Ajker Patrika

জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ২২
Thumbnail image

বগুড়ার সারিয়াকান্দির পৌরসভাটি যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ দ্বারা বেষ্টিত। তাই প্রতিবছর বন্যার সময় বেড়িবাঁধ থেকে পানি চুইয়ে আসে। এতে পৌরসভায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ জলাবদ্ধতা কয়েক মাস স্থায়ী হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে কিছু কাজ করা হয়েছে। কিছু কাজ চলমান রয়েছে। কয়েকটি বড় প্রকল্পের জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে স্থায়ী পদক্ষেপ চান এলাকাবাসী।

সারিয়াকান্দি পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালে। পৌরসভাটির আয়তন ৩ দশমিক ৫৭ বর্গকিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ১৮ হাজার ৫৪৩ জন।

ফলে পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি, বালুয়াহাটা, সাহাপাড়া, কুঠিবাড়ী, কলোনিপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হন। এসব গ্রামে বসবাসরত প্রায় ৮ হাজারের বেশি নাগরিক নানা অসুবিধায় পড়েন।

জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যে সোনারপাড়ায় ১১০ মিটার নালা নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া হিন্দুকান্দিতে হাসনাপাড়া রোডে, সরকারপাড়া মসজিদের সামনে এবং সাহাপাড়া মন্টু ফকিরের বাড়ির সামনে ক্রস ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে, যা দিয়ে পুরোপুরি জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব না।

সারিয়াকান্দি পৌরসভার মূল সড়কের পাশ দিয়ে একটি বড় নালার নির্মাণকাজ বর্তমানে চলমান আছে। সারিয়াকান্দি সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাঙ্গালী নদীতে পতিত হয়েছে। ২১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের এ নালার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ লাখ ৫ হাজার ২৯৩ টাকা।

সারিয়াকান্দি পৌরসভার সূত্রমতে, স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে বড় প্রকল্পের প্রয়োজন, যা জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে একটি প্রকল্পের আবেদন দেওয়া রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সারিয়াকান্দি পৌরসভার জলাবদ্ধতা একেবারেই নিরসন হবে বলে দাবি পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।

পৌরসভার কলোনিপাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, বন্যার সময় তাঁদের বাড়ির আশপাশের রাস্তাগুলো ডুবে যায়। ফলে এলাকাবাসী ভেজা কাপড় পরে বাইরে থেকে বাড়িতে আসেন। আবার বাড়ি হতে বাইরে যেতে দুই সেট কাপড় নিয়ে বের হতে হয়। তিনি বলেন, ‘আবার তো বন্যা আসিচ্চে, একন তো হামাগিরে আবার সেই চিরাচরিত দুক্কু শুরু হবি। সরকার এনা হামাগিরেক ভালো ড্রেন করে দিলে হামাগিরে চিরদিনের কষ্ট দূর হতো।’

পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ পৌরসভাকে সিটি রিজিওন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, এম জি এস পি প্রজেক্ট, কুয়েতি ফান্ড প্রজেক্ট এবং ইন্টিগ্রায়েড আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে (ফেজ-৪) অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য আবেদন করা হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে পৌরসভার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে কিছু কাজ শুরু করা হয়েছে। জলবায়ু ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প দেওয়া আছে, এটি বাস্তবায়িত হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী অবসান হবে। তা ছাড়া বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে আবেদন দেওয়া রয়েছে, এগুলো বাস্তবায়িত হলে পৌরবাসীর উন্নত নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে। ফলে এটি একটি আধুনিক মডেল পৌরসভায় রূপান্তরিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত