Ajker Patrika

সরিয়ে নেওয়া হলো সি-ট্রাক, চালুতে বাধা নাব্যতা-সংকট

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৮
সরিয়ে নেওয়া হলো সি-ট্রাক, চালুতে বাধা নাব্যতা-সংকট

বগুড়ার সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ নৌপথের সি-ট্রাক অবশেষে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার সি-ট্রাক সরিয়ে নেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নাব্যতা-সংকট এবং ক্রমাগত লোকসানের ফলে সি-ট্রাক সার্ভিস পুনরায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

জনদুর্ভোগের কারণ বিবেচনায় গত বছরের ১২ আগস্ট বগুড়ার সারিয়াকান্দির কালিতলা নৌঘাট থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জের জামথল ঘাট পর্যন্ত শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত নামে সি-ট্রাক সার্ভিস চালুর উদ্বোধন করা হয়। এর আসনসংখ্যা ছিল ২০০টি। মাথাপিছু ভাড়া আদায় করা হতো ১০০ টাকা। পরে সি-ট্রাকের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এটি দুই দফা বন্ধ থাকে।

সর্বশেষ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার কারণে গত ২৩ সেপ্টেম্বর যমুনা নদীর মাঝপথে সি-ট্রাকটি বিকল হয়। এর আগে ফেরিটি গত ২২ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ছিল। তখনো দেখা দিয়েছিল যান্ত্রিক ত্রুটি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর মাদারগঞ্জ ঘাট থেকে সারিয়াকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে আসার পথে হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। বহু যাত্রীসহ যমুনা নদীর মাঝপথে আটকা পড়ে সি-ট্রাক। দুই দিন পর অন্য আরেকটি উদ্ধারকারী ফেরি এনে বিকল সি-ট্রাক উদ্ধার করে পূর্বপাড়ে নিয়ে যায়।

এরপর সি-ট্রাকটি সারিয়াকান্দির কামালপুরের রৌহাদহে রাখা হয়। রৌহাদহ থেকে সরিয়ে চন্দনবাইশা নিয়ে আসা হয়। চন্দনবাইশা থেকে সরিয়ে এটিকে আবার কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের দেবডাঙা ঘাটে রাখা হয়। সেখান থেকে গত বুধবার একেবারেই এ উপজেলা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

সারিয়াকান্দি-মাদারগঞ্জ যমুনার নৌপথে ফেরি যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালুর ওপর মতবিনিময় সভা হয় ২২ নভেম্বর। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

সভায় নদী খনন, নৌঘাটের দুই পারে প্রশস্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু সি-ট্রাক সার্ভিস আর চালু হয়নি।

বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক বাণিজ্যিক এসএম আশিকুর রহমান জানান, ভাড়া এবং জ্বালানি বাবদ বকেয়া পরিশোধ চেয়ে ইজারাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে সি-ট্রাক-এর ইজারাদার জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল জানান, ‘সি-ট্রাক-এর যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামত করা হয়েছিল। নাব্যতা-সংকট এবং ক্রমাগত লোকসানের ফলে সি-ট্রাক সার্ভিস পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়নি। ঘাটের ইজারাদারকে যাত্রীপ্রতি অর্থ কর্তন এবং আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ আমার দৈনিক খরচ হয় ১২ হাজার টাকা, অপরদিকে দৈনিক আয় ৫ হাজার টাকা। ক্রমাগত লোকসান এবং নাব্যতা-সংকটে সি-ট্রাক সার্ভিস পুনরায় ইজারা নিতে চাচ্ছি না। যাত্রীপ্রতি ভাড়া আদায় হয় ১০০ টাকা, এর মধ্যে ৪০ টাকা ঘাটের ইজারাদারকে দিতে হয়।’

জাহিদুর রহমান উজ্জ্বল আরও বলেন, ‘ছয় মাসের বকেয়া চেয়ে বিআইডব্লিউটিসির উপমহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী ৬ লাখ ১৫ হাজার ৮৭৩ টাকা চেয়ে আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে। সি-ট্রাক ১ মাসও পুরোপুরিভাবে চলেনি। এত টাকা লোকসানে পড়ে আমি এখন দিশেহারা হয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত