীন থাকায় এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এখানে উপজেলা পোস্ট অফিসের করণীয় কিছু নেই।

চারঘাট পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, চারঘাটে প্রতি মাসে গ্রাহকদের প্রায় ৩ কোটি টাকা দিতে হয়। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে অনলাইনে কার্যক্রম চালু না হওয়ায় বর্তমানে টাকা জমা নেওয়া বন্ধ আছে। এই ঘাটতির কারণেই গ্রাহকসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পোস্ট অফিস কর্মকর্তাদের। আবার এর কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শত শত গ্রাহক।

গতকাল মঙ্গলবার চারঘাট পোস্ট অফিসে আসা নিমপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, তিনি তিন দিন ধরে পোস্ট অফিস থেকে সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশের টাকা উত্তোলনের জন্য আসছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতিদিন সময় ও গাড়িভাড়া সবই নষ্ট হচ্ছে।

সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, তিনি বাড়িতে ছয় মাস বয়সী সন্তান রেখে এসেছেন। সকাল ৯টার সময় পোস্ট অফিসে এসেছেন, বেলা ৩টায়ও টাকা ওঠাতে পারেননি। টাকাটা খুবই প্রয়োজন বলে দাঁড়িয়ে আছেন। খালি হাতে বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন না।

গ্রাহকদের দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা পোস্ট মাস্টার জাকির হোসেন বলেন, বর্তমানে পোস্ট অফিসে এসবি এবং এফডি বন্ধ থাকায় গ্রাহকদের কাছ থেকে সরাসরি পোস্ট অফিসে কোনো টাকা জমা হয় না। সে কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় গ্রাহকদের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো টাকা দেওয়া সম্ভব হয় না।

রাজশাহীর ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল ড. সেলিম বলেন, অনেক সময় সার্ভার জটিলতার কারণে গ্রাহকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টি সমাধানে কাজ চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত