ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে আটকে পড়া কয়লাবাহী দুটি জাহাজের ঢেউয়ে ভাঙছে উপকূলীয় এলাকার মসজিদ–কবরস্থানসহ বেড়িবাঁধ। গত ২৫ জুন জাহাজ দুটি সরিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের ওপর অর্ধভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে একটি স্লুইসগেট। চলতি বর্ষায় ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস কিংবা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অতিরিক্ত পানিতে স্লুইসগেটসহ বেড়িবাঁধটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এটি ভেঙে গেলে ফসলি জমির ক্ষতিসহ ৮-১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ বিপদে পড়বেন।
ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’র শঙ্কা কেটে গেছে। তবে এবার উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে বেড়িবাঁধ ভাঙন-আতঙ্ক। তাঁরা জানান, ইতিমধ্যে কপোতাক্ষ নদ ও খোলপেটুয়া নদীর দুটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে কমপক্ষে ২১টি পয়েন্টের বেড়িবাঁধ।
বাঁধের বিভিন্ন অংশে যে পরিমাণ ভেঙেছে স্বাভাবিক জোয়ারে সম্পূর্ণভাবে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে সামনে বর্ষাকাল, সে সময় সাগর আরও বেশি উত্তাল থাকবে, জোয়ারের উচ্চতাও বাড়বে কয়েকগুণ। তাই দ্রত সময়ের মধ্যে এটি মেরামত না করলে চরঈশ্বর ইউনিয়নের বেশির ভাগ অংশই সাগরে বিলীন হয়ে যাবে।