আলী আকবর সাজু, ভালুকা
‘আমার খীরু, আমার জীবন, বাঁচাও তারে বন্ধ করো দূষণ’ স্লোগানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের ভালুকা আঞ্চলিক শাখা খীরু রক্ষায় স্মারকলিপি, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করছে দীর্ঘদিন। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি মোটেও। উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা খীরু এখন দখলে-দূষণে শ্রীহীন।
দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত পানিতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। বর্জ্যমিশ্রিত কালো পানির নদীতে মাছ ও জলজ প্রাণীর দেখা মেলে না। নদটি এখন কৃষকেরও গলার কাঁটা। এ নদীর পানি সেচকাজে ব্যবহার করতে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। নদীটি রক্ষায় কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময়ের খরস্রোতা নদীতে এখন কালো রঙের পানি ঢেউ খেলছে। নদের দুই পাশের মাটি আলকাতরার রঙের মতো কুচকুচে কালো রঙে ঢেকে আছে। নদে নামলে হাত-পা ও শরীরে চুলকানি শুরু হয়। নানা রকম চর্মরোগে ভুগতে হয়। এর মধ্যেই তাঁরা শঙ্কা নিয়েই জমি চাষ করছেন। একসময় জমিতে অনেক ধান উৎপাদিত হলেও এখন আর হয় না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নব্বইয়ের দশক থেকে ভালুকায় শিল্পকারখানা স্থাপন শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে শিল্পনগরীতে পরিণত হয়। কারখানার দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত পানি নদীতে ফেলা হয়। এতে নদের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রায় প্রতিটি কারখানায় ইটিপি থাকলেও তা বেশির ভাগ সময় বন্ধ রেখে অপরিশোধিত পানি নদীতে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
কৃষক রবিউল বলেন, জমিতে ধান উৎপাদনের জন্য তাঁরা বাধ্য হয়ে নদের পানি সেচ দেন। তাতে ধানের গোছা ভালো হলেও চিটা হয়। এ পানি খেয়ে অনেক সময় গরু-ছাগল ও হাঁস মারা যায়। বাড়িঘরে দুর্গন্ধে থাকা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। শিশুরাও নানা রোগব্যাধিতে ভোগে।
মানবাধিকারকর্মী খলিলুর রহমান বলেন, ‘খীরু নদী এখন বিষের নহর। মাছ নেই, জলজ প্রাণী নেই। শিল্পবর্জ্যের দূষণে ও দখলে একাকার। একসময়ের খরস্রোতা খীরু এখন দখল ও দূষণে আবদ্ধ। নদী রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্যসচিব কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, ‘নদের পানি বিষাক্ত। পানি কালো রং ধারণ করে প্রবাহিত হচ্ছে। আবার কোথাও নদী সরু হয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। পরিবেশসংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপের অভাবে কারখানাগুলো ইটিপি সচল না রেখে বিষযুক্ত পানি সরাসরি নদীতে ফেলছে।’
কামরুল হাসান আরও বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় শিল্পকারখানার দূষিত বর্জ্যের পানি ইটিপির মাধ্যমে পরিশোধন করে নদীতে ফেলা হলে কৃষি সেচ উপযোগী হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ বংশবিস্তার ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান বলেন, ‘খীরু নদীর পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করলে ফলন ভালো হবে না। কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানি পরিশোধন করে নদীতে ফেললে কৃষক সব কাজেই ব্যবহার করতে পারবে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, ‘কারখানাগুলোতে ইটিপি রয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে ইটিপি চালু রাখার জন্য বলেছি। পরিবেশদূষণ রোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।’
‘আমার খীরু, আমার জীবন, বাঁচাও তারে বন্ধ করো দূষণ’ স্লোগানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের ভালুকা আঞ্চলিক শাখা খীরু রক্ষায় স্মারকলিপি, মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ করছে দীর্ঘদিন। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি মোটেও। উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা খীরু এখন দখলে-দূষণে শ্রীহীন।
দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত পানিতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। বর্জ্যমিশ্রিত কালো পানির নদীতে মাছ ও জলজ প্রাণীর দেখা মেলে না। নদটি এখন কৃষকেরও গলার কাঁটা। এ নদীর পানি সেচকাজে ব্যবহার করতে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। নদীটি রক্ষায় কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সময়ের খরস্রোতা নদীতে এখন কালো রঙের পানি ঢেউ খেলছে। নদের দুই পাশের মাটি আলকাতরার রঙের মতো কুচকুচে কালো রঙে ঢেকে আছে। নদে নামলে হাত-পা ও শরীরে চুলকানি শুরু হয়। নানা রকম চর্মরোগে ভুগতে হয়। এর মধ্যেই তাঁরা শঙ্কা নিয়েই জমি চাষ করছেন। একসময় জমিতে অনেক ধান উৎপাদিত হলেও এখন আর হয় না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নব্বইয়ের দশক থেকে ভালুকায় শিল্পকারখানা স্থাপন শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে শিল্পনগরীতে পরিণত হয়। কারখানার দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত পানি নদীতে ফেলা হয়। এতে নদের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। প্রায় প্রতিটি কারখানায় ইটিপি থাকলেও তা বেশির ভাগ সময় বন্ধ রেখে অপরিশোধিত পানি নদীতে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
কৃষক রবিউল বলেন, জমিতে ধান উৎপাদনের জন্য তাঁরা বাধ্য হয়ে নদের পানি সেচ দেন। তাতে ধানের গোছা ভালো হলেও চিটা হয়। এ পানি খেয়ে অনেক সময় গরু-ছাগল ও হাঁস মারা যায়। বাড়িঘরে দুর্গন্ধে থাকা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। শিশুরাও নানা রোগব্যাধিতে ভোগে।
মানবাধিকারকর্মী খলিলুর রহমান বলেন, ‘খীরু নদী এখন বিষের নহর। মাছ নেই, জলজ প্রাণী নেই। শিল্পবর্জ্যের দূষণে ও দখলে একাকার। একসময়ের খরস্রোতা খীরু এখন দখল ও দূষণে আবদ্ধ। নদী রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ভালুকা আঞ্চলিক শাখার সদস্যসচিব কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, ‘নদের পানি বিষাক্ত। পানি কালো রং ধারণ করে প্রবাহিত হচ্ছে। আবার কোথাও নদী সরু হয়ে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। পরিবেশসংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপের অভাবে কারখানাগুলো ইটিপি সচল না রেখে বিষযুক্ত পানি সরাসরি নদীতে ফেলছে।’
কামরুল হাসান আরও বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় শিল্পকারখানার দূষিত বর্জ্যের পানি ইটিপির মাধ্যমে পরিশোধন করে নদীতে ফেলা হলে কৃষি সেচ উপযোগী হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ বংশবিস্তার ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন জাহান বলেন, ‘খীরু নদীর পানি কৃষিকাজে ব্যবহার করলে ফলন ভালো হবে না। কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানি পরিশোধন করে নদীতে ফেললে কৃষক সব কাজেই ব্যবহার করতে পারবে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, ‘কারখানাগুলোতে ইটিপি রয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে ইটিপি চালু রাখার জন্য বলেছি। পরিবেশদূষণ রোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪