Ajker Patrika

সেতুর সংযোগ সড়কে ধস সংস্কার হয়নি ১০ বছরেও

মাহিদুল ইসলাম মাহি, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) 
আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, ১২: ০৪
সেতুর সংযোগ সড়কে ধস সংস্কার হয়নি ১০ বছরেও

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নে কান্তাবতী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের প্রায় ১৫০ ফুট ১০ বছর আগে ভেঙে গেলেও সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় সেতুর সংযোগস্থলটি সরু হয়ে গেছে। এতে কৃষিপণ্য পরিবহনসহ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রায় ২০ বছর আগে হরিরামপুর ও শিবালয় উপজেলাবাসীর যোগাযোগব্যবস্থা সহজ করতে কান্তাবতী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়। ১০ বছর আগে সেতুর গোড়া থেকে প্রায় ১৫০ ফুট ধসে যায়। কিন্তু আজও তা সংস্কার করা হয়নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে একাধিকবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো সুফল মেলেনি। বর্তমানে সড়কের প্রায় ১৫০ ফুট অংশের একপাশে গাইডওয়াল নির্মাণ, মাটি ভরাট এবং হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) করা প্রয়োজন।

স্থানীয় সমাজসেবক ও মানিকগঞ্জ জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপ বলেন, ‘এ সেতু এবং সড়কে দুই উপজেলার হাজারো মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে। হরিরামপুরসহ পার্শ্ববর্তী শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের ফেচুয়াধারা, পাড়াগ্রাম, কাছিধারা, ঈশাখাঁবাদ, কোঠাধারাসহ সাত-আট গ্রামের বাসিন্দা এ সড়ক দিয়ে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া করেন। সড়ক দিয়ে সেতু পার হয়ে রিকশা-ভ্যান, অটোবাইক মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল চলাচল করে। ঝিটকা বাজারে কৃষিপণ্য পরিবহনের একমাত্র সড়কও এটি। মৌসুমে এ সড়ক দিয়ে পার্শ্ববর্তী শিবালয় উপজেলা থেকেই প্রতিদিন কয়েক শ মণ কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ নিয়ে যান কৃষকেরা।

গাং ধূসরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গালা ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হারেজ মিয়া বলেন, ‘এ সড়ক দিয়ে কৃষিপণ্য পরিবহনে লোকজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কের একপাশে গাইডওয়াল নির্মাণ করে মাটি ভরাট এবং এইচবিবি করা হলে মানুষের ভোগান্তি কমবে।’

শিবালয় উপজেলার ফেচুয়াধারা গ্রামের শহীদুল ও খোরশেদ মিয়া বলেন, ‘আমরা এই সড়ক দিয়ে ঝিটকা বাজারে কৃষিপণ্য নিয়ে যায়। কিন্তু সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে পড়ায় কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভ্যান বা নছিমনে মালামাল নেওয়া যায় না।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই সড়কের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি। তবে দ্রুতই সেতু পরিদর্শন করে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত