মেহেরাব্বিন সানভী, চুয়াডাঙ্গা
অনুমতি ছাড়া জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না, এমন সরকারি নির্দেশ অমান্য করে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় তিন ফসলি কৃষিজমিতে পুকুর কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার একশ্রেণির অসাধু মানুষ কৃষকদের হুমকি দিয়ে কৃষিজমিতে পুকুর খনন করছেন। পুকুর খনন করার পর মাটি ইটভাটায় চড়া দামে বিক্রি করা হয়। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে এমন অপরাধ করলেও তা বন্ধে প্রশাসন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পুকুর খনন করায় জেলায় প্রতিবছর কৃষিজমির পরিমাণ ২ থেকে ৩ শতাংশ হারে কমছে। এতে কৃষিপণ্য উৎপাদন কম হচ্ছে। খনন করা জমির পাশের অনেক আবাদি জমি প্লাবিত হচ্ছে। কৃষকেরা এ নিয়ে মহাবিপদের মধ্যে আছেন।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা অভিযোগ করেন, পুকুর খনন করে মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়। যে জমিতে ধান চাষ হতো, সে জমিতে এখন পুকুর কাটা হচ্ছে। পাশের জমির কেউ পুকুর কাটলে আরেক জমির মালিকও আগ্রহী হচ্ছেন। সেচের পানি জমিতে থাকছে না। ফসলি জমির পানি পুকুরে নেমে যাচ্ছে। এতে চাষিরা ভালো করে ধানসহ অন্য ফসলের চাষও করতে পারছেন না। বছরে দুই মৌসুমে ধান চাষ হলেও এখন অর্ধেক জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলটিয়া গ্রামের কৃষক আসাদ বলেন, ‘কৃষিজমিতে পুকুর খনন করে ট্রাক ট্রাক মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায়। আমাদের মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে মাটি কাটতে বাধ্য করা হয়।’
কৃষক হামিদুল হক বলেন, ‘ফসলি জমিতে যেভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে, তাতে আমাদের কৃষিজমিতে পানি থাকছে না। এতে ফসল উৎপাদনের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলা হায়দার গ্রামের কৃষক মজিবার শেখ বলেন, ‘যে জমিতে আগে ধান চাষ করতাম, সেই জমির এক বিঘাতে পুকুর খনন করেছিলাম। পরে পাশের জমি পুকুরে বিলীন হতে শুরু করে। বিলীন হতে হতে আমার পাঁচ বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে মাঠে ফসল উৎপাদন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় পুকুর কাটাতে আমাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। যাঁরা পুকুর কাটেন, তাঁরা আমাদের এমনভাবে বোঝান যে, পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে ফসল চাষের থেকে দ্বিগুণ লাভবান হব। কিন্তু আসলে তেমন কিছুই না। লাভবান হওয়ার বিপরীতে আমরা আমাদের ফসলি জমি হারাচ্ছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এ বিষয়ে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিম ভূঁইয়া বলেন, ‘মাঠের ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা পুরোপুরি বেআইনি। জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি থাকলেই কেবল ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা যায়। তাও সেটি নিজের জমিতে হতে হবে। পুকুর খননে যারা জোরজবরদস্তি করছেন, ফসলি জমি বাঁচাতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোপনে ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পেলেই আইনের আওতায় আনা হবে।’
অনুমতি ছাড়া জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না, এমন সরকারি নির্দেশ অমান্য করে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় তিন ফসলি কৃষিজমিতে পুকুর কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে জেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষিজমি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার একশ্রেণির অসাধু মানুষ কৃষকদের হুমকি দিয়ে কৃষিজমিতে পুকুর খনন করছেন। পুকুর খনন করার পর মাটি ইটভাটায় চড়া দামে বিক্রি করা হয়। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে এমন অপরাধ করলেও তা বন্ধে প্রশাসন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পুকুর খনন করায় জেলায় প্রতিবছর কৃষিজমির পরিমাণ ২ থেকে ৩ শতাংশ হারে কমছে। এতে কৃষিপণ্য উৎপাদন কম হচ্ছে। খনন করা জমির পাশের অনেক আবাদি জমি প্লাবিত হচ্ছে। কৃষকেরা এ নিয়ে মহাবিপদের মধ্যে আছেন।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা অভিযোগ করেন, পুকুর খনন করে মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়। যে জমিতে ধান চাষ হতো, সে জমিতে এখন পুকুর কাটা হচ্ছে। পাশের জমির কেউ পুকুর কাটলে আরেক জমির মালিকও আগ্রহী হচ্ছেন। সেচের পানি জমিতে থাকছে না। ফসলি জমির পানি পুকুরে নেমে যাচ্ছে। এতে চাষিরা ভালো করে ধানসহ অন্য ফসলের চাষও করতে পারছেন না। বছরে দুই মৌসুমে ধান চাষ হলেও এখন অর্ধেক জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলটিয়া গ্রামের কৃষক আসাদ বলেন, ‘কৃষিজমিতে পুকুর খনন করে ট্রাক ট্রাক মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায়। আমাদের মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে মাটি কাটতে বাধ্য করা হয়।’
কৃষক হামিদুল হক বলেন, ‘ফসলি জমিতে যেভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে, তাতে আমাদের কৃষিজমিতে পানি থাকছে না। এতে ফসল উৎপাদনের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলা হায়দার গ্রামের কৃষক মজিবার শেখ বলেন, ‘যে জমিতে আগে ধান চাষ করতাম, সেই জমির এক বিঘাতে পুকুর খনন করেছিলাম। পরে পাশের জমি পুকুরে বিলীন হতে শুরু করে। বিলীন হতে হতে আমার পাঁচ বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে মাঠে ফসল উৎপাদন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হয় পুকুর কাটাতে আমাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। যাঁরা পুকুর কাটেন, তাঁরা আমাদের এমনভাবে বোঝান যে, পুকুরে মাছ চাষের মাধ্যমে ফসল চাষের থেকে দ্বিগুণ লাভবান হব। কিন্তু আসলে তেমন কিছুই না। লাভবান হওয়ার বিপরীতে আমরা আমাদের ফসলি জমি হারাচ্ছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এ বিষয়ে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিম ভূঁইয়া বলেন, ‘মাঠের ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা পুরোপুরি বেআইনি। জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি থাকলেই কেবল ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা যায়। তাও সেটি নিজের জমিতে হতে হবে। পুকুর খননে যারা জোরজবরদস্তি করছেন, ফসলি জমি বাঁচাতে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোপনে ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পেলেই আইনের আওতায় আনা হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫